বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় প্রত্যেক ধর্মের ক্ষেত্রে বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ।প্রত্যেকটা ধর্মের বৃত্তি টিকে থাকে বিশ্বাসের উপর। এ বিশ্বাস কে মজবুত করার ক্ষেত্রে এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা প্রমাণ করার জন্য বিশ্বাসের প্রয়োজন। যুগে যুগে কালে কালে প্রত্যেক নবী রাসুল ও যারা ঈমানদার সাহাবী ছিল তাদের বিশ্বাসের ঘটনাগুলোর মাধ্যমে আমাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। মান মজবুত করার জন্য নবী ও সাহাবীদের ঘটনাগুলো খুবই জরুরী
যখনই আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে ঈমান থেকে দূরে সরে যায় তখন এই ঘটনাগুলো ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমাদের ঈমান মজবুত হয়। কারণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মানুষের ত্যাগ নির্ভর করে। একজন মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে কতটুকু বিশ্বাস করে এবং ভরসা করে সেটা ফুটে উঠে তার কাজ ও ত্যাগের মাধ্যমে। তাদের অনেকগুলো উদাহরণ আমরা পবিত্র কোরআন থেকে পায় যার মধ্যে ইব্রাহিম নবী সবচাইতে ত্যাগ করেছিলেন। আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার আগেও তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন। ত্যাগের মহিমা প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি তার সন্তানকে কোরবানি করার জন্য রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।
একজন মানুষের কতটুকু ঈমান ও বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তার প্রতি মজবুত হলে তার অনেক সাধনার পর পাওয়া সন্তানকে কোরবানি করার জন্য রাজি হয়ে যায়। আল্লাহর প্রতি এত নিষ্ঠ দৃঢ় বিশ্বাস না থাকলে এই কাজ করা কখনোই সম্ভব না। বর্তমান সময়ে এসে আমাদেরকেও যদি আমাদের কোন কাছের মানুষকে যদি উৎসর্গও করতে বলা হয় তবে হয়তোবা আমরা সেটা করতে পারবো না। আলাপ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নেয়। তাই সব রকমের পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং ঈমান মজবুত করতে হবে। তাহলে হয়তোবা আল্লাহ নির্ধারিত পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ হতে পারব এবং আল্লাহর সাথে সম্মানের সহিত দাঁড়াতে পারবো। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই ধারাবাহিক ঈমানের চর্চা করব ও নিজেদেরকে প্রকৃত ঈমানদার হিসেবে প্রমাণ করতে চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি করার জন্য ।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব
ইনশাল্লাহ।