হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি আমার কাটানো অন্যতম সুন্দর একটি দিন নিয়ে আজকের দিনে আমি আমার বন্ধুদের সাথে খুবই আনন্দ করেছি আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রতিদিনের মতোই আমি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে ফ্রেশ হলাম। এরপর বাসায় এসে জামা কাপড় চেঞ্জ করে রেডি হয়ে চলে গেলাম প্রাইভেটে, ওইখান থেকে আসলাম সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এসে কিছুক্ষণ বাসায় বসলাম বসার পর আম্মু নাস্তা দিল আজকের নাস্তায় ছিল পরোটা এবং চা। নাস্তা খাওয়া শেষে আমি আমার রুমে শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ আমার steemit একাউন্ট চেক করলাম এরপর বাসায় শুয়ে শুয়ে টিভি দেখতে লাগলাম কারণ তেমন আর কিছু করার ছিল না। এরপর দুপুরের দিকে আমি চলে গেলাম গোসল করতে গোসল করে এসে জামা কাপড় চেঞ্জ করে আমি আমার রুমে কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম এর কিছুক্ষণ পরে আম্মু দুপুরের খাবার দিল বাসায় রান্না করেছিল তিতা করোলা ভাজি আর বেগুন ভর্তা এই দোনোটা থেকে একটাও আমার খেতে একটুও ভালো লাগে না। তো এরপর আম্মুকে বললাম আমাকে একটা ডিম ভাজি করে দিবে এরপর আমরা ডিম ভাজি করে দিল ওটা দিয়েই খেলাম।
এরপর দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া করে। যখনই আমি আমার রুমে এসে শুলাম এর কিছুক্ষণ পর প্রায় আধা ঘন্টা বা এক ঘণ্টা পর আব্বু আমাকে কল দিয়ে বলল দোকানে যেতে কারণ আজকে নাকি আব্বুর শরীর ভালো লাগছিল না তাই তো এরপর আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম দোকানে। দোকানে গিয়ে আমি আমার বন্ধু মমিনকে কল দিলাম সবার আগে ওকে বললাম দোকানে আসতে তো এর কিছুক্ষণ পর মোমিন চলে আসলো দোকানে এরপর নাজিম রিফাত আরো দুইজন আসলো। এরপর আমরা সবাই প্ল্যান করলাম আজকে লেবু পিনিক করব আমি আসলে জানি না এটাকে কি বলে লেবু দিয়ে সম্ভবত হয়তো লেবু বানানো বা এরকম কিছু একটা হতে পারে আমার বন্ধু মুমিন বলল লেবু পিনিক তো এরপর আমরা সবাই এটাই বললাম। তো প্রথমে বাজার থেকে আমরা ২০ টাকার লেবু নিয়ে আনলাম এরপর বাসা থেকে একটু বড় বাটি নিয়ে আনলাম প্রথমে এই লেবুগুলোকে গোল গোল করে কেটে নিলাম। এরপর শুকনা মরিচ ৫-৬ টা দিয়ে দিলাম শুকনা মরিচ গুলো একদম ভালো করে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করে দিলাম এরপর তার সাথে আবার দিয়ে দিলাম লাল মরিচ আবার দিলাম মরিচের সস,আল লবণ।
এরপর আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে খাওয়া শুরু করলাম আমি প্রথমে ২ পিছ খাওয়ার পর আমার অবস্থা একদম খারাপ হয়ে গেছিল অতিরিক্ত ঝালের কারণে। অতিরিক্ত মানে একদম অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেছিল এরপর আমরা সবাই দোকান থেকে একটু করে চিনি নিয়ে মিশিয়ে আবার মাখলাম এরপর খেলাম খেতে খারাপ ছিল না কিন্তু সমস্যা একটাই ছিল অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেছিল সব দোষ হচ্ছে আমার বন্ধু মমিনের আমরা সবাই মিলে ওরে একটা মাইর দিলাম কারণ সব দোষ ওর ও অতিরিক্ত মরিচ দিয়ে দিছে। বিশ্বাস করবেন না খাওয়ার পর প্রায় এক ঘণ্টার মতোই ঝাল আমার মুখে লেগেছিল। একদম সবার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল অতিরিক্ত সালের কারণে আমরা চারজন মিলেও এগুলো সব শেষ করতে পারলাম না। এরপর দোকানে আসা আমাদের কিছু পরিচিত কাস্টমারদের দিলাম উনারাও খেয়ে একই কথা বলল অনেক বেশি ঝাল হয়েছে।
তো এরপর সবাই অনেক বেশি করে পানি খেলাম কারণ ঝাল যাচ্ছিল না একদম। আমি তো দোকান থেকে নিয়ে আইসক্রিম খাওয়া শুরু করলাম এরপর আমরা বন্ধুরা সবাই বসে কথাবার্তা বলতে লাগলাম আড্ডা দিলাম ভালই কাটছিল সময় এরপর সন্ধ্যায় যখন আজান দিল সবাই সবার বাসায় চলে গেল আমি দোকানে বসে ছিলাম তার কিছুক্ষণ পরেই আব্বু এসে আমাকে বলল বাসায় যেতে তো এরপর আমিও বাসায় চলে গেলাম।
বাসায় গিয়ে আমি মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলাম তখনও কিন্তু আমার মুখে ঝাল লেগেছিল। বাসায় এসে আমি বসলাম এরপর টিভি চালালাম বসে বসে টিভি দেখলাম এই কিছুক্ষণ পরে আম্মু সন্ধ্যার নাস্তা দিল চনা আর মুড়ি এরপর এগুলো খেলাম এই ছিল আমার কাটানো অন্যতম সুন্দর একটি দিন আশা করি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে এবং আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।