কক্সবাজারের বিখ্যাত যেসব পণ্য পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচাইতে বেশি উৎপাদিত যে পণ্যটি পাওয়া যায় সেটা হল শুটকি। কক্সবাজারের তিনটা জায়গায় শুটকি সবচাইতে বেশি উৎপাদিত হয় এর মধ্যে মহেশখালী এবং নাজিরারটেক অন্যতম। নাজিরহাট থেকে উৎপাদিত শুটকি সমগ্র বাংলাদেশের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমি শুটকির উদ্যোগ নিয়ে কাজ করি অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে শুটকি বিক্রি করা হয়। এক সময় এই আস্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে শুটকি কালেক্ট করতাম। বর্তমানে আমার একটা বন্ধু সে নিজেই শুটকি প্রসেস করে তার কাছ থেকে কালেক্ট করা হয়। শুটকির পরে কক্সবাজারে সবচাইতে জনপ্রিয় যে পণ্যটা পাওয়া যায় সেটা হল মহেশখালীর মিষ্টি পান। স্থানীয় পণ্যগুলোর মধ্যে শুটকি উপরেই জনপ্রিয় হচ্ছে মিষ্টি পান। মহেশখালী ছাড়াও কক্সবাজারের হিমছড়ি ইনানি সোনার পাড়া বিভিন্ন এলাকায় পান উৎপাদিত হয়। কিন্তু হিমচড়ি সোনার পাড়া এবং ইনানী এলাকায় যে পানগুলো উৎপাদিত হয় সেগুলো মিষ্টি হয় না। একমাত্র মহেশখালীতে উৎপাদিত পানগুলোই মিষ্টি হয়। তাই মহেশখালীর মিষ্টি পানের কথা বিভিন্ন গানে গানে ছড়িয়ে রয়েছে। মহেশখালী এলাকার আদিনাথ মন্দির যেমন বিখ্যাত তেমনি মহেশখালী এলাকার পান অনেক বিখ্যাত। মহেশ কালের পান যেমন মিষ্টি তেমনি এই পানগুলো অন্যান্য এলাকার পানের চেয়ে আকারেও বড় হয়।
পর্যটকদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসার পর আরও একটি জিনিসের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকে সেটা হচ্ছে বার্মিজ আচারের প্রতি। কক্সবাজারে টেকনাফের বর্ডার হয়ে প্রচুর পরিমাণে বারমিস আচার প্রবেশ করে। টেকনাফ সহ কক্সবাজারের প্রত্যেকটা সমুদ্র সৈকত এলাকার দোকানগুলোতে আচার বিক্রি হয়।প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক লক্ষ লক্ষ টাকার আচার কিনে নিয়ে যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে। কক্সবাজার এলাকার শুটকি যেমন বিখ্যাত ঠিক তেমনি কক্সবাজার এলাকায় মায়ানমারের আচারও বিখ্যাত। কক্সবাজারের মায়ানমারের আরো কিছু প্রোডাক্ট প্রবেশ করে এর মধ্যে লুঙ্গি অন্যতম একটি প্রোডাক্ট। এছাড়া তিন-চার ধরনের চকলেট প্রবেশ করে কক্সবাজারে। সব মিলিয়ে বলতে গেলে কক্সবাজারে ডিফারেন্ট কিছু জিনিস পাওয়া যায় যেগুলো বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাতে পাওয়া সম্ভব নয়। আর কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে না আসলেও কক্সবাজারের পাহাড় এবং সমুদ্রের সৌন্দর্য আপনার মনকে মুগ্ধ করবে। তাই প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারে চলে আসে এবং
প্রতিবছর পর্যটকরা কক্সবাজারে এসে অনেক টাকার কেনাকাটা করে। আপনাদের সবাইকে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরো একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।