বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো অন্যতম সুন্দর একটি দিন শেয়ার করতে যাচ্ছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আজকে কক্সবাজারে আমার দ্বিতীয় দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গেল, আমরা যেহেতু সারারাত জার্নি করে এসেছি তাই ঘুমও অনেক বেশি এসেছিল। আমরা কক্সবাজারে ওইখানে একটি হোটেলে উঠলাম আমরা নিয়েছিলাম দুই রুম এক রুমে আমি আর আমার বড় ভাই আরেক রুমে আমার বোনেরা। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম ,এরপর আমরা সবাই হোটেল থেকে নেমে বাহিরে গিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করলাম।
এরপর নাস্তা শেষ করে আমরা সবাই কিছুক্ষণ ঘুরলাম ফিরলাম হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে এসেছিল কক্সবাজার সবাই আড্ডায় আনন্দে মেতে উঠেছিল ওইখানে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগছিল এরপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম সাগরের দিকে ওইখানে গিয়ে দেখলাম অনেক মানুষজন সাগরের সাগরের নামে আনন্দ করছে। সাগরের এই বিশালতা দেখে আমি তো অবাক শত শত মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছে এই সাগরে। আমরাও সবাই চেঞ্জ করে নেমে গেলাম সাগরে সাগরের এই বিশাল বিশাল ঢেউ ছুঁড়ে ফেলছে পারের দিকে সাগরের এই বিশাল ঢেউয়ের জন্য ঠিক করে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ওইখানে আমি আমার বোন এবং সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছিলাম আমার ভাগ্নি ও আমাদের সাথে গিয়েছিল ও অনেক আনন্দ করছিল এই প্রথমবার ও কক্সবাজার এসেছে। আমরা ওইখানে প্রায় দুই ঘন্টার মত সময় কাটালাম অনেক ভালো লাগলো এলেই মন জুড়িয়ে যায় আসলেই প্রকৃতির সৌন্দর্যের উপর আর কোন সৌন্দর্য নেই।
এরপর আমরা সাগরের পানিতে গোসল করা শেষে সবাই উঠে পড়লাম সবাই সবার জিনিসপত্র নিয়ে রওনা দিলাম হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের রুমে গিয়ে সবাই গোসল করে নিলাম আবার ও এরপর জামা কাপড় পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকাতে দিলাম এরপর রুমে এসে জামা কাপড় চেঞ্জ করলাম কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলাম আমি শুয়ে শুয়ে ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখতে ছিলাম কখন যে ঘুম চলে আসলো নিজেও বলতে পারব না এরপর সন্ধ্যার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম উঠে মুখ হাত ধুয়ে নিলাম এরপর রেডি হয়ে আমরা সবাই বেরিয়ে পড়লাম মার্কেটের দিকে ওইখানে গিয়ে একটি দোকানে নাস্তা করলাম এরপর আমরা ঘুরে ফিরে সবকিছু দেখলাম বেশ সুন্দর মার্কেট মানুষ যেন অনেক ছিল সবাই আচার এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করছিল।
এরপর আমরা সবাই ঘুরতে থাকলাম মার্কেটে এবং আপু আর ভাইয়া কিছু জিনিস কেনাকাটা করল আমি একটু দোকানে দেখলাম অনেকগুলো শামুক আমি কাছে গিয়ে শামুক গুলোর ছবি তুললাম দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল ওই দোকানের শামুকের তৈরি অনেক জিনিসপত্রই ছিল যেমন মালা হাতের ব্রেসলেট নেকলেস ইত্যাদি কিছু বড় বড় শামুখে মানুষজন চাইলে তাদের নিজের নাম লিখে নিতে পারে। বড় শামুক গুলো দেখতে আরো সুন্দর লাগছিল আমরা সবাই এই কক্সবাজার ভ্রমণ বেশ উপভোগ করছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছিলাম।
এরপর আমরা সবাই চিন্তা করলাম মার্কেট থেকে বেরিয়ে বিচের দিকে যাই বীচে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দেখলাম একটি চায়ের দোকান তো সবাই মিলে চা খেলাম ঐখানে মালাই চা পাওয়া যায় তাই আমি মালাইচা অর্ডার করলাম চাটি খেতে বেশ দারুন ছিল চা খেতে আমার খুব ভালো লাগে আমার প্রতিদিন না হলেও দুই কাপ চা খাওয়া লাগবে চা খেতে আমি খুব ভালোবাসি এটি এর আগেও আমি আপনাদের বলেছি। যাইহোক মালয়েশিয়াঠি খেতে মোটামুটি ভালোই ছিল এই চারটির দাম নিয়েছে ৪০ টাকা যদিও আমাদের এলাকায় মালাইচা ৩০ টাকায় পাওয়া যায় এইসব এলাকায় একটু দাম বেশি হয় এটাই স্বাভাবিক।
এরপর রাস্তার পাশে আরেকটি রেস্টুরেন্টে দেখলাম অক্টোপাস কাকড়া এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এগুলো চাইলে আপনারা অর্ডার করে খেতে পারবেন যদিও আমার অক্টোপাস মাছ এবং এগুলো কিছুই খেতে ভালো লাগে না 😫। এইজন্য এখান থেকে কিছু না খেয়েই আমরা চলে আসলাম এরপর আরো কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করলাম সবকিছু দেখলাম বেশ ভালোই সময় কাটালাম সবার সাথে ভাই-বোনদের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে, তবে বন্ধু বান্ধবের কথাই আলাদা বন্ধুদের সাথে থাকার মজা আর পরিবারে থাক সাথে থাকার মজা পুরাই আলাদা । হয়তো এরপরে যখন আসবে বন্ধুদের সাথেই আসবো আর কক্সবাজার এমন একটি জায়গা যেখানে হাজারবার আসলেও আবারও আসতে মন চাইবে সত্যিই খুবই সুন্দর একটি জায়গা আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।
এরপর হোটেল রুমে গিয়ে জামা কাপড় চেঞ্জ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলাম । এর কিছুক্ষণ পর খাওয়া দাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়লাম সারাদিন এত ঘুরাঘুরির পর খুবই ক্লান্ত লাগছিল এজন্য তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম 😴