আসসালামু আলাইকুম
আবারো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
কিছুদিন আগে কুমিল্লা শহরে ভ্রমণ করার একটা সুযোগ হয়েছিল। সুযোগ হয়েছিল বলতে আমি দীর্ঘদিন কোন জায়গায় কাজ করার পর মন-মানসিকতা একটু ভালো করার জন্য প্রায় সময় গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। এরকমই একটা না প্রায় তিন মাস কক্সবাজার শহরে কাজ করার পর মানসিকতা যখন একটি বড় লাগছিল তখন একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য কুমিল্লা শহরে চলে গিয়েছিলাম। কুমিল্লাতে যেহেতু আমার অনেকগুলো পরিচিত বন্ধু আছে তাই সেখানে ভ্রমণ করতে ভালো লাগে কারণ সেখানে ভালো একটা সঙ্গ পাওয়া যায়। যাওয়ার আগেই আমার কুমিল্লার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিলাম এবং তারা মোটামুটি ফ্রি ছিল সেরকম একটা প্ল্যান করে আমি চলে গেলাম কুমিল্লায় ভ্রমন করার জন্য।
|
https://what3words.com/adjusting.laying.space) |
---|
কুমিল্লা শহরটা খুবই সুন্দর এবং এখানে দেখার মতো অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে।
যারা পর্যটক এবং বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য কুমিল্লা জেলা হতে পারে একটি আদর্শ স্থান। বিশেষ করে যারা পুরাতন স্থাপনা দেখতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই কুমিল্লা ভ্রমণ করে আসতে পারেন কারণ এখানে ময়নামতি মোরা সহ অনেকগুলো সুন্দর বুদ্ধ মন্দির রয়েছে যেগুলো দেখে আপনাদের অবশ্যই নজর কাটবে এবং সেই সাথে মানসিক একটা প্রশান্তি লাভ করতে পারবেন। কুমিল্লাতে আমি প্রায় প্রতি বছরই যাওয়ার প্ল্যান করে কারণ এখান থেকে যাতায়াত ব্যবস্থাটাও খুবই সহজ এবং সুন্দর। বাস এবং ট্রেন দুইভাবেই কুমিল্লাতে যাওয়া যায় তাই চাইলেই খুব সহজে বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে কুমিল্লায় আসা যায়।
তো কুমিল্লাতে গিয়ে আমি দুইটা স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়েছি তার মধ্যে একটা ছিল ময়নার মত পাশে সুন্দর একটি শালবন বুদ্ধ বিহার রয়েছে সেই বৈদ্ধবিহার। বুদ্ধ বিহারটা সম্পর্কে এর আগেও আপনাদেরকে লিখেছি। এ বুদ্ধ বিহার টি মূলত তৈরি করা হয়েছে কুমিল্লার ময়নামতি যে স্থানটা রয়েছে সে স্থানটার স্মরণে। এছাড়া এটা একটি অনাথ আশ্রয় এখানে অনেকগুলো অনাথ শিশুদের ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে এবং এখানে তাদের জন্য পড়ালেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
|
https://what3words.com/adjusting.laying.space) |
---|
এর আগে কিভাবে কুমিল্লা শহর থেকে বুদ্ধ মন্দির টাতে যাওয়া যায় সেটার যাতায়াত খরচ এবং কতক্ষণ সময় লাগতে পারে সেটা সম্পর্কে লিখেছিলাম। এই বুদ্ধমন্দির টা তে মূলত বিদেশী কিছু অর্থায়ন রয়েছে এছাড়াও স্থানীয়রা মানুষরাও এই মন্দিরটাতে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে। এছাড়া এই মন্দিরে প্রবেশের জন্য টিকেটের ব্যবস্থা করা আছে প্রতিজন ২০ টাকা করে টিকেট নাই মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ গুলো সেই অনাথ বাচ্চা দের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার কাজে খরচ করা হয় এছাড়া মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং এর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আর তো বলো ব্যয় করা হয়। আমাদের দেশের প্রত্যেকটা দর্শনীয় স্থান সংরক্ষণ এবং যত্নের আঁকা আমাদের দায়িত্ব আমরা যখন কোন স্থানে ভ্রমন করতে যাব তখন সেখানে কারো সৌন্দর্য যেন বলে থাকে সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
|
https://what3words.com/adjusting.laying.space) |
---|
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।