আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। এই বছর প্রচন্ড গরম অতিক্রম হয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে পড়েনি। এখন আস্তে আস্তে পরিবেশ পরিস্থিতি ঠান্ডা হচ্ছে বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে যার কারণে চারপাশের পরিবেশটা শান্ত শীতল রয়েছে। আজকের দিনের পরিবেশটা ছিল খুবই শান্ত সারারাত গুটি গুটি বৃষ্টি হয়েছে এবং সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে সারাদিন পরিবেশটা খুবই ভালো ছিল।আজকে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভালো একটা ঘুম হয়েছে তাই ঘুম থেকে একটু দেরি করে উঠেছি।সকাল অনেকগুলো কাপড় জমা ছিল সবগুলো আজকে একসাথে ধুয়ে দিয়ে দিলাম।অন্যান্য দিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে দোকানে চলে যাই আজকে একটু ভালো ঘুম হয়েছে তাই দোকানে আসতে আসতে সময় পার হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে বারোটা। যেহেতু অনেকে দেরি করে দোকানের দিকে গিয়েছে তাই সকালের নাস্তা হিসেবে একেবারে গতকালকে রাত্রের ভাবি বিরানি রান্না করেছিল সেটা খেয়ে চলে এলাম।
দোকানে যাওয়ার জন্য যখন ঘর থেকে বের হয়েছিলাম তখন গুটি গুটি বৃষ্টি পড়ছে।
এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই বৃষ্টির কোন ধারাবাহিকতা থাকবে না যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে যে কোন মুহূর্তে রোদ হতে পারে। আসলাম ততক্ষণের দোকান খুলে ফেলেছে এবং বেচাকেনা চালু হয়ে গিয়েছিল। গত দুই তিন দিন যাবত দোকানের ডেকোরেশন পরিবর্তন করলাম এবং নতুন কিছু মাল যোগ করেছে যার কারণে একটু ঝামেলা ছিল। দোকানে আগে শুধু কাপড় বিক্রি করেছিলাম কিন্তু বর্তমানে নতুন করে ছেলে এবং মেয়েদের স্যান্ডেল যোগ করা হয়েছে। নতুন কোন জিনিস যখন এড করা হয় তখন একটু ঝামেলা বেশি হয়ে যায় প্রত্যেকটা জিনিস নতুন করে যোগ করার ক্ষেত্রে একটু সাজিয়ে নিতে সময় লেগেছিল। গত দুইদিন ধরে ভালোভাবে জিনিসগুলো আশা দিয়ে নিয়েছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিছু জিনিস অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিস যখন ঠিক মত সাজানো হয়ে যাবে তখন পুনরায় দোকানে সৌন্দর্য ফিরে আসবে।
একটা দোকান কে ভালোমতো প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট রাখা দরকার যাতে গ্রাহককে সব রকমের সেবা দেওয়া যায়। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সফল করতে চাইলে বিভিন্ন রকম ভাবে সেটাকে পরিকল্পনা করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তবেই ধীরে ধীরে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কুরবানী ঈদ পার হয়ে চলে গেল এখন আর আগের মতো ব্যস্ততম দিন যাচ্ছে না। শুক্রবার এবং শনিবারে মোটামুটি একটু চাপ থাকে এরপর থেকে সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে অতটা ঝামেলা থাকেনা। তাই বলতে গেলে এক প্রকার অবসর সময় পার করছি দোকানে বসে। বর্ষাকালে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশটা খুবই সুন্দর হয়ে যায় এর চারপাশের পরিবেশটা দেখতে দারুন লাগে। সমুদ্র সৈকতের পরিবেশটাও পরিবর্তন চলে আসে ঢেউ গুরু অনেক বড় বড় এবং ঘন হয়ে যায়। প্রকৃতির এই অপরূপ পরিবর্তন শুধুমাত্র যারা কক্সবাজারে সব সময় বসবাস করে তারাই দেখতে পাবে পর্যটকদের পক্ষে কক্সবাজারের এক এক সময়ের একেক রূপ দেখা সম্ভব নয়।
দুপুরে থেকে মোটামুটি মাগরিবের সময় পর্যন্ত খুব একটা বেচাকেনা করতে পারলাম না। মাগরিবের পর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চেষ্টা করেছি কিছু একটা ব্যবসা করে নেওয়া। যেহেতু এখন আগের মত পর্যটক আসেনি তাই অন্যান্য সময়ে যেভাবে ব্যবসা হয় সেভাবে ব্যবসা করে নেওয়া সম্ভব না। তবুও চেষ্টা করেছি যে কয়েকটা কাস্টমার এসেছে প্রত্যেকটাকে কম বেশি করে প্রোডাক্ট সেল করতে। দশটার পর থেকে ঝামেলা অনেক টাকা কমে যায় এরপর থেকে দোকানের যে অগোছালো কাজগুলো ছিল সেগুলো গুছিয়ে নিয়ে দোকানটাকে ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে চেষ্টা করব। আজকের দিনের পরিবেশ পরিস্থিতি। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।