পৃথিবী অতিক্রম করার মাধ্যমে বছরে ৩৬৫ দিন হয়। আর এই দিনগুলোর মধ্যে আল্লাহকে স্মরণ করা কিংবা আল্লাহকে ডাকার জন্য আল্লাহ বিভিন্ন পদ্ধতি জানিয়ে দিয়েছেন। যেমন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ব্যাপারে আমাদের জানানো হয়েছে এ নামাজগুলো ফরজ। এছাড়া শুক্রবারে বিশেষভাবে জুমার নামাজের ব্যাপারে বলা আছে। এবং এগুলো ছাড়াও আরো কয়েকটি বিশেষ দিন রয়েছে যে দিনগুলোতে অতিরিক্ত ফজিলত অর্জন করা সম্ভব। এই ফজিলত দিনগুলোতে মানুষ চেষ্টা করে তার গুণাগুলো মাফ করিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত কিছু সওয়াব অর্জন করার।
এই অতিরিক্ত ফজিলত পূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী শবে মেরাজ শবে বরাত এবং বিশেষভাবে শবে কদর। সবে কদরের রাত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে একটি আলাদা সূরা নাযিল করেছেন। আমি সবে মেরাজের ঘটনা সম্পর্কেও আমরা পবিত্র কোরআন থেকে জানতে পারি। বরাতের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের নির্ধারিত কোনো আয়াত নাজিল না হলেও ইতিহাস থেকে আমরা এই দিন দুটিকে ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছি। ফজিলত পূর্ণ যেদিন গুলো রয়েছে সেই দিনগুলোতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে আহবান করে। যাতে মানুষ তার নিকটে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত সোয়াব অর্জন করতে পারে।
এরপর একটি বিশেষ মাস রয়েছে রমজান মাস যেই মাস অতিরিক্ত সব অর্জন এবং রহমতের মাস। এই ফজিলত পূর্ণ দিন ও রাতগুলোর মধ্যে আজকে শবে বরাতের রাত। এই দিন এবং রাত সম্পর্কে হাদিসে অনেক ফজিলতপূর্ণ রাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুতরাং আপনাদের সুযোগ অনুযায়ী আপনাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু অতিরিক্ত ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ফজিলতের আহ্বান করতে পারেন।
আশা করি আমরা সবাই আল্লাহর কাছে অতিরিক্ত দোয়ার মাধ্যমে তার নিকট বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পরার জন্য।
আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।