SEC-S10W2: My favorite cake "Vanilla Cake ".

আসসালামু আলাইকুম


আমি @ismotara
@Bangladesh থেকে


সবাই বৃষ্টি ভেজা শীতল শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার আজকের লেখা শুরু করছি। @steem4bangladesh কর্তৃক আয়োজিত স্টিমিট এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ সিজন ১০-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রিয় কেক সম্পর্কে প্রতিযোগীতা দেওয়া হয়েছে।

SEC-S10W2 My favorite cake.png
made by canva

আপনি কোন কেকটি পছন্দ করেন এবং কেন?

কেক খুবই জনপ্রিয় একটি মিস্টি জাতীয় খাবার। কেক সাধারণত ময়দা, চিনি,ডিম,বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা এবং আরো বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরী একটা মিস্টি খাবার। ছোট থেকে বড় সবাই কেক অনেক পছন্দ করে। যে কোন বিশেষ দিন বা মহুর্ত কেক ছাড়া যেন অসম্পুর্ণ।

বিভিন্ন ফ্লেভারের এবং বিভিন্ন ডিজাইনের কেক পাওয়া যায়। সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে কেক তৈরীতেও মানুষের দক্ষতা বাড়ছে।

চকলেট কেক,ভ্যানিলা কেক,মিরর কেক,স্পঞ্জ কেক,পুডিং কেক,ম্যাংগো কেক আরো কত কি। তবে আমার পছন্দ ভ্যানিলা কেক যা ক্রিম দিয়ে মোড়ানো থাকে।। যা আমি বিশেষ দিন উৎযাপনে ঘরে তৈরী করি। ভ্যানিলা ফ্লেভার আমার অনেক পছন্দ।

আপনার পছন্দের কেকটি কি আপনি বাসায় বানান? যদি বাসায় বানান তাহলে এই কেক বানাতে কি কি ধরনের আইটেমের প্রয়োজন হয় এবং প্রসিডিউর কি?

একটা সময় কেক বানানোর কাজটা অনেক কঠিন মনে হতো সবার।বেশির ভাগ সময়ই কেক কিনে খেত সবাই। কিন্তু এখন মোটামুটি সবাই কেক বানাতে পারে।কেক বানানো খুবই সহজ কাজ।তবে হয়ত একেক জনের রেসিপি একেক রকম।
কেক বানানোর মূল উপাদান তো একই, শুধু একেক জনের বানানোর পদ্ধতি ভিন্ন।ভিন্ন বলতে পরিমাণ মত সব উপকরণ দিয়ে কেক তৈরী করে সুন্দর করে সাজানোর মাধ্যমে ই বোঝা যায় কেমন হইছে কেক।

আমি সাধারণত ময়দা,ডিম,চিনি,লবন,বেকিং পাউডার, ভ্যানিলা এসেন্স, ক্রিম এগুলো ই ব্যবহার করি কেক তৈরীতে।
প্রথমে ভালো করে ডিম ফেটিয়ে নেই। তারপর চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেই।সামান্য লবন ও দেই।তারপর ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভালো করে মিশাই।এবার ময়দা এবং বেকিং পাউডার দিয়ে কেক এর জন্য খামির তৈরী করি।
তারপর ওভেন এবং চুলা উভয়টাতেই বেক করি। ক্রিম বেশির ভাগ ই বাজার থেকে কেনা হয়। নিজের মনের মত সাজিয়ে নেই।

WhatsApp Image 2023-06-17 at 18.26.28.jpg
এই কেক টা আমার ছেলের জন্মদিন এ তৈরী করেছিলাম

যদি বাহির থেকে অর্ডার করেন তাহলে কোন ব্র্যান্ডের কেক আপনি অর্ডার করেন। এবং সেটার দাম আপনার দেশের টাকায় কত এবং স্টিমে কনভার্ট করলে কত স্টিম হয় সেটা শেয়ার করুন.

আবার মাঝে মাঝে কেক বাইরে থেকে অর্ডার করেও আনা হয়। তবে খুব কম ই অর্ডার করা হয়।

WhatsApp Image 2023-06-17 at 18.26.29.jpg

আমার জন্মদিন এ এই কেক কি বাইরে থেকে অর্ডার করেছিলাম। যার মূল্য ছিল ১২০০ টাকা। এই কেকটার স্টিমিট মূল্য ছিল ৬৮.৯৩।

আপনি সাধারণত কেক কোন বিশেষ সময়গুলোতে বাসায় তৈরি করেন অথবা অর্ডার করেন?

বেশির ভাগ বাসায়ই তৈরী করি। আসলে তেমন সময় পাওয়া যায় না তাই একটু কমই বানোনো যায়।
তবে স্পেশাল দিন বা মহুর্তে ই বেশি কেক বানাই আমি। যেমন: কোন খুশির সংবাদ,জন্মদিন, বিবাহ বার্ষীকি,কোন অর্জন ইত্যাদি সময় গুলো আমি কেক দিয়ে উৎযাপন করি।

আপনার কাছে কি মনে হয় কেন কেক অন্যান্য ডেজার্ট এর তুলনায় এত বেশি জনপ্রিয়?

আসলেই অন্যান্য সকল ডেজার্ট এর তুলনায় কেক অনেক জনপ্রিয়। কারন আমার মনে হয় অন্যান্য সকল ডেজার্ট এর তুলনায় কেক একটু বেশিই স্পেশাল। কেক যেহেতু বাইরের দেশের খাবার তাই কেক এর প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ কাজ করে সবার মধ্যে।

আর কেক এত সুন্দর করে সাজানো যায় যা দেখতে ও অন্যান্য সকল ডেজার্ট এর থেকে আকর্ষনীয়।
বর্তমান সময়ে কেক অনেক সহজলভ্য। যে কোন দোকানেই পাওয়া যায়। ছোট বড় সব সাইজের ই পাওয়া যায়, তাই যার যার প্রয়োজন মত নিতে পারে।

কেক এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারন হচ্ছে কেক এর স্বাদ। এত মজাদার খেতে যে, কেউ মানা করতে পারে না। একেক ফ্লেভারের কেক এর একেক মজা।আর ময়দা, চিনি, ডিম দিয়ে তৈরী হয় বলে এতে কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা ও পুরন হয়।

উপসংহার

পরিশেষে, এটাই বলতে চাই কেক আমাদের বাংলাদেশের খাবার না হয়েও অনেক জনপ্রিয় আমাদের দেশে।আমার জীবনের আনন্দময় ঘটনার সংগী হিসেবে কেক এর আবেদন এখন সবার উপরে।
এই প্রতিযোগীতায় সকলের সাফল্য কামনা করছি।
আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
আমি আমার বন্ধু @anisurr @jollymonoara, & @tasrin94 কে আমন্ত্রণ জানাই এই সুন্দর প্রতিযোগীতায়।

ধন্যবাদ
H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
11 Comments