কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রাপ্ত প্রাণী গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে প্রবাল। আবাল সাধারণত একটা নির্ধারিত জায়গায় আটকে থাকে এটা চারিদিকে দৌড়াদৌড়ি কিংবা ছোটাছুটি করে না। সাধারণত সমুদ্রের তীরে কিংবা সমুদ্রের তলদেশে বড় বড় যে পাথরগুলো থাকে এই পাথরের উপর পবালের জন্ম হয়। পবাল বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে একদম ছোট থেকে বড় বড়। সমুদ্রের পানি নিচে এগুলো যখন পাথরের সাথে লেগে থাকে তখন অনেকটা নরম প্রকৃতির হয়। কিন্তু যখন পানি শুকিয়ে যায় এবং পাথর তীরে দিকে ভেসে উঠে। রোদ লাগার পরে অনেক শক্ত হয়ে যায়। আমরা ইনানী এবং সেন্টমার্টিনের পাথরে প্রচুর পরিমাণে পবাল দেখেছি।সমুদ্রের পানির নিচে যে পবালগুলো হয় সে পবাল গুলোকে পরবর্তীতে সংগ্রহ করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে সুন্দর শোপিস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গভীর সমুদ্রের পবাল গুলো বেশি সুন্দর এগুলোকে সংগ্রহ করা অনেক কষ্টকর। তাই ছোট্ট সাইজের একটি পবাল অনেক দাম দিয়ে বিক্রি করা হয়।
সমুদ্রের তীরে প্রাপ্ত শামুক গুলোর মধ্যে আরও একটি শামুক রয়েছে যেটা আকৃতিতে অনেক বড় হয়। সাধারণত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যে পর্যটকরা আসে তারা এই শামুক গুলো সন্ধান পায় না। এই সমুক পাওয়া যায় সাধারণত সেন্টমার্টিন এর দিকে। সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন সময়ে এই শামুকগুলোকে একত্রে জড়ো করে পরবর্তীতে কক্সবাজার এলাকায় পাঠিয়ে দেয় পরিবহনের মাধ্যমে। এই শামুক গুলোকে ঝিনুক ব্যবসায়ীরা খুবই ভালোভাবে পরিষ্কার করে আবার খুচরা দোকানে বিক্রি করে। খুচরা দোকান মেরা এই শামুকের মধ্যে নানা ডিজাইনের কার কাজ করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে। যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আসে তারা তাদের স্মৃতির চিহ্ন হিসেবে এই ধরনের শামুকে তাদের নাম পরিবারের নাম কিংবা তাদের বিয়ের তারিখ এই শামুকের উপর লিখে নিয়ে যায়। পর্যটকদের জন্য শামুকের উপর নাম লিখে নেয়া যাওয়াটা একটা আনন্দের বিষয়।
এইভাবে নানা রকমের বিচিত্রময় জিনিস দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘেরা। শুধুমাত্র পাহাড় এবং সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করার জন্য মানুষ কক্সবাজারে আসে না। কক্সবাজারে বিচিত্রময় অনেক জিনিস পাওয়া যায় যে জিনিসগুলো বাংলাদেশের অন্যান্য প্রান্তে পাওয়া যায় না। কিছু মানুষ বিকল্প এবং ইউনিক কিছু জিনিসের সন্ধানে কক্সবাজারের দিকে চলে আসে। এভাবে নানা রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা আমাদের কক্সবাজার। আপনাদের সবাইকে কক্সবাজার ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য। আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ