মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সম্মানের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন করি

আসসালামু আলাইকুম কেমন হবে যদি একদিন আপনি হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠার পর দেখেন যে সবকিছু বদলে গেছে??? যেভাবে আপনি ঘোরাফেরা চলাফেরা কথাবার্তা বলতে পারতেন সেভাবে বলতে পারছেন না। আপনার একটি জায়গা রয়েছে বসবাসের জন্য কিন্তু সেটা স্থায়ী নয় যে কোন মুহূর্তে আপনাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে পারে ,আপনার জন্য নির্ধারিত কোন চাকরির ব্যবস্থা নেই, আপনি স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারবেন না ,এমনকি আপনার যে মুখে কথা বলার অধিকার আছে অধিকার টুকু আপনি ঠিক মত পাচ্ছেন না অনুভূতিটা তখন কেমন হবে আপনার ??? নিশ্চয়ই খুব খারাপ অনুভূতি হবে নিজেকে একজন বন্দী আসামির মত মনে হবে ,মনে হবে কেউ এক জন যেন আপনার গলা টিপে ধরেছে, আপনারা চারিদিকে সবকিছু আগের মতোই করছে কিন্তু আপনি সবকিছু আগের মতো করতে পারছেন না, এ জীবনটা খুব কঠিন একটি জীবন কেমন হবে যদি আপনার স্বাধীনতা আপনার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ? ঠিক এমনই সময় ছিল আজ থেকে প্রায় ৫২ বছর আগে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে ।

IMG_20191119_162046-01.jpeg

Cox's BazarLocation Map

স্বাধীনতা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থা এমনই ছিল।
আপনার বসবাস করার জন্য একটি দেশ আছে আপনার কথা বলার জন্য ভাষা আছে আপনার দেশে প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু বাঙালি হিসেবে আপনি সবকিছু করার স্বাধীনতা পাচ্ছেন না ।
এর চাইতে খারাপ অনুভূতি ও অভিশাপ কোন মানুষের জীবনে হতে পারে না।এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে বাঙালি জাতি পাকিস্তানের হাত থেকে নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে।
বাংলার প্রত্যেকটা মানুষ ছিল তখন নির্যাতিত ও জুলুমের শিকার ।
ছোট বড় ধনীর ঘরে প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল।
পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকার দেয়নি।
তাই অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাঙ্গালীদের চেতনা জেগে উঠে এবং তারা অধিকার সচেতন হয়ে আন্দোলন শুরু করে ।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছরের কাছাকাছি বাঙালি জাতি কঠিন আন্দোলন করে তাদের অধিকার আদায় করার জন্য ।
নিজের দেশের থেকে নিজের দেশের জিনিস ব্যবহার করতে না পারাটা যে কত বড় অভিশাপ সেটা হয়তো বা তারা বুঝতে পেরেছিল ।

IMG_20191119_185008-01.jpeg

Cox's BazarLocation Map

তাই অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা নিজের জীবনের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছে একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ ।
তারা নিজেদের জীবনের পরওয়া না কারে পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের মতো জুলুমের শিকার না হয় তারা যেন স্বাধীন দেশে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে এবং একটি শান্তিপূর্ণ দেশের জন্য তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে সে আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
দেশকে স্বাধীন করার জন্য অবশেষে দীর্ঘ নয় মাস রক্তাক্ত যুদ্ধের পর প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে হাজার হাজার মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ ।

FB_IMG_16711683023424795.jpg

Cox's BazarLocation Map

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে আরো একটি নতুন মানচিত্র যোগ হলো বাংলাদেশের ।
16 ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বাংলাদেশের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শেষ হয় মুক্তিযুদ্ধ এবং আমরা পাই বাংলাদেশ ।
এদেশ কে স্বাধীন করার জন্য যারা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে দিয়েছে তাদের ত্যাগের কথা কখনো আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় ।
লক্ষ লক্ষ এই মুক্তিযোদ্ধা ও মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশটাকে আমরা পেয়েছি তাইতো বিজয় দিবসের মাধ্যমে সেসব শহীদদের স্মরণ করতে চেষ্টা করি প্রতিবছর ।
প্রত্যেকটা শহীদের জন্য আমাদের অন্তরে মর্যাদা থাকা উচিত এবং যেসব মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে করেছে তাদের জন্য আমাদের শ্রদ্ধা থাকা উচিত ।
যে আশা ও উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে সে আশা যেন আমরা ধরে রাখতে পারি সেজন্য আমাদের কে কাজ করে যেতে হবে ।
তবেই মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ কাজে আসবে তা না হলে তাদের ত্যাগের প্রতি অসম্মান জানানো হবে।
এখন এই দেশটাকে ভালবাস দেশের শান্তি বিরাজ রাখতে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

FB_IMG_16711683190865056.jpg

Cox's BazarLocation Map

ধন্যবাদ আপনাকে সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনারা আপনাদের সামনে উপস্থিত হবে ইনশাআল্লাহ।

সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment