কিভাবে একটি সুন্দর পৃথিবী গঠন করা যায়।
পৃথিবী সৃষ্টি করার জন্য মহান আল্লাহ অনেক পরিকল্পনা করেছেন। এই পৃথিবীতে যেহেতু মানুষ বসবাস করবে সুতরাং মানুষ যেন সঠিকভাবে এখানে বসবাস করতে পারে সেটার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষের বসবাস উপযোগী করে তুলেছেন। এগুলো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরি করার জন্য মহান আল্লাহ ৬ দিন সময় নিয়েছেন। আল্লাহ সকল শক্তির উৎস তিনি চাইলে যেকোনো কিছু মুহূর্তের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাওয়া সম্ভব। তিনি হও বললেই সবকিছু হয়ে যায়। তবুও তিনি ছয় দিন সময় নিয়ে এই পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কে তৈরি করেছেন।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে পৃথিবীতে যেহেতু আল্লাহ মানুষকে পাঠাবে এবং মানুষকে আল্লাহ কতটুকু ভালবাসে। পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে আল্লাহ মানুষকে শ্রেষ্ঠ করেছে এবং প্রত্যেকটা প্রাণীকে মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য এবং চাহিদা মেটানোর জন্য এই পৃথিবীকে সুশৃঙ্খলভাবে তৈরি করেছে।
আজ পৃথিবীতে সেই মানুষই সবচাইতে কষ্টের মধ্যে রয়েছে। এর পেছনে কারণ কি কেন মানুষ এত কষ্টের মধ্যে রয়েছে??
এই পৃথিবী তৈরি করার পর আল্লাহ বলেন পৃথিবীতে যারা সুশৃঙ্খলভাবে বসবাস করে এবং সুন্দরভাবে আল্লাহর প্রত্যেকটা নীতিমালা অনুসরণ করে তারা অবশ্যই পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারবে। অনুসরণ করো না আসো সিঙ্কাল ভাবে থাকে না এবং নিয়ম নীতি পরোয়া করে না তারা অবশ্যই পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম নয়। তাহলে বুঝা যাচ্ছে এই পৃথিবী ভিসৃংখল এবং মানুষের অশান্তির মূল কারণ হচ্ছে মানুষ নিজেই।
আল্লাহ বলেছে পৃথিবীতে মানুষের অপকর্মের কারণে বিভিন্ন রকমের আজাব চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ আমরা চাই এরকমের ঝড় জলোচ্ছ্বাস ভূমিকম্প সুনামি এইগুলো সব কিছুই হচ্ছে আজাবের অংশ। আমাদের অপকর্ম এবং অবাধ্যতার কারণে এই পৃথিবী তে আল্লাহ এই আজাব গুলোর মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষা নেই যাতে আমরা সৎ পথে ফিরে আসি। এ সংকেত গুলোর মাধ্যমে যদি আমরা আল্লাহর পথে ফিরে না আসি তাহলে কেয়ামত দিবসে তারপর আমাদের জন্য মুশকিল হয়ে যাবে। প্রাঙ্গাসন আমরা সঠিক নীতিমালা অনুসরণ করে মহান আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে এবং একটি সুশৃংখল জীবন অতিবাহিত করতে চেষ্টা করে।
ধন্যবাদ আপনাকে সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ।
আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ