আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
গ্রামের বাড়িতে আসলেই মোটামুটি একটা ভালো অবসর সময় কাটানো যায়। এ সময় চেষ্টা করি বিভিন্ন রকমের পরিচর্যা মূলক কাজ করার জন্য । আজ বিকালের সময়টাতে গ্রামের চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি ভ্রমণ করার জন্য বের হয়। গতকাল আমাদের পরিবারের সবাই মিলে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। যাইহোক তো ২-১ দিন বন্ধ আছে তাই আমার বড় ভাইয়া কক্সবাজার থেকে চলে এসেছে গ্রামের বাড়িতে। ভাইয়া যেহেতু চাকরি করে তাই তার বেশি দিন থাকার মত সুযোগ নেই তাই আমরা সবাই মিলে গতকালকে চলে গিয়েছিলাম আমার বড় বোনের বাসায় গমন করার জন্য। বিকাল থেকে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে বিকাল পাঁচটার দিকে বের হলাম। আমাদের গ্রামের চারপাশের রাস্তাঘাট এখন খুবই উন্নত হয়েছে। আমাদের বাড়ি থেকে কিছু তোর সামনে গেলে গাড়ি পাওয়া যায়। আমরা যেহেতু মানুষ বেশি ছিলাম তাই একটি রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে নিলাম।
গতকালকে আরও একটি সাপ্তাহিক বিশেষ দিন ছিল শুক্রবার তাই গাড়ি পেতে একটু কষ্ট হয়েছিল কারণ এই সময় প্রচুর পরিমাণে মানুষ আনোয়ারা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে আসে।কিছুতো অপেক্ষা করার পর আমরা গাড়ি পেয়ে গেলাম এবং সেই গাড়িটা নিয়ে আমরা আমাদের গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম। মন্তব্য আনোয়ারার থানার আওতাভুক্ত বন্দর এলাকায়। অটোরিকশাতে করে আমাদের বড় বোনের বাসায় পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট। আমরা যখন তার বাসায় পৌছালাম তখন মাগরিবের আযান দিয়ে দিচ্ছে। আপু আগে থেকেই যান তো আমরা আসবো তাই সে মোটামুটি অনেক কিছু আয়োজন করে রেখেছে। আমাদেরকে দেখে সবচাইতে বেশি খুশি হয়েছেন মনে হল আমার ভাগ্নি এবং ভাগিনা। কারণ বাচ্চারা যেভাবে তাদের খুশিতে প্রকাশ করে বড়রা সেভাবে খুশি প্রকাশ করে না। তারা খুশি ছিল সেই সাথে একটু লজ্জাও পাচ্ছিল কারণ অনেকদিন পর পর তাদের সাথে আমাদের দেখা হয়। ভাগিনি টা স্কুলে পড়ে মোটামুটি বড় হয়েছে কিন্তু ভাগিনা এখনো পর্যন্ত ছোট। সে প্রথমে কাছে আসতে চায় না কিন্তু কিছুক্ষণ সময় পার হওয়ার পর ঠিকই ছুটে চলে আসে। পর্যন্ত তাদের সাথে সুন্দর একটা সময় কাটালাম।
আপুর বাসায় এক ঘন্টা দুই ঘন্টা সময় অতিক্রম করার পর আমরা চলে গেলাম আমার বড় চাচার বাসায়। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ তাই ওনাকে দেখতে যাওয়াটাও জরুরী ছিল। আপুর বাসা থেকে বের হয়ে অন্য আরেকটি এলাকায় যেতে হয় বড় চাচুর বাসাতে। আপু বাসা থেকে বের হয়ে অটোরের সাথে করে বড় চাচুর বাসায় যেতে সময় লাগে ১০-১৫ মিনিটের মত। দূরত্ব তেমন বেশি নয় কিন্তু গতকালকে একটু জ্যাম বেশি থাকার কারণে যেতে সময় লেগেছে। এছাড়াও অনেকগুলো ছোটখাটো শর্টকাট রাস্তা আছে কিন্তু রাস্তাগুলো সংস্কার কাজ চলার কারণে আমাদেরকে অনেকটা পথ দুর দিয়ে ঘুরে যেতে হল। বড় চাচার বাসায় পৌঁছানোর পর চাচার অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে উনি আসলেই অনেক অসুস্থ তার কারণে গঠন আগের চেয়ে অনেক চিকন হয়ে গিয়েছে। আমরা সেখানে কিছুক্ষণ কৌশল বিনিময় করলাম এবং এরপর আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।