আর যখন মানুষের কোন একটি ছোট আশা পূর্ণ হয় তখন সে খুশি ও আনন্দ অনুভব করে। আনন্দ ছোট একটি শব্দ কিন্তু এই শব্দের জন্য মানুষের যত পরিশ্রম। পরিবার পরিজনকে নিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা প্রত্যেকজনেরই দায়িত্ব। পরিবারের অভিভাবক চায় সব সময় তার পরিবারের মানুষগুলোকে ছোট ছোট আনন্দ দেওয়ার জন্য। আনন্দ দেওয়ার জন্য বিলাসবহুল জীবনের প্রয়োজন হয় না অনেক সময় ছোট একটা মুহূর্ত আনন্দের মুহূর্ত হতে পারে।
যেমন আপনার সাথে কারো ভালো সম্পর্ক থাকলে আপনি তাকে সময় দিয়ে আনন্দের মুহূর্ত দিতে পারেন। আপনার কিছু সুন্দর কথা এবং ভালো আচরণ একজন মানুষের আনন্দের মুহূর্ত হতে পারে। যে ব্যক্তিটা আপনাকে খুব পছন্দ করে এবং ভালোবাসে তাকে গুরুত্ব দেওয়াটাও তার জন্য আনন্দের মুহূর্ত। মানুষ বিভিন্ন কাজে তার আনন্দ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। আনন্দ ও মানসিক শান্তির জন্য অনেকে বাগান করে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। অনেকে গানের জগতে নিজেকে নিয়োজিত করে। এভাবেই পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ কোন না কোন কাজে নিয়োজিত রেখে আনন্দের সন্ধানে রয়েছে।
আমাদের চারপাশে আমাদের আত্মীয় জন আপনজন প্রতিবেশী প্রত্যেককেই আমরা আনন্দ দিতে পারে। আবার আমাদের কাজকর্ম আমাদের আচার-আচরণ এবং আমাদের কথাবার্তার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে কষ্ট দিতে পারি। সুতরাং মূলত আনন্দ দেওয়াটা নির্ভর করে একটা সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর। যে সমাজের মানুষ যতটা স্বচ্ছ সুন্দর আচার-আচরণ ও কথাবার্তায় নিজেদেরকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছে তারাই আনন্দে থাকতে পারে। আর যে সমাজ বিশৃঙ্খলা অন্যায় অবিভ যার অসৎ আচরণ ও কু কথাবার্তায় লিপ্ত সে সমাজে কখনো আনন্দ থাকা সম্ভব নয়। সুতরাং একটি সমাজকে সুন্দর ও আনন্দ মন্ডিত ভাবে করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের সকলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করা উচিত। সকালে মিলায় একত্রিত হয়েই একটি সুন্দর সমাজ গঠন করা সম্ভব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য ।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ