আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। আগামীকালকে ঈদ উপলক্ষে চলে এসেছে গ্রামের বাড়িতে ভ্রমণ করার জন্য। ঈদের একদিন বা দুদিন পরে চলে যাবো পুনরায় কক্সবাজারে। আমার সবচাইতে প্রিয় জায়গা কক্সবাজার কক্সবাজারের মধ্যে একটা আলাদা মানসিক শান্তি পায়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশের এলাকাগুলোতে থাকবে এটার প্রতি একটা মায়া জমে গেছে। সাথে সমুদ্র সৈকত এলাকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং এর সৌন্দর্য সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়েছি অনেকবার। কক্সবাজারের সৌন্দর্য ময় এলাকা সম্পর্কে আরো একটি ব্লগ আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যারা ভমন করতে আছে তাদের মধ্যে বেশি রূপবান কে চিহ্নতে কয়েকটি এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকাগুলো চেনেনা অথবা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যায় না। কক্সবাজারে সবচাইতে জনপ্রিয় যে এলাকা গুলো রয়েছে এর মধ্যে কলাতলী, সুগন্ধা, লাবনী, হিমছড়ি, ইনানী ইত্যাদির জায়গা অন্যতম। কিন্তু কক্সবাজার শহরের মধ্যে আরো কয়েকটি সুন্দর ভ্রমণ করার মত জায়গা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে পর্যটকরা জানেনা কিংবা তারা ঐদিকে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী না। এরকম একটি জায়গা সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলাম কবিতা চত্বর। আজকে কবিতা চত্বর অতিক্রম করে আরো একটি সামনে গেলে আরেকটা সুন্দর পয়েন্ট রয়েছে যেটা শৈবাল পয়েন্ট নামে পরিচিত।শৈবাল প্রবল পয়েন্ট সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
এক সময় কলাতলী পয়েন্ট সুগন্ধা পয়েন্ট এই এলাকাগুলো এতটা জনপ্রিয় ছিল না। বর্তমানে অনেকগুলো হোটেল এবং হোটেল হওয়ার কারণে সুগন্ধা পয়েন্ট এবং কলাতলী পয়েন্টের ভালো একটা নাম হয়েছে। কিন্তু এক সময় পর্যটন কর্পোরেশন এর পরিচালিত তিনটা হোটেল ছিল যেগুলো মধ্যে শৈবাল অন্যতম। শৈবাল হোটেল কে কেন্দ্র করে একটি পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছিল যেটা শৈবাল পয়েন্ট নামে পরিচিত। কক্সবাজারের অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকত এলাকা হচ্ছে শৈবাল পয়েন্টে।আমরা নতুন বাংলা সিনেমা গুলো দেখেছি এবং আমাদেরকে বড় হয়েছি তারা যেই শুটিং গুলো কক্সবাজারে এলাকায় দেখেছেন এর বেশিরভাগ শুটিং করা হয়েছে শৈবাল পয়েন্টের আশেপাশে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ তার বেশিরভাগ সিনেমার শুটিং হয়েছে শৈবাল পয়েন্ট এবং হিমছড়ির আশেপাশে। শুধু সালমান শাহ নয় বর্তমান প্রজন্মের যতগুলো নায়ক এবং নায়িকার রয়েছে এবং যতগুলো সুন্দর সিনেমা হয়েছে এই সবগুলো সিনেমার বেশিরভাগ শুটিং কাছাকাছি হয়। এখন যেহেতু এখানে মানুষের আনাগোনা অনেক বেড়ে গিয়েছে তাই এই এলাকার তাকে শুটিং স্পট হিসেবে আর চিহ্নিত করা হয় না। কারণ মানুষজনের ভিড়ে শুটিং করতে একটু সমস্যা হয়ে যায় তাই এখন কলা তুলি পরে হিমছড়ির দিকে শুটিং স্পোর্ট গুলোকে চিহ্নিত করা হয় বেশি।
শৈবাল পয়েন্টে প্রবেশ করার আগে শৈবাল হোটেল টা খুবই চমৎকার এবং সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এখানে বিশাল একটি ভিগি রয়েছে যেই দিকে তাতে এক সময় পর্যটকদের জন্য ছোট ছোট নৌকা ছিল যেই নৌকাগুলো দিয়ে সমগ্র দিঘীটা ভ্রমণ করা যেত। বর্তমান সময়ে এসে পর্যটন এলাকার আরো সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু স্থাপনা এবং ভ্রমণ করার মত সুন্দর সুন্দর জায়গা তৈরি হওয়ার কারণে সুবল পয়েন্ট এর এই নৌকাগুলোর প্রচলন কমে গিয়েছে তাই এখন এগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাধারণত আমিও বাসিন্দা তারাই সবচাইতে বেশি শৈবাল পয়েন্টের আশেপাশে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যায়। সকাল সকাল একদম ঘুম থেকে উঠে অনেকে হাঁটার জন্য সবাই পয়েন্টে যায় এবং বিকেল থেকে এলাকার মুরুব্বী থেকে শুরু করে ইয়ং জেনারেশন সবাই শৈবাল পয়েন্টের আশেপাশে আড্ডা দেয়। কক্সবাজারে যতগুলো সুন্দর পয়েন্ট রয়েছে এর মধ্যে শৈবাল পয়েন্ট সবচাইতে সুন্দর। আমিও যখনই সুযোগ পাই কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু ভালো সময় কাটাতে চাই আমি শৈবাল পয়েন্টের এলাকায় গিয়েই সময় দিতে পছন্দ করি। আপনাদের যখন সুযোগ হবে কক্সবাজার ভ্রমণ করার জন্য আসবেন তখন অবশ্যই সেবল পয়েন্টের আশেপাশে ভ্রমণ করা যাবেন এলাকাটা অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।