আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। কোরবানির ঈদের ছুটিতে চলে এসেছি আমার গ্রামের বাড়ি আনোয়ারাতে। বেশিদিন থাকার সুযোগ নেই কোরবানির একদিন পরেই পুনরায় কক্সবাজার রওনা দিতে হবে। আর আপনারা তো জানেন আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ যখনই সুযোগ পায় তখন ভ্রমণ করার জন্য চলে যায় বিভিন্ন জায়গায়। আজকে বিকালে একটু ফ্রি সময় ছিল চেষ্টা করেছি ভ্রমন করতে বের হয়ে যাওয়ার জন্য। আনোয়ার হাতের বিখ্যাত অনেকগুলো জায়গার রয়েছে এর মধ্যে সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে আপনাদের একবার জানিয়েছিলাম। আজকে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম শহর সংযুক্ত করার জন্য যে শর্টকাট রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সেটা হচ্ছে টানেল। তামিল তৈরি করার মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহর থেকে আনোয়ারায় প্রবেশ করার রাস্তাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আনোয়ারা আসো পর্যন্ত আসতে শহর থেকে যেখানে প্রায় দুই ঘন্টার বেশি সময় লেগে যেত টানেল তৈরি হওয়ার পরে এই সময় লাগবে মাত্র 30 মিনিটের মত। খুব শিগগিররে টানেল উদ্বোধন করা হবে হয়তো বা সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসের দিকে। তামিলের রাস্তাটা খুবই সুন্দর এবং চমৎকার হয়েছে প্রতিদিন অনেকজন এই টানেলে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে চলে যায়। আজকে আমার সুযোগ হয়েছে তাই আমি টানেল রোডে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছি।
টানেল টা তৈরি করা হয়েছে কর্ণফুলী নদীর নিচে দিয়ে। টানেলের দুইটা সংযুক্ত রাস্তা রয়েছে।চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করার জন্য পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে টানেলের রাস্তা তৈরি হয়েছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এর যে টানেলের মুখ রয়েছে সেটা দিয়ে প্রবেশ করে এই টানেল দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা যেটা তৈরি হয়েছে সেটা হলো আনোয়ারা চৌমুহনীতে।আনোয়ারা চৌমুহনীর রাস্তাটা আগে ছোট ছিল এখন প্রায় ছয় লাইন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। টানেল তৈরি করার পরে বাঁশখালী আনোয়ারা চন্দনাইস বিভিন্ন গাড়ি যেগুলো আগে নতুন ব্রিজ হয়ে ঘুরে যেতে হতো সেই গাড়িগুলো এখন টানেল দিয়ে খুব সহজে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে পারবে। টানেল তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল টু টাউন ওয়ান মেগাসিটি প্রকল্প। টানেল উদ্বোধন হওয়ার পর খুব সহজে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। যাতায়াত ব্যবস্থাটা খুব সংক্ষিপ্ত হয়ে যাবে এবং খুব দ্রুত তার সাথে বিভিন্ন জিনিস আদান-প্রদান করা সম্ভব হবে। কথাই বলতে গেলে টানেলটি আনোয়ার আর আশেপাশে যারা গ্রামে বসবাস করে তাদের জন্য খুবই উপকারী একটি প্রজেক্ট রূপান্তরিত হবে। কারণ আনোয়ারাতে যাতায়েত সংকটের কারণে অনেক মানুষ উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত ছিল। তামিল উদ্বোধন হওয়ার ফলে এখানে নতুন নতুন ফ্যাক্টরি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এখান থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসা সহ আধুনিক জীবন যাপন করার ক্ষেত্রে টানেলটা হবে উল্লেখযোগ্য একটা অংশ। টাঙ্গাইল উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর আনোয়ারার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় নতুন করে কিছু ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া তৈরি করার প্রকল্পের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে শোনা গিয়েছে।
আনোয়ারা গ্রাম অঞ্চলে বর্তমানে একটি বড় মাপের ফ্যাক্টরি এবং দুটি সার ফ্যাক্টরি রয়েছে। টানেল যখন উদ্বোধন হয়ে যাবে এবং যাতায়াত ব্যবস্থা যখন আরো উন্নত হবে তখন এখানে যে খালি জায়গাগুলো রয়েছে সেখানে আরো কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া তৈরি করা সম্ভব। আর এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া গুলো যদি তৈরি হয় তাহলে আনোয়ারার পাশে শিক্ষিত এবং বেকার যে ছেলেগুলো আছে তারা চাকরির একটা ভালো সুযোগ তৈরি হবে। বেশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের উন্নতির জন্য ইয়ং জেনারেশন ভালো একটা ভূমিকা পালন করতে পারবে। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে সার্বিক দিক দিয়ে জানাইয়েন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে দেশে যাতায়াত ব্যবস্থা যত উন্নত সেই দেশ তত উন্নতির দিকে দ্রুত এগিয়ে যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে একটি হল চট্টগ্রামের টানেল এবং অন্যটির পদ্মা সেতু। এই দুটি মেকআপ প্রকল্প তৈরি হওয়াতে বাংলাদেশের উন্নয়নের অবশ্যই একটা ভালো ভূমিকা পালন করছে। দেশের যেসব উন্নয়নের জন্য যে জিনিসগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো অবশ্যই আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে। সেই সাথে এই জিনিসগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং এগুলোর উপযুক্ত ব্যবহার যেন আমরা করতে পারি সেদিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে। কল্যাণের সাথে তৈরি করা প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের সম্পদ আপনি যে সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লিখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।