কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সাধারণ
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়টাতে দোকানগুলোতে বিক্রির পরে মান খুবই কম থাকে। কারণ দিনের বেলাতে সবাই সমুদ্র সৈকত এলাকায় ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। আমরা সকাল থেকে দোকান খুলে মোটামুটি জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সামান্য কিছু জিনিস বিক্রি করতে পেরেছিলাম। যেহেতু শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে হবে তাই সবাই প্রতি সপ্তাহের মতো সাড়ে বারোটার মধ্যে তাদের দোকানগুলো বন্ধ করে ফেলল। বারোটার মধ্যে আমাদের দোকানটা গুছিয়ে সবাই মিলে চলে গেলাম আলিফ লাম মিম জামে মসজিদের জুম্মার নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে।সপ্তাহের জুম্মাবাকে প্রচুর পরিমাণে লোক মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে আসে। লাবনী পয়েন্টের দোকানদার ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পর্যটক এই দিন নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে আসে। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবারে প্রচুর ভিড় হয়।
মসজিদের দেওয়ান নিয়ে কিছু সুন্দর সুন্দর পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে কথা উল্লেখ করা আছে। এই বিষয়টা দেখে আমার দারুন লেগেছে।
অবশেষে মসজিদে হুজুরের বয়ান এবং জুম্মার নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে এলাম। একসাথে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পর পুনরায় দোকান খুলে বসে থাকবো প্রায় রাতে বারোটা পর্যন্ত। দোকানে আমরা সবাই যেহেতু ব্যাচেলর তাই আমাদের এখানে রান্নাবান্না করার কোন সুযোগ নেই। লাবনী পয়েন্টের পাশেই একটা পরিবার থেকে আমাদের দোকানের যত জন সদস্য আছে সবার জন্য রান্না করে নিয়ে আসা হয়। গতকালকে সবার আবদার ছিল আজকে দুপুরে বিরানী রান্না করে নিয়ে আসার জন্য। সে আবদার আজকে পরিপূর্ণ হল আজকে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে চিকেন বিরিয়ানি। ব্যাচেলরদের জন্য বিরিয়ানি একেবারে একটি অতুলনীয় খাবার। কারণ সাধারণত ডিম আলু ভর্তা সবজি অথবা যেগুলো সহজে তৈরি করা যায় এই খাবারগুলোই ব্যাচেলররা সবসময় খেয়ে থাকে। এর মাঝে আজকে আমরা বিরানি দিয়ে ধারণ খুশি।
দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পুনরায় বসে ছিলাম গ্রাহকের অপেক্ষায়। কিন্তু সেই জুম্মার আগে আমাদের যা বিক্রি হয়েছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের আর এক টাকাও বিক্রি করতে পারলাম না। ব্যবসার জিনিসটাই এমন হঠাৎ করে একটা কিংবা দুইটা গ্রাহক এমন চলে আসবে যাদের কাছে অনেক টাকা বিক্রি করা যায়। আবার কোন কোন দিন বিক্রি হয় না। লাভ ক্ষতি এবং কম বেশি বিক্রির মাধ্যমেই ব্যবসা পরিচালিত হয় এ বিষয়টা যারা মেনে নিতে পারবে তারা একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবে। সন্ধ্যার পর থেকে মোটামুটি অনেক কাস্টমার দোকানে এসেছে কিন্তু সবাই কেনাকাটা করেনি। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ শুক্রবারে কক্সবাজারে আসে এবং শনিবার সন্ধ্যায় রওনা দেয়। তাই অনেক সময় বেশিরভাগ কাস্টমার শুক্রবারে বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে পণ্য একটা যাচাই করে এবং শনিবার দিন কেনাকাটা করে। আশা করি আগামের কালকের দিনটা আল্লাহর ইচ্ছায় ব্যবসা ভালো হবে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।