আসসালামু আলাইকুম
আবারো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আশা করি সবাই ভাল আছেন। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। বাংলাদেশের এই বছর যে পরিমাণে গরম পড়েছে সেই পরিমাণে গরমের রেকর্ড পূর্বে কখনো পাওয়া যায়নি। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন যে কোন দেশে গরমের মাত্রা শীতের মাত্রা এবং বৃষ্টির মাত্রা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটা ব্যতিক্রম নয় যেহেতু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্য পরিবর্তন এসেছে তাই এখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকাল অতিক্রম করে বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে আর বর্ষাকালের ভয়াবহ পরিবেশ আমরা গত তিন-চারদিন ধরে দেখছি। চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে উপজেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কক্সবাজার বান্দরবন এই এলাকাগুলোতে কখন জলাবদ্ধতা কিংবা বন্যার কোন তথ্য কখনো পাওয়া যায়নি। এবারের বর্ষাতে প্রচুর পরিমাণে পানি কক্সবাজার জেলা সহ আশেপাশের যে থানাগুলো রয়েছে প্রত্যেকটার থানা পানিতে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। অবশেষে গত দুইদিন ধরে কক্সবাজারের পরিবেশ পরিস্থিতি একটু শান্ত এবং গত কালকে থেকে আমরা রোদের দেখা পেয়েছি। প্রায় একটানা ৫ দিন বৃষ্টি হওয়ার পর গতকালকে থেকে কক্সবাজার শহরের রোড দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে জলাবদ্ধতার মাঝে আটকে ছিল সবাই কিন্তু আমরা তবুও চেষ্টা করেছি আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তত খোলা রাখার।
আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে কক্সবাজারের সুন্দর রাস্তাঘাট গুলো দেখা যায় যদিও বা দুই তিন দিন আগে এই রাস্তাঘাট গুলো পানিতে একদম ডুবা ছিল। পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে এর আগে একটি ব্লগে আপনাদের সামনে লিখেছিলাম। গতকালকে বা কক্সবাজারে পরিবেশ পরিস্থিতি সুন্দর হওয়ার কারণে এবং রোদ ওঠার কারণে পানিগুলো দ্রুত নেমে গিয়েছে এবং চারিদিকের সুন্দর একটা পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। সাইকেল নিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন রোডে ভ্রমণ করেছি যেহেতু পর্যটক নেই তাই দোকানের ব্যস্ততা ও ছিল না। অন্যান্য সময়ে যেই ভাবে তাড়াতাড়ি দোকান খোলার জন্য যেতাম বর্ষার দিনগুলোতে এত তাড়াতাড়ি দোকান খোলার প্রয়োজন নেই। এ সময়ে আমরা দোকানে এসে একে অপরের সাথে গল্প করে দিনটা কাটিয়ে দেই কারণ বর্ষাকালে কক্সবাজার ভ্রমণ করার জন্য পর্যটকের আনাগোনা হয় না।
গতকালকে কক্সবাজারের হলিডে মোড় থেকে শুরু করে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত যে রাস্তাটা আছে এই রাস্তাটার চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখলাম। এখানে বেশ কিছু জায়গায় পানির ঝোলাবদ্ধতা হওয়ার কারণ নেই নতুন করে নির্মাণ করা রাস্তা ভেঙ্গে পুনরায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা অপরিকল্পিতভাবে তৈরি হওয়ার কারণে রাস্তার উপর পানি জমে গিয়েছিল। নতুনভাবে রাস্তা তৈরি করেছে কিন্তু পানি নিষ্কাশনের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রাখেনি যার কারণে পুনরায় নতুন ফুটপাত ভেঙ্গে পানি অপসারণের কাজ শুরু করছে। কক্সবাজারকে একটি সুন্দর ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পদক্ষেপ নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এই উন্নয়ন এবং সুন্দর করে তৈরি করা কাজগুলো যদি অপরিকল্পিতভাবে করার কারণে পুনরায় ভেঙে তৈরি করতে হয় তাহলে এখানে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। তাই মেগা প্রকল্পের যেকোনো কাজ সচ্ছ এবং সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে করা হলেই একটা বেশ সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়া সম্ভব। এভাবেই কত কালকে মোটামুটি কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করার মাধ্যমে দিনটা অতিক্রম হয়েছে রাত্রে এসে দোকানে একটু সময় দিলাম। এবং খুব তাড়াতাড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেলাম কারণ যেহেতু বেচাকেনা ওভাবে হচ্ছে না তাই দোকানে আর বসে থাকলাম না।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।