যেহেতু আমাদের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দুটি দোকান আছে তাই আমি যাওয়ার পর দ্বিতীয় দোকানটাতে বসলাম। আমার দোকানের বেশ কয়েকজন স্টাফ এর মধ্যে ছুটিতে গিয়েছে প্রায় তিনজন তাই আজকে একটু চাপ বেশি পড়াতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দুপুরের আগ পর্যন্ত মোটামুটি একটা অবস্থা ছিল। এছাড়া আজকে যেহেতু শুক্রবার তাই জুমার নামাজ পড়তে যেতে হবে।জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ফেলি। দোকান বন্ধ করে চলে গেলাম আমাদের লাবনী পয়েন্টে ঐতিহাসিক মসজিদ আলিফ লাম মিম জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে। এই মসজিদটা সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। একসময় এই মসজিদটা সামান্য টিনে ঘেরা একটা মসজিদ ছিল। বর্তমানে এটি একটি দুইতলা ভবনের রূপান্তরিত নিয়েছে। কিছু পরিবর্তন যুগের সামনে হলে অবাক লাগে। পর্যটকসহ কক্সবাজার দোকানদারদের সমন্বয়ে এই মসজিদটা এই অবস্থানে আসতে পেরেছে।
জুম্মার নামাজ শেষ করে পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে চলে এলাম। দোকান গোছালোভাবে খোলার আগে একটু সমুদ্র সৈকতের চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি বহন করার জন্য একটু নিচ থেকে হেঁটে এলাম। শুক্রবারে দিন যেহেতু বন্ধের দিন তাই পর্যটকের আনাগোনা থাকে অনেক। প্রতি শুক্রবারের মতো এই শুক্রবারেও প্রচুর পর্যটক এর উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এই পর্যটক গুলোর মধ্যে খুব কম সংখ্যক বাহিরের এবং অধিকাংশ কিন্তু স্থানীয় অর্থাৎ কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। কক্সবাজারের বিভিন্ন থানা থেকে প্রতি শুক্রবারে অনেক লোক সমুদ্র সৈকত দেখার উদ্দেশ্যে আসে। কিছুক্ষন সমুদ্রের চারপাশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পুনরায় ফিরে এলাম নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে।
দুপুরের পর থেকে আছরের সময় পর্যন্ত খুব একটা বিক্রয় হয় না কারণ এই সময় খাবারের টাইম এবং মানুষ একটু বিশ্রাম নিতে পছন্দ করে। আসরের পর থেকে মোটামুটি রাতের ১১ঃ০০ টা পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় থাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টের প্রত্যেকটা দোকানে। আজকে আমরা বেশ কিছু পর্যটকে দেখতে পেলাম যারা অনেক দূর দুরান্ত থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে এসেছে।সিলেটের কিছু গ্রাহকের কাছে আমরা গত দুইদিন ধরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছি তারা আগামী কালকে চলে যাবে এবং আজকে এসেও আমাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করেছে। অবশেষে সব মিলে মোটামুটি দিনটা একটু ব্যস্তময় কেটেছে। রাতের প্রায় বারোটার কাছাকাছি পর্যন্ত কাস্টমার মার্কেটে ঘোরাঘুরি করছিল। বারোটার পরে আমি খাওয়া দাওয়া করে বাসার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য। আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।