Better Life with Steem || THE DIARY GAME || 24/11/2023 🌞

মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে শুরু করছি আজকের ডায়রি ব্লগ। আশা করি সকলেই সুস্থ আছেন এবং ভালো আছে। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও আমি সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ভোর ছয়টার সময়। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের নেই কিছু সময় শারীরিক ব্যায়াম করলাম যেন আমি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি তাই প্রতিনিয়ত আমি এই ব্যায়াম করে থাকি। ব্যায়াম শেষ করে আমি সকালের নাস্তা সম্পন্ন করলাম একটি হোটেল থেকে দুটি রুটি খেয়ে। এরপর আবার হোস্টেলে চলে আসলাম এবং হোস্টেলে এসে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে রেডি হলাম ক্যাম্পাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কেননা আমার সকাল ৯ঃ০০ টার সময় থেকে ক্লাস আছে। তাই দ্রুত রেডি হয়ে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমার হোস্টেল থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব মাত্র ৫ মিনিটের তাই আমি প্রতিনিয়ত হেঁটে ক্যাম্পাসে যায়।

আমি সকাল আটটা পঞ্চাশ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলাম। এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পর আমাদের যে রুমে ক্লাস হবে সেই রুমে গিয়ে বসলাম এবং দেখলাম এখনো কোন বন্ধু ক্যাম্পাসে আসে নাই যা আপনারা আমার পিকচারের মাধ্যমে দেখতে পারছেন ক্লাস রুম সম্পূর্ণ ফাঁকা রয়েছে। তাই আমি বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন আমার বন্ধুরা আসবে এবং আমাদের ক্লাসটি ছাড়া আসবেন এবং ক্লাস শুরু করবেন। ঠিক পাঁচ মিনিট পর থেকেই অর্থাৎ ৮:৫৫ মিনিটেই আমাদের বন্ধুরা ক্যাম্পাসে আসা শুরু করলাম এবং বন্ধুদের সাথে আমি কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম এবং যেহেতু আজকে আমাদের ল্যাব ক্লাস সেহেতু গত ক্লাসের ল্যাব রিপোর্ট জমা দেওয়া লাগবে। তাই বন্ধুদের ল্যাব রিপোর্টের সাথে আমার ল্যাব রিপোর্টের কতটুকু মিল রয়েছে সেগুলো মিলিয়ে নিলাম এবং কিছু কারেকশনও করে নিলাম স্যার আসার আগ মুহূর্তে।

এরপর ঠিক নয়টা দুই মিনিটে আমাদের ক্লাস রুমে আমাদের ক্লাস টিচার প্রবেশ করলেন। ক্লাসে প্রবেশ করে স্যার প্রথমে আমাদের নাম প্রেজেন্ট করে নিলেন। এই স্যার নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্লাসে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেয় না তাই আমি চেষ্টা করি আগে আগে ক্লাসে প্রবেশ করার। এরপর স্যার নাম প্রেজেন্ট সম্পূর্ণ করে সরাসরি ক্লাস শুরু করে দিলেন আমাদেরকে নিয়ে। যেহেতু আজকের এই ক্লাসটি এপারে ল প্যাটার্ন মেকিং টু অর্থাৎ কাপড় কিভাবে তৈরি করা হয় এবং কাপড় কিভাবে মেজারমেন্ট করা হয় এবং কাপড় তৈরির জন্য কিভাবে কাপড় কাটা হয় সে বিষয়ে ধারণা দিবেন। এছাড়াও আমাদেরকে আরো যেসব মেশিন আছে অর্থাৎ আমাদের ল্যাবে যেসব মেশিন গুলো আছে সেই সব মেশিনগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা দিবেন। স্যার প্রথমে আমাদের নিশো ব্র্যান্ডের একটি সেলাই মেশিন সম্পর্কে ধারণা দিলেন। এই মেশিন কিভাবে কাজ করে এবং এই মেশিনের কোন অংশের কি নাম এবং কোন অংশের কি কাজ সে সম্পর্কে আমাদের পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা দিলেন।

আমাদের ল্যাব ক্লাস গুলো প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে এই দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের ল্যাব সম্পন্ন করতে হয়। এরপর স্যার আমাদের হোয়াইট বোর্ডে পোলো শার্টের মেজারমেন্ট গুলো লিখে দিচ্ছেন। এবং আমরা সেগুলো দেখে দেখে খাতায় তুলে নিলাম। এই মেজারমেন্ট গুলো ছিল একদম স্ট্যান্ডার্ড লেভেলের। এই মেজারমেন্ট এর মাধ্যমে আমরা ফ্যাক্টরিতে লাখ লাখ পিস প্রোডাকশন দিতে পারব শুধুমাত্র এই মেজারমেন্ট গুলো ফলো করে। তাই আমরা বন্ধুরা সকলে মিলে খুব সতর্কতার সাথে এই মেজারমেন্ট গুলো খাতায় লিখে নিলাম আপনারা পিকচারের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন আমার বন্ধুরা কতটা মনোযোগ দিয়ে এই মেজারমেন্ট গুলো খাতায় তুলে নিচ্ছেন। এবং আমার এক বন্ধুর কাছে ছাড়া মেজারমেন্ট টেপ দিয়ে রেখেছেন এবং ওই মেজারমেন্ট টিপ দিয়ে আরেকজনের মাপ কোথায় থেকে ফোন পর্যন্ত নিতে হবে তা দেখে তারপর প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করে খাতায় লিখছেন।

স্যারের মেজারমেন্ট গুলোর লেখা শেষে স্যার আমাদের একজনকে সামনে ডেকে এনে কোন মেজারমেন্ট টুকু কোন অংশের সেগুলো একদম প্র্যাকটিক্যালি একজনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছেন এবং এই সময় আমি আপনাদের জন্য একটি পিকচার নিয়েছি যা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আমাদের এই স্যার সম্পূর্ণ পরিশ্রম আমাদের দিয়ে থাকেন যেন আমরা এই বিষয়ের সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারি এই লক্ষ্যে। আমরা এই স্যারের কাছ থেকে এই বিষয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে এবং আজকের ক্লাসেও অনেকটা জ্ঞান অর্জন করেছে দীর্ঘ ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট একটা না এই ক্লাস নিয়ে আমাদের এক ক্লাস সম্পূর্ণ করছেন। ল্যাব ক্লাস সম্পূর্ণ করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে ছোট্ট একটি ঘুম দিলাম।

ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে বসে আছি ঠিক এমন সময় আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল আজকে ঘুরতে বের হবে। আমিও বন্ধুর সাথে একমত পোষণ করে ঘুরতে যাওয়ার জন্য পোশাক পরিধান করে বের হয়ে গেলাম এবং বের হয়ে দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে নরসিংদী নাগরিকান্দি ব্রিজে ঘুরতে যাব। এবং দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর একটি রিক্সা করে চলে গেলাম নাগরিকান্দার ফ্রিজের উদ্দেশ্যে অনেকদিন পর আসলাম এই নাগরিক আন্দা ফিরেছে বেশ ভালো লাগে সন্ধ্যের আগ মুহূর্তের এই সময়টুকু এখানে অনেক মানুষের সমাগম থাকে তাই খুব ভালো লাগে এবং মনটা ভালো হয়ে যায়।

এরপর দুই বন্ধু ঘুরে ঘুরে নাগরিকান্দি ব্রিজের অপর পাশের একটি পার্কের মধ্যে প্রবেশ করলাম এবং বিভিন্ন রাইডে উঠলাম এবং বিভিন্ন রাইড গুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এরপর আমি আর আমার বন্ধু হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে সন্ধ্যার সাতটার দিকে আমরা আবার হোস্টেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হোস্টেলে এসে ফ্রেশ হলাম ঠিক সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিট। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ডায়েরী ক্লাব এখানে সমাপ্ত করছি ,আল্লাহ হাফেজ।