আমাদের গ্রাম খুবই সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রামেই বলতে গেলে খুব সুন্দর। আর আমাদের গ্রামের স্পেশাল হচ্ছে আমাদের গ্রামের পাশেই কিন্তু বঙ্গোপসাগরের আরেকটি অংশ বয়ে গিয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেমন বঙ্গোপসাগরের একটা অংশ ঠিক তেমনি বঙ্গোপসাগরের আরো একটি বংশ প্রবাহিত হয়েছে আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে। এই জায়গাটি পারকি সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। যারা চট্টগ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা তারা এই জায়গাটি সম্পর্কে পরিচিত। কিন্তু বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মানুষরা এখনো পর্যন্ত কক্সবাজারের মত করে পারকি সমুদ্র সৈকতে জেনে উঠতে পারেনি। এই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সম্পর্কে আপনাদেরকে এর আগেও বলেছিলাম।
আজকে আপনাদেরকে বলবো গুবাদিয়া সৌন্দর্য সম্পর্কে।
গুবাদিয়া আমাদের সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে একটা নদী বয়ে গিয়েছে এই নদীর তীরে গেসে একটি গ্রাম।মূলত সমুদ্র সৈকত থেকে যতগুলো মাছ ধরার ট্রলার আছে সবগুলো এই এলাকায় এসে জমা হয়। এবং এখান থেকে মাছগুলো এই থানার আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। গোবা দিয়া এলাকার মুল বাজার পার হয়ে খুব সুন্দর একটি নৌবাহিনীর ঘাটির জন্য একটা ব্রিজ তৈরি করা আছে।এই ব্রিজের আশেপাশে ভ্রমণ করার জন্য ছুটির দিন এই এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষরা চলে আসে। শান্ত নদীর ঢেউ এবং চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হবে সবাই। এই জায়গাটি কোন টুরিস্ট স্পট নয় তাই এটা কারো পরিচিত জায়গা না। কিন্তু যারা স্থানীয়ভাবে থাকে তাদের কাছে এই জায়গাটা খুবই পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন শহর থেকে ছুটিতে আসে তখন বাইক নিয়ে এই স্থানে ঘোরার উদ্দেশ্যে চলে আসে।
এইবারের ঈদের ছুটির সময় আমরা যখন ভাইয়েরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম তখন আমরাও বাইক নিয়ে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছিলাম গোবাদিয়ার এই নদীর তীরে।এরকম একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌন্দর্যময় এলাকায় ভ্রমণ করার আনন্দই আলাদা। আর আত্মীয় স্বজন এবং ভাই ব্রাদার মিলে একত্রিত হয়ে যখন কোন জায়গায় ঘুরতে যায় তখন সেই অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।বিকালের পুরো সময়টা জুড়ে আমরা সবাই মিলে সময় কাটালাম এবং সন্ধ্যার সময় রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। আপনারা যারা চট্টগ্রামের বাসিন্দা কখনো যদি সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই বাইক নিয়ে ভ্রমণ করে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।