কক্সবাজারের প্রবেশের মুখে প্রথম যে স্পটে আমরা দেখতে পাই সেটা সাধারণত কলাতলী পয়েন্ট কিংবা ডলফিন মোড় নামে পরিচিত।
এখানে কোন ডলফিনের অংশ আপনি দেখতে পাবেন না। এখানে একটি সামুদ্রিক মাছের স্থাপনা তৈরি করা রয়েছে কিন্তু সেটা হাঙ্গর মাছ।
সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির হাঙ্গর মাছের একটি স্ট্যাচু এখানে রয়েছে ।
এ জায়গাটা কেন যে ডলফিন মোড় নামে পরিচিত সেই রহস্য এখনো পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারলাম না ।
তাই আমি চিন্তা করেছি এখন থেকে এই এলাকার নাম দিব শার্ক পয়েন্ট ।
কলাতলী পয়েন্টটা আপনি নিরাপদ ভাবে ভ্রমন করতে পারবেন ।
যারা একটু নীরবতা পছন্দ করেন তাদের জন্য কলাতলী পয়েন্টটা একটি আদর্শ পয়েন্ট বলে মনে করি।
কারণ এখানে খুব একটা ঝামেলা থাকে না।
মানুষ এখানে একটু কম ভিড় করে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবচাইতে বেশি মানুষ দেখা যায় সুগন্ধা পয়েন্টে এর কাছাকাছি।
সবগুলো হোটেল রয়েছে যেহেতু এই পয়েন্টের কাছাকাছি ।
থাকার ব্যবস্থা ভাল এবং সাগর থেকে হোটেলের দূরত্ব কম ।
খুব সহজেই যাওয়া যায় তাই মূলত বেশিরভাগ মানুষ কক্সবাজারে আসলে সুগন্ধা পয়েন্টের আশেপাশের হোটেল গুলোতেই উঠে।
যেহেতু সুগন্ধা পয়েন্টের আশেপাশে মানুষজন বেশি বসবাস তাই মানুষ সুগন্ধা পয়েন্টে ভিড় জমাই বেশি ।মানুষ বেশি হওয়ার কারণে এখানে কিন্তু কিছু সুবিধা রয়েছে।
কক্সবাজারের যাবতীয় বিভিন্ন রকমের যে পণ্যগুলো পাওয়া যায় তা আপনি আশেপাশে যে দোকানগুলো রয়েছে সে দোকানগুলোতে সব ধরনের পণ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
বিশেষ করে আচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বার্মিজ পণ্য ।
কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের তৈরি হাতের ব্রেসলেট ,মালা এই পয়েন্টের মধ্যে পাওয়া যায়।
কক্সবাজারে আসলে মানুষ তাদের নাম সামুদ্রিক শামুকের মধ্যে লিখে নিয়ে যেতে চায়। সুগন্ধা পয়েন্টে অনেকগুলো দোকান রয়েছে এ দোকান গুলোর মধ্যে আপনারা বড় শামুকে আপনাদের নাম নামের অক্ষর কিংবা বিভিন্ন বিষয় লিখে নিয়ে যেতে পারবেন ।এই দোকান গুলোতে দক্ষ কারিগর রয়েছে যারা খুব সুন্দর কারো কাজ করে।
আপনাকে সমস্ত শামুকের মধ্যে আপনাদের নাম লিখে দিবে।
এছাড়াও এসব এলাকায় যে দোকান গুলো রয়েছে সেখানে আপনারা ভালো মানের মুক্তার মালা পেয়ে যাবেন সাথে পাথরের মালা ও সামুদ্রিক যাবতীয় শামুকের নানা রকমের ডিজাইনের মালা তো রয়েছে।
কক্সবাজারে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বার্মিজ মার্কেট।
যেখানে আপনারা পাবেন ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমের পণ্য। দোকানগুলোতে কিন্তু চাকমা ও রাখাইন সম্প্রদায়ের মেয়েরা বসে।
কারণ তারা বংশ পরম্পরায় এই মার্কেটটা পরিচালনা করে আসছে।
উপজাতিদের বেশ কিছু গোত্র রয়েছে যা নারী প্রধান এইসব দোকানগুলোতে নারীরা ইনকাম করার জন্য পরিশ্রম দেয়। পুরুষরাও অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ।
বার্মিজ মার্কেট একটি ঐতিহ্যবাহী ও অনেক পুরাতন একটি মার্কেট। বলতে গেলে কক্সবাজার সমুদ্র পয়েন্টের দোকান গুলো যখন প্রতিষ্ঠিত হয়নি তারও আগে থেকে বার্মিজ মার্কেট প্রতিষ্ঠিত আছে ।
এটা কক্সবাজারের অনেক পুরাতন সময়ের একটি মার্কেট।
যেটা অনেক বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে।
মার্কেটের পাশে রয়েছে বিশাল আকারের শুঁটকির আড়ত।
যেখান থেকে আপনারা আপনাদের পছন্দের শুটকি কিনে নিয়ে যেতে পারবেন ।
এছাড়াও বার্মিজ মার্কেটের পাশে কক্সবাজারের স্থানীয় বড় বাজার রয়েছে এখানেও বিশাল শুটকির আড়োত রয়েছে ।
আর যারা শুধু সমুদ্র সৈকত এরিয়ার আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে চান এবং এর আশপাশ থেকেই কেনাকাটা করতে চান তাদের জন্য এখানে সব পণ্য রয়েছে যেগুলো আপনি বার্মিজ মার্কেট থেকে কিনতে পারবেন।
এক কথায় বলতে গেলে বার্মিজ মার্কেটে যে পণ্যগুলো রয়েছে সব পণ্যগুলো কিন্তু আপনি সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকেও নিতে পারবেন।। কিন্তু যারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যান তাদের জন্য বার্মিজ মার্কেটের তথ্য জানিয়ে রাখলাম যেন অন্তত আপনারা কক্সবাজার শহরটা ভালোভাবে ঘুরে দেখতে পারেন ।
কক্সবাজারের ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আগে আপনাদেরকে একটি ব্লগে আলোচনা করেছিলাম।
আজকে আপনাদেরকে কক্সবাজারের কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে কোন কোন মার্কেট রয়েছে কোথায় গেলে আপনাদের জন্য সহজ হবে সেটা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে জানালাম ।
আশা করি আপনাদের বিষয়টা ভালো লেগেছে।
পুনরায় নতুন ব্লগ নিয়ে আবার আপনাদের সামনে উপস্থিত হব।
ইনশাল্লাহ