আসসালামুয়ালাইকুম
"বিরিয়ানি" এমন একটি শব্দ যে নাম শুনেই নাকে সু-ঘ্রাণ আর জিভে জল চলে আসে। প্রায় ৪০০ বছর ধরে এর জনপ্রিয়তা একি রকম আছে। আমার আজকের রেসিপি এই বিরিয়ানি নিয়েই কিন্তু একটু ভিন্ন আঙ্গগিকের ।
মূল রেসিপিতে যাবার আগে একটু বিরিয়ানি কিভাবে আমাদের খাদ্য তালিকায় স্থান পেল তা একটু দেখে আসি।
রিবিয়ানি শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ "বিরিয়ান" আর "বিরিঞ্জ" থেকে। "বিরিয়ান" শব্দের অর্থ হলো রান্নার আগে ভেজে নেয়া। আর "বিরিঞ্জ" শব্দের অর্থ হলো চাল। আর আমরা সবাই জানি বিরিয়ানির চাল ঘি দিয়ে আগে ভেজে নিতে হয়। তাই বলা যায় বিরিয়ানির সুচনা ফরাসিরাই করেছিল। এখন কথা হলো ভারতবর্ষে কিভাবে বিরিয়ানির প্রচলন ঘটলো। চলুন একটা গল্প শুনি।
গল্প শেষ, এবার আসি আমার সবজী বিরিয়ানির রেসিপিতে। প্রথমেই জেনে নেই এই রান্নায় কিকি প্রয়োজন।
- বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম(অন্য যে কোন পোলাও এর চাল দিয়েও হবে)
- ফুলকপি ১০০ গ্রাম
- গাজর ১০০ গ্রাম
- বরবটি ১০০ গ্রাম
- ঘি হাফ কাপ
- তেজপাতা বড় ২ টি
- দারুচিনি বড় ২ টুকরা
- এলাচ ৩ টি
- কাঁচা মরিচ ৪/৫ টি
- পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
- আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
- রশুন বাটা ১ টেবিল চামচ
- টক দই ১ কাপ
- ভাল ব্রান্ডের বিরিয়ানি মসলা ৪ টেবিল চামচ
- লবন স্বাদ মত
- চিনি ১ টেবিল চামচ
- ৭৭৫ মিঃ লিঃ ফুটানো পানি (চাল পুরানো হলে পানি একটু বেশী লাগবে)
সব রান্নারি একটা আয়োজন থাকে। বিরিয়ানিও এর ব্যতিক্রম নয়।
প্রথমে চাল আধা ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর খুব ভাল করে ধুয়ে পানিঝরিয়ে নিতে হবে।
অন্য একটি হাড়িতে পানি ফুটাতে দিতে হবে। আর সবজী গুলো হালকা শেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
এখন চুলায় সসপেন বসিয়ে তা গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, তারপর ঘি দিয়ে দিতে হবে।
ঘি গরম হলে তাতে পিঁয়াজ , তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। পিঁয়াজ হালকা লাল হলে কাঁচা মরিচ ও লবন দিতে হবে।
আলাদা একটা বাটিতে দই ও বিরিয়ানি মসলা খুব ভাল করে মিশাতে হবে। ভাল ভাবে মিশে গেলে তা সসপেনে দিয়ে দিতে হবে।
মশলা যখন কিছুটা ঘন হবে তখন আদা ও রশুন বাটা দিতে ঘন ঘন নেরে দিতে হবে যাতে মসলা পুরে না যায়।
এবার চাল এড করতে হবে চাল কে খুব ধীরে ধীরে নেরে ভেজে নিতে হবে এর সাথে পূর্বে হালকা শেদ্ধ করা সবজী দিয়ে দিতে হবে। চাল ও সবজী ভালভাবে ভাজা হলে গরম পানি দিয়ে দিতে হবে। এখানে এলাচি এড করতে হবে, আমি এলাচি গুঁড়া করে দেই যাতে খবার সময় দাঁতে না পরে।
পানি ফুটে উঠলে ভালভাবে ঢেকে দিতে হবে, এমন ভাবে ঢেকে দিতে হবে যেন ভেতরের বাষ্প বাহিরে আসতে না পারে। কিছুক্ষণ পর বিরিয়ানি কে হালকা ভাবে নেরে দিয়ে সসপেন টা দমে দিতে হবে।
দম আমি যেভাবে দেই তা হলো লোহার অথবা ভারি কোন তাওয়া আগে থেকে গরম করে তার উপরে সসপেন বসিয়ে দিতে হবে। চুলার জ্বাল একদম কম থাকবে না হলে বিরিয়ানি পুরে যাবে। দমে ২০ মিনিটের মত রাখতে হবে। হয়ে গেল আমার হেলদি সবজী বিরিয়ানি।
- আপনারা অবশ্যই এই রেসিপিটা ট্রাই করবেন। আর খেয়ে আমাকে জানাবেন কেমন লাগলো। আমার তিনজন বন্ধু কে আমি আমন্ত্রন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করার জন্য। @shikhurana @enamul17 @afrin
ধন্যবাদ সবাইকে সময় দেয়ার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন। আর আপনাদের ভোট ও কমেন্ট আমাকে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে।
@hasina78
From @bangladesh