আমি বর্তমানে কক্সবাজারে আছি আর কক্সবাজারে তো সমুদ্র সৈকত রয়েছে সেই সাথে হিমছড়ির পাহাড়ের এক আলাদা আনন্দ আছে। কিন্তু আমাদের গ্রাম আনোয়ারার মধ্যেও সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এটাও একটা সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ঈদ এবং কোরবানি কিংবা বিশেষ কোনো ছুটির দিনে চট্টগ্রামের যারা স্থায়ী বাসিন্দা তারা সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আআমাদের এই সমুদ্র সৈকতের পাশেই বিশাল একটা মোটামুটি জঙ্গলের মত এরিয়া রয়েছে যেখানে আমাদের গ্রামের লোকেরা তাদের পালনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। জায়গাটি আমাদের এলাকায় মাঝের ছড়া নামে পরিচিত।
এবারে পরিকল্পনা করেছিলাম সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি এই এলাকাটাকে একটু ঘুরে আসার জন্য। যেহেতু এলাকাটা একটু জঙ্গলে ঘেরা এবং যারা সবসময় যাওয়া আসা করে তাদের সাথে না গেলে পথ চেনা মুশকিল। আমাদের দুজন ছোট ভাই আছে যারা তাদের বিষয়গুলো সেই জঙ্গলে রেখে এসেছিল তাই তাদেরকে আমরা খুঁজে বের করলাম এবং চলে গেলাম আমাদের সেই অভিযানের উদ্দেশ্যে। আমি আমার এক আংকেল এবং আমার দুই কাজের মিলে আমরা মোট 6 থেকে 7 জন ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছিলাম মাঝেরছড়ার যে জঙ্গলটা রয়েছে সে জঙ্গলটাতে। আমাদের বাসা থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটতে হয় এর উপরে জঙ্গলটা পাওয়া যায়। জঙ্গল টাতে যাওয়ার আগে মোর রং সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য আমাদের মনকে মুগ্ধ করেছে।
আমরা যাদেরকে পুরস্কার হিসেবে নিয়েছিলাম তাদেরকে আগে হাঁটতে দিয়েছি এবং পেছন পেছন আমরা তাদেরকে ফলো করেছি। জঙ্গল তার পাশে একটা ছোট ছড়া রয়েছে যেখানে জোয়ারের সময় পানি চলে আসে এবং মোটামুটি এক কোমরেরও বেশি পানি থাকে তখন। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ভাটা ছিল তাই মোটামুটি এক হাঁটু পানি ডিঙ্গে আমাদের ছোট খালটা পার হতে হয়েছে। এখানে বিভিন্ন রকমের ছোট ছোট মাছ পাওয়া যায় যারা জঙ্গল তাতে তাদের গবাদি পশুগুলোকে দেখার জন্য যায় তারা এখান থেকে সুযোগ করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। যেহেতু মাছ ধরার কোন ইচ্ছা ছিল না তাই আমারা জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রচুর পরিমাণে বড়ই গাছ ছিল। বড়ই সিজনের সময় এই জঙ্গলে গেলে আপনি তৃপ্তি সহকারে প্রাকৃতিক বড়ই খেতে পারবেন। কিন্তু এটা আসলে কোন পর্যটনে স্পট নয়। সাধারণত স্থানীয় মানুষরা ছাড়া এই জায়গায় কেউ যায় না। এখানে তেমন কোন ভয়ংকর জঙ্গলি প্রাণী নেই কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে শিয়াল বেড়ে যায়। অনেকদিন পরিকল্পনা করার পর এই অ্যাডভেঞ্চারটা বাস্তবায়ন করতে পেরে অনেক আনন্দ পেয়েছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।