আসসালামু আলাইকুম আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আশা করি সবাই ভাল আছেন। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। অনেকদিন পর ছুটি কাটানোর জন্য গ্রামের বাড়িতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এসেছে। কোরবানির ঈদের ছুটিতে আসার পরে কর্মস্থলে জয়েন করার পর প্রায় ৪৫ দিন অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে আসা হয়নি সাধারণত প্রতি মাসে একবার করে ছুটি নিয়ে বাড়ির দিকে আসা হয়। এবার একটু ঝামেলা থাকার কারণে দীর্ঘদিন পরে এসেছি। আর গ্রামের বাড়িতে আসার পর সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা থাকে সেটা হল নেটওয়ার্ক সমস্যা যার কারণে সঠিক সময়ে অনলাইনে থাকতে পারেনা এবং কোন ব্লগ শেয়ার করতে পারেনি।আমাদের গ্রামের বাড়ি তে এই শুক্রবারে অবস্থান করেছিলাম। অনেকদিন পর গ্রামের বাড়িতে আসার পরে আমারও সমবয়সী যে বন্ধুরা ছিল ছোট ভাই এবং আমার চাচু অনেক খুশি হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে খুব ভালো আড্ডা জমেছে।
গ্রামের বাড়িতে শুক্রবারে কোন না কোন একটা অনুষ্ঠান থাকেই। এই অনুষ্ঠান হতে পারে খত্নার হয়তো বা বিবাহের কিংবা কর্ণ ছেদনের অথবা মেজবানের। যতবারই গ্রামের বাড়িতে আছি ততবারই কোন না কোন একটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি।এই শুক্রবারে আমাদের একটা মেজবানের দাওয়াত ছিল। গ্রামের বাড়িতে মেজবানের আয়োজন মানে জমজমাট আয়োজন। একদিন আগে থেকেই আমাদের বাসায় এসে যাদের বাসায় মেজবানের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে তারা এসে আমাদেরকে ডেকে গেল। দাওয়াত যেহেতু পেয়ে গেছি মেজবান অবশ্যই যেতে হবে। শুক্রবার সকাল থেকে বাড়িতে টুকটাক কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তারা কাজ শেষ করলাম। যেহেতু আব্বু এবং আম্মু একা বাড়িতে থাকে তাই প্রত্যেকটা দিক তাদের গোছানোর রাখা সম্ভব না। তাই সকালে উঠে ছাদের কিছু অংশ পরিস্কার করলাম এবং আমার রুমটা একটু গুছিয়ে পরিস্কার করে রাখলাম। আমার মা ছাদ বাগান করেছে মাশাল্লাহ খুবই চমৎকার হয়েছে সুন্দর সুন্দর সবজি এবং আমি কিছু ফুল গাছ লাগিয়েছিলাম সেখানে দারুন সব ফুল ফুটেছে।
বাড়িতে টুকটাক কাজ করতে করতে জুম্মার নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেল। বৃষ্টির কারণে চারিদিকের পুকুরগুলো পানিতে পরিপূর্ণ ছিল। গোনা পাওয়ার কারণে পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি অনেক ইচ্ছা ছিল পুকুরে গোসল করব অনেকদিন পরে গিয়ে। টোপর ভাষার মধ্যে গোসলের কাজটা শেষ করে নিলাম। এরপর জুম্মার নামাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম আর নামাজ শেষ করেই হবে মেজবানের দাওয়াতে যাওয়া। পাশের বাসার ছোট ভাই জুম্মার নামাজে যাওয়ার আগেও একবার এসে ডেকে গেল মেজবান যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। সবাই মিলে চলে গেলাম মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে। যথাযথ সময়ে নামাজ শেষ করার পর আমরা চাচা ভাতিজা ছোট ভাই সবাই মিলে চলে গেলাম মেজবান বাড়ির উদ্দেশ্যে। গ্রামের মেজবান গুলোতে প্রচুর পরিমাণে মানুষের আনাগোনা হয়। যেহেতু আমাদের আত্মীয়র বাড়িতে মেজবান ছিল তাই আমরা আলাদাভাবে বাড়ির উঠোনে বসে পড়লাম এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সবমিলিয়ে যারা গ্রামের বাড়ির ছবিটা খুব ভালো কেটেছে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য।
আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ