গতকাল ছিল শুক্রবার আর শুক্রবার মানেই কক্সবাজার শহরের জন্য জমজমাট একটা পরিবেশ। যেহেতু বন্ধের দিন প্রচুর পরিমাণে পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুক্রবারে বেড়াতে আসে। গতকাল সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই তাড়াতাড়ি রওনা দিলাম দোকানের দিকে। গত কালকে আবার সকাল থেকে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়া মানে কিন্তু আবার আরো একটা সমস্যা সেটা হলো পর্যটক এর আনাগোনা কম হয়। বৃষ্টিরে সময় মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পছন্দ করে কম। তবুও বৃষ্টির পরিবেশ পরিস্থিতি যখন একটু শান্ত হয়েছে তখন ১০ঃ০০ টার দিকে চলে গেলাম লাবনী পয়েন্টে আমার দোকানের দিকে। লাবনী পয়েন্টে গিয়েই দেখে বৃষ্টির কারণে চারপাশের পরিবেশ মোটামুটি ডুবে গিয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজার শহরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই ভালো করেছে তাই এখানে বেশিক্ষণ পানি জমে থাকে না।
কিন্তু শুক্রবার হিসাবে যে রকম পর্যটক আসার কথা ছিল সেই পরিমাণ পর্যটক এর আগমন হয়নি।সকাল থেকে দোকান খুলে বসে ছিলাম কিছু ব্যবসা করার আশায়। অন্যান্য শুক্রবারের দিন একদম সকাল থেকেই ব্যথা করা শুরু হয়ে যায় কিন্তু এই শুক্রবারে পর্যটকের আগমন কম হয় বেচাকেনা শুরু হতে একটু দেরি হল। একদম জুম্মা নামাজের আজানের একটু আগে একজন কাস্টমারকে অল্প পরিমাণে কিছু জিনিস বিক্রি করতে পারলাম।
জুম্মার নামাজের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে মানুষের আনাগোনা একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুইটার পরে আমাদের দুপুরের খাবার চলে আসলো একসাথে বসে দোকানে আমরা তিনজনে মিলে খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর গল্প করে সময় কাটায় দেওয়ার পালা কারণ দুপুরের পর থেকে মাগরিবের আগের সময়টা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার দোকানগুলোতে কাস্টমার একেবারে নাই বললেই চলে। সন্ধ্যার পর থেকে ভালো একটা ব্যবসা হবে চিন্তা করেছিলাম সে আশা নিয়েই বসে ছিলাম। কিন্তু আসলে রিজিক জিনিসটা পুরোটাই আল্লাহর উপরে নির্ভরশীল আল্লাহ যখন যেভাবে দিবে সেভাবেই রিজিকটা মেনে নিতে হবে। গত দুই শুক্রবারে যেভাবে ব্যবসা হয়ে ছিল এই শুক্রবারে ঐরকম ভাবে ব্যবসা হয়নি। ব্যবসা একটা পবিত্র জিনিস এটা আল্লাহর নির্ভরশীল হয়ে এগিয়ে যেতে হয়। ধীরে ধীরে সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।