আজকে একদম সকাল সকাল প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এলাকায় কিন্তু অন্যান্য থেকে বৃষ্টি হয়নি। আপুর দুইটি ছেলে মেয়ে আছে তারা গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল তাদের ছোট মামার জন্য। আমি আমার ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে একসাথে প্রায় চারটার দিকে আপুর বাসায় পৌছালা। অনেকদিন পর ছোট মামাকে দেখে এবং তাদের ভাইকে থেকে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল । তাদের জন্য সামান্য একটা খেলনা নিয়ে গিয়েছিলাম সেই খেলনা হাতে পেয়ে মহা খুশি। তিনজনে মিলে সাথে সাথে খেলনা নিয়ে খেলতে বসে গেল। বাচ্চাদের চেহারার মধ্যে একটা আলাদা প্রশান্তি রয়েছে একটা ঘরে যখন অনেকগুলো বাচ্চা থাকে তখন সেখানে কোন মানুষের টেনশন থাকে না। বাচ্চাদের আছে পাশে থাকলে বাচ্চাদের সাথে কথা বললে এমন বাচ্চাদের সাথে খেললে এমনিতেই মানসিক টেনশন গুলো হাওয়া হয়ে যায়। অনেকদিন পর্যন্ত তাদের সাথে খেললাম আমি একটি ছোট ক্লক বাক্স তাদের জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম ব্লক গুলো দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করে দিলাম। অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে খেলা শেষ করে বাংলাদেশের বর্তমানে বিদ্যুতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিদ্যুৎ চলে গেল। তারপর একসাথে সবাই মিলে ছাদের উপরে চলে গেলাম কারণ ঘরের মধ্যে যে পরিমাণ গরম লাগছিল সেটা সহ্য করার মতো নয়।
আচ্ছা ওটার সাথে সাথে আমার বোনের বাসার প্রতিবেশী যিনি আছেন তিনি তার বাচ্চাকে নিয়ে চলে আসলো ছাদের উপর। আর সব বাচ্চারা একসাথে খেলা শুরু করে দিল। বাচ্চা যখন একসাথে থাকে তারা অনেক রকমের খেলায় যে খেলার নিয়ম নেই। তাদের যখন যেটা ভালো লাগে যেটা যেভাবে করতে মন চায় তারা সেটাই করে। কিছুক্ষণ তারা রেল গাড়ির মতো করে একে অপরের সঙ্গে সারি বেদে হাটাহাটি করছিল কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করছিল কিছুক্ষণ আবার আমার পাশে এসে বসেছিল। তারা যখন দেখলো আমি মোবাইল হাতে নিয়ে কিছু একটা করছি আমার পাশে আমার বড় ভাগিনীতি দৌড়ে গেল এবং বলল মামা আমাদেরকে ছবি তোল।তখন তার কথা রাখার জন্য সবাইকে একপাশে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি তুললাম একসাথে। ছবি তোলার পর তাদের আবার আবদার ছবি কেমন হয়েছে সেটা তাদেরকে দেখাতে হবে। মামার মোবাইল ফোনের তাদের নিজেদের ছবি আকারে বন্দী করতে পেরে মহা খুশি তারা। বিভিন্ন রকমের হাতের অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে ছবিতে পোচ দিয়ে দিল বাচ্চাগুলো। বর্তমান সময়ের বাচ্চা গুলো আধুনিকতার সাথে নিজেদেরকে যেভাবে মিলিয়ে নিয়েছে আমরা হয়তোবা অতটা আধুনিক ছিলাম না।
সারাদিন রোদ রোধ ঝলমল দিন থাকার পরেও বিকালের পরে হঠাৎ করে আকাশ মেঘলা হয়ে গেল একদম ঘন কালো অন্ধকার মেঘে ঢেকে গেল চারিদিকে। কিন্তু যেভাবে আকাশের কালো মেঘ থেকে গিয়েছিল সেভাবে বৃষ্টি হলো না তবে পরিবেশটা অনেক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
মাগরিব পর্যন্ত আপুর বাসায় সময় কাটিয়ে ফিরে আসার সময় হয়ে গেল। আমি যখন ট্রেনে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন আমার আপুর ছোট ছেলেটা কান্না শুরু করে দিল। এতটাই চিৎকার করে কান্না করছিল যে তারা কান্না থামানো যাচ্ছে না। অতঃপর অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাকে কোলে নিয়ে হাতে হাতে করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আপনজনের মাঝে একটা আলাদা প্রশান্তি আছে আজকে অনেকদিন পর আমার ভাগ্নি এবং ভাগিনার সঙ্গে দেখা করতে পারে একটা আলাদা শান্তি কাজ করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।