আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
আমার পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি ফুলটাইম কোন চাকরি করার ইচ্ছা ছিল না। মাঝে মধ্যে শর্ট টাইম কয়েকটা মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করেছি। সবসময় পরিকল্পনা করেছিলাম একেবারে মাস্টার্স শেষ করে ভালো কোন পজিশনের জন্য অপেক্ষা করব। কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজারে যে অবস্থা এখন মাস্টার্স পাস হাজার হাজার তরুণ বেকার ঘোরাঘুরি করছে। অনেকদিন পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টরে ভালো একটা পোস্ট পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি যখন দীর্ঘদিন চাকরি হচ্ছিল না তখন চাকরি করার মন মানসিকতা একেবারেই উঠে গেল। এরপর আস্তে আস্তে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় কাজ শুরু করি। গত কয়েকদিন আগে অনেক আগে সিবি জমা দিয়েছিলাম একটা সেক্টরে সেখান থেকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য একটা কল আসে।চিন্তা করলাম যেহেতু এখন ফ্রি সময়ে আছি এবং বাড়িতে ছুটিতে আছি ইন্টারভিউ দিয়ে দেখি কি হয়। কারণ এটা হচ্ছে ইপিজেড আমার বাড়ির একদম কাছে এবং এর ভেতরের পরিবেশটা খুবই চমৎকার এবং সুন্দর। অনেক মানুষ তাদের বাস্তবে পিকনিকের আয়োজন করার জন্য এই স্থানে ভ্রমন করার জন্য আসে। আর আমি যেহেতু ভ্রমণ প্রিয় মানুষ এখানে যদি চাকরি করার সুযোগ হয় তাহলে অন্তত এই এলাকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ থাকবো।
১৯ তারিখ চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য একদম সকাল বেলা প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম আমার এক আংকেলের সাথে যাওয়ার জন্য। কারণ আমার ওই আংকেল এই ইপিজেটে চাকরি করছে এবং তার সাথে যদি আমি সেখানে যাই তাহলে খুব সহজে কোন স্থানে ইন্টারভিউ নিবে সেটা চিন্তা আমার সহজ হবে। সকাল সাতটা ত্রিশ মিনিটে আমরা আমাদের বাসা থেকে রওনা দিলাম এবং আটটার মধ্যে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। ইপিজেটের ১১ নম্বর গেটে আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম এবং ৮ঃ৩০ মিনিটে আমাদের ডাক আসলো লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য। নয়টা বাজে লিখিত পরীক্ষা শুরু হলো ৪০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষা এর মধ্যে ৫০ টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ছিল । যেহেতু প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে আমি কোন চাকরীতে এপ্লাই করিনি এবং চাকরির কোন প্রস্তুতি ছিল না তাই কনফিউশনে ছিলাম পরীক্ষা কেমন হবে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নটা তেমন আমার কাছে জটিল লাগেনি মোটামুটি সহজ প্রশ্ন মনে হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর এগারোটায় আমাদের ভাইবা পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা বলে যদি পরীক্ষা নিচ্ছিলেন তিনি সেই রুম ট্যাগ করে চলে গেলেন। অতঃপর এগারোটা ৩০ মিনিটের দিকে ভাইবা পরীক্ষার জন্য ডাকা হল। আমি যেই পোস্টে আবেদন করেছি সেই পোস্টে মোটামুটি ৩০ জন পরীক্ষার্থী ছিল কিন্তু ৫ জন উপস্থিত হওয়ায় ২৫জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছে। আমার সিরিয়াল নাম্বার ছিল প্রায় ২২ নাম্বারের দিকে। তাই অনেকক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। আমি যখন ভাইবা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম তখন প্রায় চারটা অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। অবশেষে ভাইবা পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে এলাম এবং ইপিজেটের চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকো। পাঁচটা বাজে আঙ্কেলের ডিউটি শেষ হল আমরা দুজন একসাথে বের হবে পুনরায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।