আসসালামুয়ালাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহলেখক ভাই ও বোনেরা? শীত প্রায় চলে যাচ্ছে। এখন সময়টি সবচেয়ে আরামদায়ক না শীত না খুব গরম। এই সুন্দর সময়ে আমি আপনাদের জন্য একটি নতুন ভর্তা রেসিপি নিয়ে আসলাম। যা আমাদের দেশীও গ্রাম বাংলার রেসিপি।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য যে সিজনে যে খাবার উপযুক্ত তাই দিয়ে রেখেছেন। যেমন গরমের সময়ে টক জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, তাই টক জাটীয় ফল গরমের সময় বেশী পাওয়া যায়। আমাদের দেশে শীতের প্রকোপ কমে গেছে । দিনের বেলায় বেশ গরম লাগছে এখনি। এই সময়ে টক জাতীয় ভর্তা খেতে কিন্তু দারুণ লাগে।
আমার বাসায় আমি সাধারণত টক জাতীয় খাবার টা দুপুরের খাবারের পরেই খেয়ে থাকি। এতে আমার পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়না। যাদের টক ফল খেতে সমস্যা হয়, তারা দুপুরের খাবারের পর খেয়ে দেখতে পারেন। অনেক কথা লিখে ফেললাম। এবার আসি আমার আজকের মূল বিষয়ে।
আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে কাঁঠালের মুঞ্জি ভর্তা। অনেকেই হয়তো এটা চিনবেন না। এখন কাঁঠাল গাছের দিকে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন যে গাছে ছোট ছোট কাঁঠাল এসেছে। এদের মধ্যে সব গুলোই কিন্তু কাঁঠাল হবেনা। যে গুলো কাঁঠাল হবেনা তাদের বলে মুঞ্জি। কেমন করে বুঝবেন যে কোন গুলো কাঁঠাল হবেনা? যেগুলো আকারে ছোট এবং গায়ে হলুদ হালকা রেনুর মতো থাকে তা মুঞ্জি তা থেকে কখনো কাঁঠাল হয়না। সেগুলো দিয়েই আজকের ভর্তা টা তৈরী হবে।
প্রথমে হামান দিস্তায় লবন ও পোড়া মরিচ দিয়ে ভাল করে গুড়ো করে নিতে হবে। তারপর তাতে রসুন কুচি দিয়ে আবার ছেচে নিতে হবে। তারপর মুঞ্জি কুচি দিয়ে ভাল করে ছেচে নিতে হবে। হাত ব্যাথে হয়ে গেলেও কিছু করার নেই ভাল করে ছেচে নিতেই হবে। মুঞ্জি ছেচা হয়ে গেলে একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এরপর হামান দিস্তায় পাকা বড়ই নিয়ে এমন ভাবে ছেচতে হবে যেন বড়ই এর বিচি না ভেঙ্গে যায়। এর সাথে তেঁতুল দিয়ে আবার কিছুক্ষণ ছেচে নিতে হবে। এরপর সব উপকরণ একসাথে করে হাত অথবা চামচের সাহায্যে খুব ভাল করে মিসিয়ে নিতে হবে। তৈরী হলে গেল দারুণ স্বাদের কাঁঠালের মুঞ্জি ভর্তা। আপনারা অবশ্যই বাসায় তৈরী করবেন। আর আমাকে জানাবেন আপনাদের অনুভুতি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য। যাবার সময় একটু ভোট ও কমেন্ট করে যাবেন তাহলে আমার কষ্ট স্বার্থক হবে । আমি এই রেসিপিটি আমার কয়েকজন বন্ধুকে খাওয়াতে চাই @shikhurana @enamul17 @repion0630 @msharif @hasina78
From @bangladesh