আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। এই বছর প্রচুর পরিমাণে গরম পড়েছে যা সর্বত্র তাপমাত্রা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই পারে যে পরিমাণ তাপমাত্রা পড়েছে সেই পরিমাণ তাপমাত্রা আগে কখনো দেখা যায়নি। রোদের তাপমাত্রায় পিচ ডলার রাস্তার আলকাতরা পর্যন্ত গলে গিয়েছে। কিন্তু এখন একটুও স্বস্তি হিসেবে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে এবং বৃষ্টি পড়ছে প্রচুর পরিমাণে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য আসলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একটা সময় বাংলাদেশের দেখা যায় না। এখন বাংলাদেশের শীতকালে প্রচুর পরিমাণে শীত পরে গরমকালে পছন্দ করো এবং বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়। কক্সবাজারে গত তিন-চার দিন যাবত যে পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এটার ফলে চারিদিকে রাস্তাঘাট নালা সহকারে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আজকের দিনটা সহ ছুটির দিন কাটানোর পরিকল্পনা ছিল মোটামুটি এক সপ্তা পর্যন্ত। কিন্তু সকালবেলা থেকে যে পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেই বৃষ্টির কারণে গ্রামের বাড়িতে ভ্রমন করতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিলাম। প্রতিদিনের মতো দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়ে রাস্তার চারপাশে দেখি ড্রেন সহ রাস্তার এপার থেকে ওপার পানিতে ডুবে গিয়েছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
বৃষ্টি একটু কমানোর পর চিন্তা করলাম ঘরে বসে থেকে আর লাভ নেই একটু দোকানের দিকে চলে যায়। দোকানের দিকে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার দুই মিনিট পরেই পছন্দ পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টির কারণে এক জায়গায় আশ্রয় নিলাম কিন্তু এই বৃষ্টিতে 40 মিনিট পর্যন্ত বন্ধ হওয়ার কোন নাম নেই। অনেকক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর অবশেষে চিন্তা করলাম যে বিজয়ী গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে হবে তাছাড়া বৃষ্টিতে ভেজার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে। যেই চিন্তা সেই কাজ সাইকেল নিয়ে দোকানের দিকে রওনা দিলাম বৃষ্টিতে ভিজে। এদিকে গত দুই তিন দিন আগেও আমার পছন্দ পরিমাণে জ্বর ছিল সেই চিন্তাভাবনা মাথা থেকে সরে গিয়েছে বৃষ্টিতে ভিজতে পেরেছি এটাই অনেক বেশি। দোকানে এসে পড়ে গেলাম আরো একটা বিপাকে কাট বেজা হয়ে যখন দোকানে এসেছি তখন মনে পড়ে গেল আমার তো অতিরিক্ত কোন কাপড় নেই যেটা পরিবর্তন করে আমি দোকানে বসবো। অতঃপর দোকানে আসার পর কাপড় চোপড় পরিবর্তন করার জন্য কিছু না পেয়ে ভেজা প্যান্টটা পড়েছিলাম এবং উপরের গেঞ্জিটা পরিবর্তন করে দোকান থেকে একটা নতুন গেঞ্জি গায়ে দিলাম।
যেহেতু প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কুত্তার একটা অবস্থা চলছে এ সময় সমুদ্রের অবস্থা ছিল খুবই ভয়ানক। সাগরের প্রত্যেকটা ঢেউ উলটপালট ছিল এবং পানিগুলো অনেক উপরের দিকে উঠে এসেছে। সেই সাথে লাবনী পয়েন্ট সুগন্ধা পয়েন্ট সহ প্রত্যেকটা এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ঝড়ো হওয়া বয়ে গেছে। বর্ষাকালে বিশেষ করে কক্সবাজারের বাসিন্দাদের জন্য এই বিষয়টা একদম স্বাভাবিক একটা বিষয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ঝড়ো হওয়ার সাথে এই এলাকার মানুষরা অভ্যস্ত হওয়ার কারণে তারা সাধারণত বাতাস কিংবা অনেক পরিমাণে বৃষ্টিকে খুব একটা পরোয়া করে না। সব মিলিয়ে আজকের পরিবেশটা ছিল অনেকটা ভয়ানক আবার খুবই সুন্দর ঠান্ডা এবং শীতল। বৃষ্টির কারণে চারিদিকে জ্বলাবদ্ধতা হয়ে গেলেও কোন রকমের বড় দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি এটাই একটা খুশির সংবাদ কারণ বেশিরভাগ সময় বৃষ্টিতে পানিতে রাস্তাঘাট যখন তলিয়ে যায় তখন অনেকগুলো দুর্ঘটনা হয়। আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।