আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের অন্যতম সৌন্দর্যমন্ডিত একটি স্থান। আর আমার অনেক সৌভাগ্য যে এই স্থানে আমি বসবাস করছি। শুধু বসবাস নয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মন চাইলেই যে কোন সময় সমুদ্র সৈকতের সুন্দর ঢেউ উপভোগ করতে পারি।কক্সবাজার এলাকায় আজকের দিনটা ছিল বৃষ্টিময়। গতকালকে রাত থেকে মোটামুটি বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং সকালের দিকে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।প্রাকৃতিক পরিবেশে যে পরিমাণে গরম পড়ছে সে তুলনায় আজকে বৃষ্টি হয় পরিবেশটা অনেক ঠান্ডা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টি ময় পরিবেশ উপভোগ করতে করতে দোকানের দিকে রওনা দিলাম। চারিদিকে বৃষ্টি পড়ে রাস্তাঘাট সবকিছু ধুয়ে খুব সুন্দর একটা রূপ ধারণ করেছে। বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের আশেপাশের
এলাকার পরিবেশ দেখতে দারুন লাগছিল।
আজকে যেহেতু শুক্রবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এই দিনে প্রচুর পরিমাণে পর্যটকের আনাগোনা হয়। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে একটু তাড়াতাড়ি দোকানে চলে গেলাম। অন্যান্য দিন যখন দোকানে গিয়ে পৌঁছায় ততক্ষণে আমার সাথে যে দোকানে থাকে সে দোকানটা খুলে ফেলে। কিন্তু আজকে আমি একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার কারণে সে দোকান টা খুলে নি। অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল হয়তো বা বৃষ্টির কারণে তাড়াতাড়ি দোকান খুলে নি কেউ। মোটামুটি প্রায় দশটার মধ্যে আমরা দোকান খুললাম এবং প্রস্তুতি নিয়ে বসে গেলাম বেচাকেনা করার জন্য। শুক্রবারে পর্যটক প্রচুর পরিমাণে আসলেও বর্তমানে যেহেতু বর্ষাকালের আবির্ভাব হয়ে গিয়েছে তাই বর্ষাকালে পর্যটকের আনাগোনা নাই বললেই চলে।কিন্তু আজকের দিনে কম বেশি পর্যটক দেখা গিয়েছে। অন্যান্য দিন শুক্রবারে জুম্মার নামাজের আগে পর্যন্ত কাউকে কোন পণ্য বিক্রি করতে পারেনি কিন্তু আজকে সেরকমটি হয়নি। আজকের দোকান খোলার একটু পরে একজন কাস্টমারকে কিছু জিনিস বিক্রি করতে পেরেছিলাম। যেহেতু শুক্রবার আমি আবার পাঞ্জাবি পড়তে পছন্দ করি, প্রতি শুক্রবারে চেষ্টা করি পাঞ্জাবি পরে দোকানে যাওয়ার জন্য।
দশটা থেকে মোটামুটি সাড়ে বারোটা পর্যন্ত দোকান করে দোকানটা গুছিয়ে নিলাম। আজকে যেহেতু জুম্মার দিন জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যেতে হবে তাই আমরা সবাই সাড়ে বারোটা বা একটার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ফেলি
। সপ্তাহের শুক্রবারে জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য মানুষ আসলে যতটা আগ্রহ দেখায় ঠিক ততটা আগ্রহ যদি প্রতি বেলাতে নামাজের ক্ষেত্রে দেখা তো তাহলে অনেক পরিবর্তন চলে আসতো সমাজে। দোকান বন্ধ করে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম আজকের দোকান বন্ধ করতে করতে নামাজ শুরু হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকটা কাতারে মানুষ পরিপূর্ণ ছিল আমি যাওয়ার পর আবার দাঁড়ানোর জায়গা পাচ্ছিলাম না। অজু করার পর অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম কোন জায়গায় কাতার বন্দি হয়ে দাঁড়ানো যায় সেটা দেখার জন্য। জুম্মারনামার যে দিন অনেকগুলো মানুষ একসাথে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য যাই সেটা দেখে খুবই ভালো লাগে। একটা দোকানের সদস্য এবং পর্যটকরা সহ অনেক মানুষ আলিফ লাম মিম জামে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য জড়ো হয়।
অনেকগুলো মানুষের সাথে একসাথে আমার নামাজ আদায় করার পরে বের হয়ে চলে এলাম। দোকান যেহেতু বন্ধ আমার দোকানে যে সহযোগী আছে তিনি দোকান খুলতে খুলতে আমি একটু সমুদ্র সৈকত এলাকার সৌন্দর্য দেখার জন্য নিচের দিকে নেমে গেলাম। নিচের দিকে নেমে দেখলাম মোটামুটি অনেক ভালোই পর্যটক এসেছে বিশেষ করে পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার সুগন্ধ পয়েন্টে থাকে। লাবনীর পয়েন্টের দাঁড়িয়ে সুগন্ধা পয়েন্টের পরিবেশ দেখে বুঝলাম পর্যটক অনেক এসেছে। সমুদ্র সৈকত আশেপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখলাম। আমার অবসরের সময়ে আমি প্রকৃতির বিভিন্ন স্থানের ছবি তুলতে পছন্দ করি।কিছুক্ষণ সমুদ্র সৈকত বাড়ে হাটাহাটি করার পর পুনরায় দোকানে চলে গেলাম। দোকানে আমাদের জন্য খাবার রেডি করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী একজন আমাদের সকলের জন্য রান্নাবান্না করে নিয়ে আসে। আজকে দুপুরের খাবারের মেনি ও খুবই ভালো ছিল গরুর মাংস। আমার প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর দোকানের মধ্যে রেস্ট নেওয়ার জন্য শুয়ে পড়লাম। সাধারণত দুপুর একটার পর থেকে একদম মাগরিব এই সময়টা পর্যন্ত কাস্টমারের সংখ্যা খুবই কম থাকে। তাই প্রতিদিন দুপুর তিনটা থেকে মোটামুটি চারটা সাড়ে চারটা পর্যন্ত হালকা ঘুমিয়ে পড়ি। আবার মাগরিবের পর থেকে রাতের দশটা পর্যন্ত প্রচুর পর্যটকের ভিড় থাকে। কিন্তু এখন যেহেতু অফ সিজন চলছে তাই তেমন একটা ভিড় নেই। ইনশাআল্লাহ বর্তমান সময়ের যেই দুর্বল ব্যবসাটা চলছে সেটা সিজন আসতে আসতে কবার করে নেব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য। আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ