রমজান মাসে শেষ নবীর উম্মতের জন্য আল্লাহ এই বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছিলেন। আমরা সবাই সৌভাগ্যশালী যে আমরা এই রাত পেয়েছি। আজকে ২৬ তম রমজান শবে কদরের সম্ভব্য তাদের মধ্যে সবচাইতে গ্রহণযোগ্য এই রাতকে হিসাব করা হয়। যদিও বা আমাদের নবী রমজানের শেষ দশ রাতে বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদর তালাশ করতে বলেছেন। তাই আমাদের উচিত হচ্ছে শেষ বেজোড় রাতের প্রত্যেকটিতে সবে কদর তালাশ করা। মহান আল্লাহ বলেছেন এই রাতের মধ্যে ফেরেশতারা আল্লাহর বিশেষ রহমত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এবং তার একনিষ্ঠ ও মুমিন বান্দাদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেন।
আমরা যারা একমাস রমজানে রোজা রেখেছি তারা এই বিশেষ রাত পাওয়ার পর আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত আমাদের সাধ্য অনুযায়ী মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ইবাদতের মাধ্যমে সময় কাটিয়ে দেওয়া। ২৬ তম দিবাগত রাতের মত আমাদের ২৮ তম দিবাগত রাতেও শবে কদরের উদ্দেশ্যে এবাদত করা উচিত।আর আল্লাহর নির্ধারিত প্রত্যেকটা দিন রহমতস্বরূপ। সুতরাং আপনি যদি আপনার কল্যাণের স্বার্থে অতিরিক্ত ইবাদত করেন তাহলে সেটা আপনার জন্যই কল্যাণকর।
আসুন আমরা সবাই পবিত্র রমজান থেকে যে পবিত্রতা অর্জন করেছি সেটা সারা বছর বাস্তবায়ন করি। এবং আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে যেমন রমজান মাসে তার বান্দাকে ক্ষমা করে দেয় আমরাও আমাদের অনুগ্রহ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন। আল্লাহ যেমন তার বান্দার প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছেন, আমাদেরও উচিত তার প্রত্যেকটা বান্দার প্রতি কোমল হৃদয় ও সুন্দর আচরণ করা। তবে আমরা একজন প্রকৃত মানুষ একজন প্রকৃত মুমিন ও একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারব।
ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করব। এবং মহান আল্লাহর সামনে একদিন সন্তুষ্ট ও সম্মানের সাথে দাঁড়াবো।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য। আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।