নিজের বডি ঠিক রাখার জন্য অতিরিক্ত স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন জাতীয় ড্রাগ নেওয়া বন্ধ করুন।

Screenshot_9.jpg

সম্প্রতি একজন বাংলাদেশি বডিবিল্ডার যিনি জিমে ব্যায়াম করার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। তানার নাম ছিল রায়হান চৌধুরী তিনি একজন মিস্টার বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের যে ন্যাশনাল কম্পিটিশন হয় সেখানে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। অনেকের ধারণা তিনি স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন জাতীয় ঔষধ নেওয়ার ফলে বা নিজের শররে ইনজেক্ট করার ফলে মারা গেছেন। তবে উনার যে বন্ধুবান্ধব বা রিলেটিভ আছেন তাদের মাধ্যমে জানা গেছে তিনি সম্প্রতি বা মারা যাওয়ার আগে যতগুলো পারফম্যান্স করেছেন তখন কোন রকম ড্রাগস বা স্টেরয়েড জাতীয় কোন পদার্থ নিজের শরীরে পুস করেন নাই। যদিও তার কিছু ছবি দেখে বা তিনি যেহেতু কম্পিটিশন খেলেন সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বা তার শরীরের আকৃতি দেখে বোঝা যায় সেটা ন্যাচারালি তৈরি করা সম্ভব না। তিনি স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন নিতেন । এখানে আসলে মূল প্রবলেম যে স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন নেওয়া অবস্থায় কিন্তু একজন ব্যক্তি কোন রকম সাইড ইফেক্ট লক্ষ্য করে না বরং স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন নেওয়ার সময় আমাদের হিউম্যান ক্যাপাসিটি আরো বেড়ে যায়। স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন নেওয়া অবস্থায় আপনার বোনপাওয়ার, আপনার বোনডেনসিটি, জয়েন পাওয়ার, ফিজিক্যাল পাওয়ার, আপনার সেক্সুয়াল পাওয়ার পর্যন্ত বেড়ে যায়।

যখন আপনি এই ড্রাগ নেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন বা ছেড়ে দিচ্ছেন তখন আসলে সাইটইফেক্ট গুলো লক্ষ্য করা যায়। আপনার ড্রাগ নেয়ার ফলে যে হিউম্যান ক্যাপাসিটি গুলো বাড়বে সেগুলো সেই ড্রাগস থেকে বেরিয়ে আসা মাত্রই সবগুলো ক্যাপাসিটি কমে যাবে অর্থাৎ আপনার সবগুলো পাওয়ার, আপনার মাসকুলার ডেফিনেশন, আপনার জয়েন্ট পাওয়ার, আপনার সেক্সচুয়াল পাওয়ার সব কিছুই ডাউন হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সাময়িক সময়ের জন্য হয় তবে যারা দীর্ঘদিন যাবত কোন বিরতি না নিয়ে স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন ইউজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে প্রবলেমটা সিরিয়াস হয়ে যায়।

Screenshot_12.jpg
এখন মূলত তিনি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা গেছেন, সুতারায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারনটা কি সেটা আগে জানা জরুরী। সাধারণত আমাদের হার্টের কাজ কাজ হল শরীরের রক্ত পাম্প করে বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছে দেয়া, যেটা আমাদের হার্ট প্রতিনিয়ত করতেই থাকে। যখন হার্ট এই কাজটা করা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয় তখনই আসলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের হার্ট এটা বন্ধ করে কিভাবে। এটা হওয়ার মূল কারণ হলো আমাদের ব্লাডের কোলেস্টরলের বেড়ে জাওয়া ফ্যাট বেড়ে যাওয়া। আসলে একজন ব্যক্তি যখন ড্রাগ থেকে বেরিয়ে আসেন অর্থাৎ স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন জাতীয় ঔষধ নেওয়া বন্ধ করে দেন তখন তার ব্লাডে খুব দ্রুত গতির সাথে কোলেস্টরলের লেভেল বাড়তে থাকে, স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমন জাতীয় ঔষধ নেওয়া ছেড়ে দিলে তার শরীর খুব দ্রুত ফ্যাট জমতে শুরু করে এবং কোলেস্টর রক্তের সাথে মিশে গিয়ে এই সমস্যাটার সৃষ্টি করে। যার কারণে আমাদের হার্ট সঠিকভাবে ব্লাল্ড পাম্প করতে পারে না এবং তখন আমাদের হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং একটি কারণ থাকতে পারে সেটি হচ্ছে হাইপারট্রফি বা হার্টা বড় হয়ে যাওয়া। এই ইপারট্রফি আসলে ঘটে কিভাবে।

আমাদের শরীরে সমস্ত পেশী অর্থাৎ বাইরের পেশী এবং ভিতরের পেশী, আমাদের হার্ড পুরোপুরি পেশী দ্বারা গঠিত। যেকোনো রকম পেশী পূর্বের তুলনায় যখন আরো বেশি পরিমাণে চাপ অনুভব করে তখন সেই পেশী আগের তুলনায় আরো স্ট্রং হওয়ার চেষ্টা করে বা আরো বড় হয়ে যায়। যার ফলে আমরা যখন জিমে হালকা ওয়েট নিয়ে এক্সারসাইজ করি তখন আমাদের মাসল একরকম থাকে এবং এক টানা কয়েক দিন সে একই রকম এক্সারসাইজ করার ফলে আমাদের মাসেল বাড়েনা, একই পর্যায়ে থাকে। তখন ঐ মাসেলকে বড় করার জন্য আমাদেরকে আরো ভারী ডামবেল বা বারবেল বা আগের তুলনায় আরো ভারী ভারোত্তোলন করতে হয় তখন আমাদের মাসেল আরো বড় হয়্। তো আমাদের হাটও আসলে এ ভাবে কাজ করে। এভাবে যখন হার্ট কে বেশি কাজ করতে হয় তখন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাক হয।
ভবিষ্যতে প্রফেশনাল বডিবিল্ডার চিন্তাভাবনা করছেন তারা এই সমস্ত বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন যেন ভবিষ্যতে মিঃ রায়হান চৌধুরীর মতো আনফরচুনেট ইন্সিডেন্ট আপনাদের জীবনে যেন না ঘটে।


ভালো থাকবেন।

()
H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
3 Comments