প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আমার দিনটি শুরু করে এক কাপ চা পানের মাধ্যমে। আজকে আমি চা পান করেছি চিনির পরিবর্তে জিরো ক্যালোরি দিয়ে। যদিও আমার কাছে চিনি দিয়ে চা পান করতেই বেশি ভালো লাগে। যাদের ডায়াবেটিস আছে ডাক্তার তাদেরকে চিরকাল দিয়ে সব ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য বলে থাকেন বিশেষ করে চা পান করার সময় জিরো ক্যাল ব্যবহার করতে বলেন। গতকালকে আমি প্রথমবার জিরো ক্যাল টেস্ট করেছি এবং আজকে আমি দ্বিতীয়বারের মতো জিরো ক্যাল খেলাম। সবচেয়ে মজার বিষয় হল চা পান করার সময় আমার আজকে ছবি তোলার কথা মনে ছিল না তাই চা পান করা শেষে আমি খালি কাপটি একটি ছবি তুলে রাখি (হাহা)।
চা পান করার পর আমি বাগানে যাই, মানে আমার বারান্দা বাগানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার হালকা গোলাপি রঙের পর্তুলিকা (Moss rose) গাছে একসাথে অনেকগুলো ফুল ফুটেছে আজকে। এই ফুলগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বেশ কয়েকটি কালারের পত্তুলিকা গাছ আমার বাগানে রয়েছে। আমার কাছে হলুদ রঙের ফুলটি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যেটি আজকে ফোটে নি। পরবর্তীতে সেই ফুলটি ফুটলে আপনাদের সাথে অবশ্যই তা শেয়ার করব।
তারপর আমি খেয়াল করি, বাগানে রাখা কাঁচামরিচ গাছটিতে বেশ কিছু মরিচ পেঁকে রয়েছে। মজার বিষয় হলো গত তিন দিন আগেও আমি এখান থেকে একটি মরিচের ছবি তুলেছিলাম কিন্তু এখানে এতগুলো কাঁচামরিচ হয়েছিল সেটাই আমি দেখতে পাইনি। আজকে কাঁচামরিচ গুলো পেকে লাল হয়ে থাকার কারণে সেটি দেখতে পেরেছি। তারপর আমি প্রত্যেকটি পাঁকা মরিচ তুলে ফেলি গাছ থেকে। কেননা এখানে পাকা মরিচগুলো রেখে দিলে দু'একদিনের মধ্যে সেটি গাছ থেকে ঝরে একদম নিচে পড়ে যাবে। আর একবার মরিচে নীচে পড়ে গেলে সেটি তুলে আনা সম্ভব নয়।
বিকেলে আমার বোন বিছানার দুটি বিছানার চাদর কিনে নিয়ে আসে । কিন্তু তার কেনা বিছানার চাদর গুলোর একটিও আমার পছন্দ হয়নি। যদিও আমার মা বেশ পছন্দ করেছে চাদর দুটি। চাদর কিনে আনা হলেও চাদরের সাথে যে কভারগুলো ছিল সেগুলো বানাতে দেওয়া হয়নি। আশা করি আগামী কাল টেইলার্সের কাছে গিয়ে সেগুলো বানাতে দিয়ে আসব।
বিকেলে আমরা সবাই বসে একসাথে আড্ডা দেই। আড্ডা দেওয়ার সময় আমরা কমলা খাই। এই ছোট সাইজের কমলাগুলো বেশ ভালো লাগে। তুমি তো আপনারা সবুজ রঙের যে কমলাগুলো দেখতে পারছেন সেগুলো আমাদের দেশীয় কমলা যা পঞ্চগড় উৎপন্ন হয়। পঞ্চগড়ে খুব বেশিদিন ধরে কমলা উৎপাদন শুরু হয়নি আগে শুধু সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলা উৎপাদন করা হতো। আমার জেলা থেকে পঞ্চগড় খুব কাছাকাছি হয় আমি এই বিষয়টি (কমলা উৎপাদনের) নিয়ে বেশ আগ্রহী। যদিও সবুজ রঙের কমলাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টক হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো টক ছিলনা ।
আড্ডা দেওয়ার সময় আমি ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাই। তারপর দ্রুত দ্রুত আমি বারান্দা যায় এবং সেখানে একটি ট্রেনকে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যেতে দেখি।আসলে আমি জানি না এই এই ট্রেন ঢাকায় যাবে কিনা তবে আমার কাছে মনে হয় সব ট্রেন ঢাকায় যায় (হাহা)। বিশাল বড় এই ট্রেনটিকে আমি একসাথে তুলে ধরতে করতে পারিনি তাই আমি দুপাশ থেকে দুটি ছবি তুলেছি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
আজকে আমাদের বাসায় বিশাল বড় চিংড়ি আনা হয়। এগুলো বরিশাল থেকে একজনকে দিয়ে আনানো হয়েছে। আমি এখানে সবচেয়ে বড় চিংড়িটির ছবি তুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমাদের শহরে সব সময় এরকমই দেখা যায় না। অনেকেই বলে এই চিংড়িগুলো খেতে খুব বেশি সুস্বাদু হয় না। তবে আমার কাছে বড় চিংড়ি গুলো খেতে ভালই লাগে। আশা করি খুব শীঘ্রই আমি চিংড়ি রেসিপি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আজকে চিংড়ি রান্না করা হয়নি কেননা এটি যখন বাসায় আনা হয়েছে তখন বিকেল হয়ে গিয়েছে। রাতে আমি বাচ্চাদের সাথে লেগো সিটি হিরোস দিয়ে খেলি কিছুক্ষণ।
Device | Samsung Galaxy A12 |
---|---|
Photographer | @pea07 |