কিন্তু মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে কিছু কিছু এমন কাজ করে যেগুলোর কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় ।
এ পুরো পৃথিবী একটা নির্ধারিত নিয়মের মাধ্যমে পরিচালিত হয় ।
পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটা স্থানের নিরাপত্তা ।
পৃথিবীর কোন একটা অংশের ভারসাম্য যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে অবশ্যই সেটার প্রভাব পৃথিবীর অন্য প্রান্তে গিয়ে পড়বে।
কিন্তু মানুষ নিজের প্রয়োজনের সাথে অনেক সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার আগে চিন্তা করে না।
আমরা মানুষ শুধু যেখানে নিজেদের সুবিধা এবং যে কাজ করলে আমরা একটু আরাম-আয়েসে থাকতে পারবো সে কাজটাই বাস্তবায়ন করে ফেলি।
কোন রকমের বিচার না করে পৃথিবীর অনেক অংশে আমরা এমন স্থাপনা তৈরি করেছি যে স্থাপনার কারণে দিনের পর দিন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে ।
যদি আমি বলতে যাই তাহলে আমাদের সবার পরিচিত শহর ।
কক্সবাজার শহরের আপনারা আজ থেকে ২০ বছর আগে যারা এসেছেন কিংবা দশ বছর আগে এসেছেন তারা যদি বর্তমান সময়ে এসে দেখেন তাহলে এর পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন ।
কক্সবাজার এর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ সাগরের পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাগরের কাছাকাছি সৈকতের অনেক অংশ পানিতে দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে ।
এছাড়া প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আরো একটি উল্লেখযোগ্য কারণ আমি যদি আপনাদেরকে বলি তাহলে কক্সবাজারে একসময় আমরা বর্তমানে যে স্পটগুলোতে ঘোরাঘুরি করি সেখানে প্রচুর পরিমাণে লাল কাঁকড়া দেখা যেত। আমার এখনো মনে আছে যখন আমি ছোট ছিলাম ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল এ সময়ে যখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নামতাম তখন যাকে যাকে লাল কাঁকড়া দেখা যেত।
কিন্তু বর্তমান সময়ে লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টটা যদি আপনারা নামেন আপনারা লাল কাকড়ার গর্ত ছাড়া লাল কাকড়া আর দেখতে পাবেন না।
এ কাকড়া গুলো বর্তমানে আর দেখা যায় না।
কারণ মানুষের আনাগোনা এবং প্রচুর স্থাপনা তৈরি হওয়া এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য এদিকে নষ্ট হওয়ার কারণে কাঁকড়াগুলো এখন আর দিনের সময় বিচরণ করে না ।
তাই বলতে গেলে লাল কাকড়ার সৌন্দর্য এখন আর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেই ।
কিন্তু তবুও আপনারা যারা প্রাকৃতিক সাথে নিজেকে মিশিয়ে রাখতে চান তারা যদি লাল কাঁকড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে আপনাকে সমুদ্র সৈকতের এমন স্থানে যেতে হবে যে স্থানে মানুষের আনাগোনা কম ।
এখনো লাল কাকড়া দেখা যায় যেসব স্থানে মানুষের চলাচল কম এবং যে স্থানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য এখনো ঠিক আছে সে স্থানে গেলে।
আপনারা ঝাকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন বিশেষ করে কক্সবাজারে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত পার হয়ে যদি একটু সামনের দিকে যান। সেখানে একটি বিচ আছে যেটা কাকড়া বিচ নামে পরিচিত ।
এই কাঁকড়া বিচে আপনার নামলেই সাথে সাথেই আপনারা লাল কাকড়ার ঝাক দেখতে পাবেন। কাঁকড়া এমন একটি প্রাণীর যে প্রাণীগুলো লোকারণ্য পছন্দ করে না ।সবসময় নীরবও নিরিবিলিস্থানে হাটাহাটি করতে পছন্দ করে ।
এই জায়গাটা যেহেতু খুব একটা যাতায়াত মানুষের নেই তাই এই জায়গায় যখন আপনারা যাবেন তখন লাল কাঁকড়ার সৌন্দর্য দেখতে পাবেন ।
সুতরাং প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও সৌন্দর্য বজায় রাখা মূলত আমাদের হাতে ।
আমরা যদি আমাদের জীবন যাত্রা একটু নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা করি তাহলে প্রকৃতিও ঠিক থাকবে । আমরাও সুস্থভাবে বসবাস করতে পারব।
সুতরাং আসুন আমরা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করি প্রকৃতির যত্ন নিই তবেই আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সবসময়ের জন্য উপভোগ করতে পারবো।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ।