এই জিনিসগুলোর উপর ভিত্তি করে প্রত্যেকটা প্রাণীর জীবন নির্ভর করে। এবং এই বিষয়গুলোই পৃথিবীটাকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল পৃথিবীর প্রত্যেকটা প্রাণী পৃথিবীর এবার সৌম্য বজায় রাখার জন্য নিয়ন্ত্রিতভাবেই কাজ করে। শুধুমাত্র মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা পৃথিবীর শৃঙ্খলা ওলট-পালট করে দিচ্ছে। পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পিছনে সব চাইতে বড় হাত রয়েছে মানুষের। মানুষ এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা প্রাণীর মধ্যে সবচাইতে বুদ্ধিমান ও সভ্য। আমরা আমাদের সুবিধার জন্য যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংস করছি। যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ছে।
পৃথিবীর ভারসাম্য যখন নষ্ট হয় তখন সেটার প্রভাব সমগ্র পৃথিবীর উপর পড়ে। বায়ুমন্ডলে যখন দূষিত গ্যাস মিশে যায় তখন সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। আর মানুষ প্রত্যেকটা প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুমন্ডলে তো কোন অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় তখন প্রত্যেকটা প্রাণীর শ্বাস প্রশ্বাস কষ্ট হয় এবং বিভিন্ন রকমের রোগ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ও অপরিকল্পিত কলকারখানা নির্মাণের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণ করে যাচ্ছি। সেই সাথে গৃহ নির্মাণের জন্য আমরা বিশাল বিশাল আকৃতির পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে রূপান্তর করে ফেলছে। পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য এ পাহাড়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পৃথিবীর ভারসাম্য সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্যই বিশাল আকৃতির পাহাড় গুলো তৈরি করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের পাহাড়কে কিলকের / পেরেক সাথে তুলনা করেছেন। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে পাহাড় গুলো সমতল ভূমি কে সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে স্থাপন করা হয়েছে।
মানুষকে শুধু পাহাড় ধ্বংস করছে??
মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক ভারসাম্যের প্রত্যেকটা বিষয়ের উপর আকার আনছে। কলকারখানার দূষিত ও বিষাক্ত বজ্র নদীতে ফেলার মাধ্যমে নদীর পানি দূষণ করছে। এক সময়ে ঢাকা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত স্বচ্ছ বুড়ি গঙ্গা নদীর পানি বর্তমানে নর্দমায় রূপান্তরিত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হতে ঢাকা শহরের যতকাল কারখানার আবর্জনা ও দূষিত পানি রয়েছে সব নদীতে ফেরার কারণে। এভাবেই দিনের পর দিনকালের পর কাল আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন ভারসাম্য নষ্ট করেই যাচ্ছি। এবং এবার সম্ভব রক্ষার জন্য আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা পালন করতে পারছি না। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে এই পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া খুবই নিকটে। এবং আমরা খুবই কষ্টদায়কভাবে মৃত্যুবরণ করবো। পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে নানা রকমের রোগ আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে। এবং এসব রোগের ওষুধ আবিষ্কার কার করা সম্ভব হবে না। যার ফলে তিলে তিলে মানুষ কষ্ট পেয়ে মারা যাবে। সুতরাং আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে একটা সুন্দর পৃথিবী ও পরিবেশে আমরা বসবাস করতে পারবো।
আসুন আমরা সবাই একটু সচেতন হই এবং সুন্দর ও সুস্থ একটি পরিবেশে বসবাস করার চেষ্টা করি। আমাদের চারপাশের প্রকৃতি পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি এবং দূষণ থেকে যতটুকু সম্ভব বাঁচাতে চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ আপনারা সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য ।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ