আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় ইস্টিমেট বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
আল্লাহর রহমতে সবাই হয়তো ভালো আছেন.....!
আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর মেহেরবানীতে ভালো আছি।
সেদিন ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ছিল। সকাল পাঁচটা থেকে আমার ব্যস্ততা শুরু হয়েছিল......।
আমার মেয়ের স্কুলে সেই দিন প্রোগ্রাম ছিল রংপুর স্টেডিয়ামে। স্কুলের নাম হলো আরপিএমপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী।আজকে মজার অনেক কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে আমার এই গল্পটা শেয়ার করি।
ভোর চারটার দিকে উঠে সেহরি খেয়ে নামাজ আদায় করি।এরপর মেয়েকে রেডি করার জন্য প্রস্তুতি নেই। তাকে পরিপূর্ণ গুছায়ে স্কুলের দিকে রওনা হলাম সকাল ছয়টা।
এরপর সেখানে যেয়ে দেখতে পারি যে বেশ কয়েকজন বাচ্চা দার হয়ে আছে তারা শাড়ি পড়েনি, মেকআপ করেনি.... আমি দেখার পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম আম্মু তোমরা রেডি হওনি কেন? তারা শুনে বললো আন্টি আম্মু শাড়ি ও পড়াতে পারে না, মেকআপ ও করাতে পারে না!!!
এমনিতেই আজকে হচ্ছে ২৬ শে মার্চ সরকারি ছুটি। বিউটি পার্লার গুলো সব বন্ধ। পরে কি করার আমি সবাইকে বললাম ভাবনা কিসের আন্টি তো আছে আন্টি সবাইকে রেডি করে দিবে। এক এক করে সবগুলোকে রেডি করলাম।
স্কুলের টিচাররা অনেক অবাক হয়ে গিয়েছে এতো অল্প সময়ে আমি সাত জনকে রেডি করছি। তবে আমার বাচ্চাদেরকে অনেক ভালো লাগে।এরপর স্কুল বাসে করে স্টেডিয়ামে যাওয়া।স্টেডিয়ামে আমরা পৌছালাম ৭:৩০ মিনিটে। এরপরে যে যার পজিশন নেওয়ার জন্য হচ্ছে দৌড়াদৌড়ি করতে ছিল। স্যাররা সবাইকে ঠিকঠাক করে দাঁড় করায় দিচ্ছিল। আমাদের স্কুল ছিল ১১ নাম্বার পজিশনে।এক এক করে সব স্কুলের পারফরমেন্স শেষ করে আমাদের স্কুলের পারফরম্যান্স শুরু হয়।
আমাদের স্কুল দিয়ে শেষ হয়েছিলো প্রতিযোগিতা। এরপর সবাই দাঁড়িয়ে রইলো। ফলাফলের জন্য সবাই অপেক্ষা করতে ছিল। মাইকে অ্যানাউন্সমেন্ট হচ্ছিল পঞ্চম হয়েছে কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজ। চতুর্থ হয়েছে সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে আরপিএমপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। দ্বিতীয় হয়েছে পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ। প্রথম হয়েছে জেলা স্কুল।
তবে যখন মাইকে অ্যানাউন্সমেন্ট হয়েছে আরপি এমপি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ তখন সবাই আনন্দে চিৎকার করে উঠলো। এতো খুশি হয়েছে তারা সবাই যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। হাবেই বা না কেন মাত্র ১২ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের। এই ১২ দিনের অর্জন তাদের তৃতীয় স্থান।
সবাই অনেক হৈ-হুল্লোড় করলো এরপরে আমাদের ফিরে আসা স্কুলে। এরপর স্কুলে এসে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ছিল। কবিতা আবৃত্তি ছিল। এরপর যে বাচ্চাগুলো রোজা ছিল না সেই বাচ্চাগুলো ওদের নাস্তা খাওয়ানো হয়েছে।এরপর বেলা ১:০০টার দিকে সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে গেল ।
আমার গল্প শুনার পরে কেমন লাগলো সবাই জানাবেন আমাকে।আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন সবাই। ফি- আমানিল্লাহ ।
আসসালামু আলাইকুম........