হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি ভাল আছেন এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো অন্যতম ব্যস্ত একটি দিন নিয়ে চলে এসেছি। প্রতিদিনের মতোই আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম সকাল সাতটা বাজে ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে ফ্রেশ হলাম এরপর রুমে এসে বসলাম। আমি আমার রুমে বস শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ মোবাইলে আমার প্রিয় গেম e football খেললাম। এটি আমার খুবই প্রিয় একটি গেম কিন্তু একসময় আমার সবচেয়ে প্রিয় গেম ছিল ফ্রী ফায়ার আমি আগে এই গেমটি খুব বেশি খেলতাম কিন্তু এখন আর একদমই খেলা হয় না। তো এরপর আটটার দিকে আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম আমার নতুন কোচিংয়ে। আজকে ছিল আমার প্রথম দিন ওখানে গিয়ে পড়া শেষ করে আসলাম সাড়ে নয়টার দিকে। বাসায় আসার পর আমার খুব বেশি ক্ষুধা লেগেছে কারণ আমি সকালে নাস্তা খাইনি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সাথেসাথে আমার নাস্তা খেতে ভালো লাগে না তাই আমি নাস্তা না খেয়েই চলে গেলাম কোচিং সেন্টারে। তো এরপর আমি আম্মুকে বলার পর আম্মু আমার ছোট ভাইকে দিয়ে দোকান থেকে ডালপুরি আনালো। আমি ডালপুরে গিয়ে চা দিয়ে খেলাম খাওয়া শেষে আমি শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুক দেখলাম ।তারপর সাড়ে ১১ টার দিকে আমি আর আম্মুু রেডি হয়ে রওনা দিলাম চট্টগ্রাম কোট বিল্ডিং যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
তো এরপর প্রথমে আমরা মেইন রোড থেকে একটি সিএনজি নিলাম সিএনজি ভাড়া নিল ১৭০ টাকা করে চলে গেলাম চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং ।ওখানে গিয়ে সবার আগে আমি আর আম্মু আমার উকিলের সাথে দেখা করলাম উকিল আমাদেরকে সবকিছু বুঝিয়ে দিল কি করতে হবে না হবে। তো এরপর সবকিছু ঠিক করে আম্মুকে বলল পেপারে সাইন করতে এরপর আম্মু সাইন করল। এরপর আমরা Ns2 বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে চলে গেলাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় চট্টগ্রাম এর দিকে। খুবই সুন্দর দেখতে একদম পুরনো আমলে ঘরবাড়ির মতো জায়গাটি খুবই সুন্দর প্রত্যেকটি বিল্ডিং দেখার মত। আশেপাশে অনেক ফুল গাছ রয়েছে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আমাদের উকিল বলল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সাইন নিতে হবে। তো এরপর উকিলের সঙ্গে চলে গেলাম ম্যাজিস্ট্রেটের রুমের দিকে।
ওখানে গিয়ে প্রথমে ই একটি অফিসে আমাদের কাগজপত্র সব জমা দিলাম। এরপর আমাদেরকে বলল আদালতের ভিতরে গিয়ে বসতে এরপর আমি আর আম্মু কোকিলের সঙ্গে চলে গেলাম আদালতের ভিতরে আমাদের উকিল আমাদেরকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল। জীবনে এই প্রথম আমি কোর্টের ভিতরে গেলাম তাও একদম সামনের বেঞ্চে ,ভিতরে ভিতরে কেন জানি আমার খুবই ভয় লাগছিল। আমি আমার আশেপাশে অনেক অপরাধীকে দেখেছি সবাই বিভিন্ন অপরাধে এখানে গ্রেফতার হয়ে এসেছে। প্রত্যেকটি অপরাধীর সাথেই দু তিন জন করে পুলিশ রয়েছে তাদেরকে পাহারা দেওয়ার জন্য। আদালতে ঢোকার সময় আমি দেখতে পেলাম আমার বয়সী একটি ছেলে সে মাদকদ্রব্য নিয়ে ধরা খেয়েছে। এটা দেখে আমি পুরাই অবাক হয়ে গেলাম আসলে আমাদের দেশের যুবক ছেলেপেলেদের বেশিরভাগই খারাপ পথে চলে গেছে। কোর্টের মধ্যে বেশিরভাগ অপরাধী খুবই কম বয়সি। যদিও ছেলেটিকে এইভাবে বন্দি দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। এরপর অনেকক্ষণ বসে থাকার পর ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের কাগজপত্র সব চেক করে সাইন করল। তো এরপর আমরা ওইখান থেকে বেরিয়ে আসলাম বাহিরে গিয়ে মেন রাস্তা থেকে সিএনজি নিয়ে চলে আসলাম বাসায় বাসায় এসে আগে আমি জামা কাপড় চেঞ্জ করে চলে গেলাম গোসল করতে যেহেতু এখন দিন ছোট তাই তাড়াতাড়ি অন্ধকার হয়ে গেছে।
এরপর সন্ধ্যার দিকে আমি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম বাসায় এসে আম্মু ডিম ভাজি আর ডাল করল ওটা দিয়েই খাওয়ার খেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা টিভিতে সবাই ইসরাইল ফিলিস্তিনের খবর দেখলাম দোনো দেশের মধ্যেই বেশ ভয়াবহ যুদ্ধ লেগেছে। এরপর আমি চলে গেলাম পড়ার টেবিলে পড়তে বসতে কারণ কালকে আবার কোচিং এর পড়া রেডি করা লাগবে। পড়া থেকে উঠলাম আমি প্রায় সাড়ে দশটার দিকে । এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া করে আমি শুয়ে পড়লাম কারণ শরীরটা বেশ ক্লান্ত লাগছিল।
এই ছিল আমার কাটানো অন্যতম ব্যস্ত একটি দিন আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। এবং আমি আশা করি আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।