আসসালামু আলাইকুম /আদাব |
---|
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টি কর্তার কৃপায় সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। প্রিয় বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে রোজা সম্পের্ক আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। সবাইকে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো ।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতিপালক। Steem for Bangladesh কমিউনিটির এডমিন মহোদয়, দায়িত্বশীল ও প্রানপ্রিয় সদস্যগনকে জানাই রমজান মাসের মুবারকবাদ।
কমিউনিটির আয়োজিত এই রোজা সম্পর্কে যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, তদ সত্যিই অনেক ভালো উদ্যোগ। পবিত্র মাসকে নিয়ে লেখাটাও আমার কাছে ইবাদতের সমতুল্য। তো চলুন তাহলে শুরু করি।
আপনি কি কখনো রোজা রেখেছেন? রোজা রাখার ক্ষেত্রে আপনি কোন নিয়ম অনুসরণ করেছেন? |
---|
আলহামদুলিল্লাহ, পবিত্র মাহে রমজানের রোজা আল্লাহর দেয়া অনেক বড় একটা নিয়ামত। বছরে একবার এই রমজান মাসটি আসে। এই বরকতপূর্ণ মাসটি প্রতিটি মুসলিম তার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে রোজার বিধান মানার চেষ্টা করেন।
আমি আলহামদুলিল্লাহ ১৩ বসর বয়স থেকে রোজা রাখি। কোন কারন বসত ছারা কখনো রোজা ভঙ্গ করিনি। এবং এখন আমার বয়স ২৪ বসর, রোজা রাখি সবসময়, রোজা রাখার সামর্থ্য আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন।
রোজার রাখার নিয়মাবলি আমি খুব গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করার চেষ্টা করি। যেমন, সেহরি খাওয়া, রোজার সঠিক নিয়ত করা, সুর্যদ্বয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকা ও সকল পাপ কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার চেস্টা করি।
রোজা কি আমাদের শরীরের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে? |
---|
হ্যাঁ অবশ্যই। রোজা আমাদের শরীরের জন্য বড় ধরনের ঔষধের কাজ করে। রোজা যেহেতু আল্লাহর একটা বড় ইবাদত, তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই মানসিক রোগকে সারিয়ে তোলার জন্য ঔষধ কাজ করে। আমি নিজেই প্রমানিত।
রোজা রাখলে আমার যে উপকারিতা হয়, তা হলো পাপ কাজ থেকে মুক্ত, সেটা অনেক প্রকারের হতে পারে। আবার স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। যা ব্রেইনের কর্মক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়।
সারাদিন খালি পেটে থাকার কারনে পেটের চর্বি, মেদ কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। ইফতার ও সেহরিতে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে শরীরের ওজনও কমে যাওয়ার সহায়তা করে।
অতিরিক্ত খাওয়ার বদঅভ্যেস থেকে রেহায় পায় অনেকে। যাইহোক শারিরীক -মানসিক দুটোতেই আমি রোজা থাকার কারনে সুস্থতা অনুভব করি।
রোজা রাখার কারণে নিজের মধ্যে কোনো শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন কি? |
---|
শারিরীক ভাবে আমি যে পরিবর্তন পাচ্ছি, তা হলো- শরীরে ওজন কমে যাচ্ছে। রোজার তিন চারদিন আগে পরিমাপ করে দেখেছিলাম ৬৫ কেজি। আর দুইদিন আগে পরিমাপ করে দেখলাম ৬৩ কেজি। আবার শারিরীক গঠন ও একটা ভালো পর্যায়ে আসছে।
মানসিক ভাবে যে পরিবর্তন টা এসেছে, তা হলো- দুশ্চিন্তা-টেনশন থেকে মুক্তি পেয়েছি। আল্লাহ তায়ালা এমন এক ইবাদতের মাস দিয়েছেন যে, অন্যন্য মাসের তুলনায় এই মাসটা সত্যিই অনেক সুস্থকর সময়। মানসিক চাপ দুর হবেই না বা কেন? সকাল বিকাল কুরআন তেলাওয়াত করছি, ইবাদত করাটাও বৃদ্ধি হয়েছে। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।
রোজা রাখার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে? |
---|
রোজা রাখার সময় সর্বপ্রথম যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো- আমাদের খুছুছিয়্যাত ঠিক রাখা, নিয়ত সঠিক রাখতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যে পরিমাণে পানি পান করে থাকি। সেই একই পরিমাণ পানি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পান করা উচিত।
রোজা রাখার ক্ষেত্রে সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার রাখা। যেহেতু তিনবেলা খাওয়ার কাছে দুই বেলা খেতে হয়, তাই এমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত যাতে সেই খাবারটি সারাদিনের চালিকাশক্তি দিতে পারে।
সর্বশেষ আমি এই কমিউনিটির কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য, আমি আমার স্টিমিয়ান বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। @baizid123, @farhan456 এবং @jakaria121 তাদেরকে রমজান মাসের রোজা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
বন্ধুরা, আজ আর লিখছিনা। আজ এপর্যন্তই লিখে ইতি টানলাম। আবারও দেখা হবে অন্য কোন দিন, অন্য কোন টপিক নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলের সুস্থতা কামনা করে বিদায় নিচ্ছি, আসসালামু আলাইকুম / আদাব।