আসসালামু আলাইকুম
আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
আমি যখনই সুযোগ পাই চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে। অথবা আমার যেসব কাছের মানুষ এবং আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। কারণ কাছের মানুষের কে আমরা যখন নিয়মিত খোঁজখবর নেব এবং তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বজায় রাখবো তখন আমাদের মধ্যে আন্তরিকতা বজায় থাকবে। যোগাযোগ না থাকলে সম্পর্কের দূরত্ব বৃদ্ধি পায় এবং একসময় সম্পর্কের মধ্যে একটা অনিহা চলে আসে। তাই সম্পর্কে যোগাযোগ যোগাযোগ টা খুব জরুরী।
অনেকদিন পর কক্সবাজারের উল্লেখযোগ্য এবং সুন্দর একটি জায়গাগুলো খুরুশকুল ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার এক আপু থাকে অনেকদিন পর্যন্ত আপুর সাথে দেখা হয় না চিন্তা করলাম একটু তার সাথে দেখা করাই আসা উচিত। একদিন আগে রাতে কথা বলে জানতে পারলাম তিনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত অসুস্থ ছিলেন এবং তাকে হাসপাতালেও ভর্তি রাখা হয়েছিল কয়েকদিন। আমি যেহেতু একটু ফ্রি ছিলাম তাই চিন্তা করলাম এই সময়ের মধ্যে দেখা করে আসা উচিত। সকালের দিকে হালকা একটু কাজ ছিল সেই কাজটা শেষ করে এগারোটার দিকে রওনা দিলাম আপুর বাসার উদ্দেশ্যে।খুরুশকুল এলাকাটা বেশি দূরে নয় কক্সবাজার সদর থেকে ২০ টাকা গাড়ি ভাড়া খরচ করার বিনিময়ে পৌঁছানো যায়। আপু যে এলাকায় থাকে সেই এলাকার নাম টাইম বাজার। আমি আবার সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে যেহেতু এলাকাটা কাছে তাই সাইকেল নিয়ে চলে গেলাম। এই এলাকাতে সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। একসময় যখন বেকার এবং ফ্রী সময় কাটাতাম তখন বিভিন্ন এলাকায় সাইকেল নিয়েই ভ্রমণ করতে চলে যেতাম।
সাইকেল নিয়ে আপুর এলাকায় পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১৫ মিনিটের মত। আপুর বাসাতে অনেক দিন পরে যাওয়ায় সেখানকার আশেপাশের অবস্থার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখলাম। নতুন কিছু রুম তৈরি করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশন পরিবর্তন হয়েছে।আমি পৌছাতেই আপু ছুটে গেল এবং তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেকদিন পর আমাকে দেকে ব্যাপক খুশি হয়েছে।আপুর বাসায় বসে অনেকক্ষণ পর্যন্ত আপুর সাথে গল্প করলাম। এরমধ্যে জানতে পারলাম মাত্র গতকালকেই তিনি হাসপাতাল থেকে এসেছেন। এই যে দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটা মানুষের সাথে যোগাযোগ না থাকার কারণে তাদের অবস্থা সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না। আপুটা আমাদের সম্পর্কের আত্মীয় হলেও নিজের বোনের চেয়েও আমি তাকে কম মনে করি না এবং তিনিও আমাকে তার ভাইয়ের মতোই স্নেহ করে।অনেকক্ষণ পর্যন্ত বসে তার অবস্থা এবং বিভিন্ন বিষয়ে খবরা-খবর নেওয়ার পরে আপুর বাসা থেকে বিদায় নিলাম। এবং আসার পথে এলাকার চারপাশের সৌন্দর্য জায়গা কিছু ছবি তুলে নিলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।