বলছি আমার মাতৃভূমি #Bangladesh 🇧🇩 থেকে
Edited By Picsart App
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। সকলকে আমার পোস্টে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুরু করছি আজকের এই লেখাটি। তো দেরি না করে শুরু করি ইনশাআল্লাহ।
সকালের সমৃদ্ধ সমারোহ একটু একটু করে হলেও পাচ্ছিলাম, যদিও গরমের তীব্রতার ভয়াবহ অবস্থা, তবে সকালে একটু আবহাওয়াটা সারাদিনের তুলনায় কম। তাই তো সকালে ব্রাশ করে ফ্রেশ হলাম, অতপর নাস্তা করলাম। তারপর চলে গেলাম পাঞ্জাবী বানানোর জন্য কাপড় কিনতে। তাই বের হলাম, রিক্সা মামাকে ডেকে উঠে পরলাম বগুড়া জামিল মাদ্রাসার গেটের উদ্দেশ্য। কারন বগুড়া জেলার মধ্যে একমাত্র সেখানেই পায়জামা-পাঞ্জাবি ও জুব্বার কাপড় ভালো পাওয়া যায়, এবং মোটামুটি চেনা জানার দোকানও ছিলো, তাই সেখানে যাচ্ছিলাম।
প্রায় ২০ মিনিট অব্দি রিক্সায় বসে বসে পথ গুনছিলাম, ২০ মিনিট পর পৌছলাম সেই কাঙ্খিত লক্ষে, নেমেই চলে গেলাম আমার চিরচেনা এক ভাই টেইলার্সে। যে টেইলার্সের নাম হাটহাজারী টেইলর্স। সেখানে গিয়ে টেইলার্সের মালিক আওলাদ ভাইয়ের সাথে দেখ করলাম, কুশল বিনিময় করলাম। যেহেতু তার দোকানের পাশেই তার বাবার কাপরের দোকান ছিলো, তাই সেি দোকান থেকেই দুটো কাপড় কিনলাম, কাপড় গুলো ছিলো সুতি কাপড়ের। যেহেতু প্রচন্ড গরম তাই পাতলা কাপড় পরিধান করা ছারা উপায় নাই। তারপর দুটো পাঞ্জাবীর কাপর নিলাম। দুটো কাপরের মধ্যে, নিচে আমি ছবি ও কাপড়ের মূল্যের হিসাব দিচ্ছি।
প্রতি গজের মূল্য | গজ পরিমান | মূল্য BDT | মূল্য Steem |
---|---|---|---|
১৬০ টাকা | ৩ গজ | ৪৮০ টাকা | ২৪ স্টিম |
৩৫০ টাকা | ৩ গজ | ১০৫০ টাকা | ৫২.৫০ স্টিম |
যাইহোক কাপড় দুটো নিয়ে নিয়ে আওলাদ ভাইয়ের কাছে গেলাম এবং আমার শরীরের মাপ নিলেন তিনি, মাপ নিলেন নেওয়ার পর আমাকে পাঞ্জাবির ডেলিভারির তারিখ ও মজুরির পরিমান ডেলিভারি কার্ডে লিখে দিলেন। তারপর আমাকে সেই কার্ডে দিয়ে বললেন এই তারিখে এসে নিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। সাথে সাথে আমি সেলফি নিলাম আমার আর সেই কার্ডের।
এরপর আমি ফেরার উদ্দেশ্য দোকানকে বিদায় জানিয়ে মাদ্রাসার পথ ধরলাম, তারপর মাদ্রাসায় এসে, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গোসল করলাম। তারপর নামাজ পরে খাওয়া দাওয়া করলাম সবাই মিলে ( ছাত্রগন ও শিক্ষকগন)। খাওয়া দাওয়া শেষ করে ক্লাস করলাম। ক্লাস শেষ করে আসরের নামাজ আদায় করলাম, নামাজ পরেই বের হলাম মাঠের প্রান্তে, কিছুক্ষণ পায়চারি করলাম কয়েকজন শিক্ষক মিলে, বিকেলের লাল রঙের আভায় এবং মিষ্টি মাখা হালকা সমারোহে হাটাহাটি করতে বেশ ভালোই লাগছিলো, তারপর হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম মুড়ি মাখা, তাই সবাই মিলে খেলাম।
তারপর মাদ্রাসায় গেলাম, যাওয়ার পর প্রতিদিনের মত দিন শেষ করলাম। ঠিক এভাবে দিনটি আমি উপভোগ করছিলাম। দিনের প্রতিটি ধাপকে আমি চেষ্টা করি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। তো যাইহোক, আজকে এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।