মেম সাহেব

আসসালামুয়ালাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন
আমি রাবেয়া আজকে আসলাম একটা উপন্যাস বই এর রিভিউ নিয়ে ,
যে বই এর বিষয় লিখবো বই এর নাম মেম সাহেব
লেখক নিমাই ভট্টাচার্য
পুরা বই টা লেখক তার দোলা বৌদি কে লেখা একটি চিঠি
IMG_20230430_230432.jpg

লেখক দোলা বৌদি কে তার কালো মেম সাহেব এর কথা গুলো চিঠিতে লিখছে প্রকাশ করেছে
যদিও দোলা বৌদি আগেই সব আন্দাজ করেছিল তাদের কথা
তারপর লেখক নিজে তার মেম সাহেব এর কথা জানায় চিঠিতে কারণ দোলা বৌদি লেখক এর বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল
প্রথমে আমি যখন বইটা পড়া শুরু করেছি প্রথম পৃষ্ঠা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম হয়তো লেখক বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন কিন্তু মনের মত পাচ্ছেন না কিন্তু পড়তে পড়তে ভিতরে গিয়ে বুঝতে পারলাম লেখক কোনো বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছিল না সে তার কথায় জমা ছিল এক রাশ কষ্ট
IMG_20230430_230255.jpg

মানুষ যে কত ভাবে মানুষকে ভালোবাসতে পারে সেটা মেম সাহেব আর রিপোর্টার সাহেব এর কথা না পড়লে বুঝতে পড়তাম না
মেম সাহেব এর সাথে লেখকের প্রথম দেখা হয় ট্রেন এর ভিতর তারপর কোনো এক বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে
সেই বসন্তে দুজন দুজনকে বসন্তের সাথে সাথে বরণ করে নিয়েছিল
লেখক ছিলেন একজন খবর এর কাগজের ছোট রিপোর্টার
লেখক খুব ছোট বেলায় বাবা মা কে হারায় ছিল তার এক দিদি কিছুদিন পর দিদির ও বিয়ে হয়ে যায় এদিকে লেখক হয়ে পড়ে একা
একা একা খুব কষ্টে জীবন এর সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছেন তিনি
এই সংগ্রামী জীবনে লেখকের জীবনে সময়ের সাথে সাথে কিছু নারীর আগমন ঘটে আবার তার সমাপ্তি ও ঘটে যায়
IMG_20230430_230518.jpg

শেষে আসে কালো মেম সাহেব, মেম সাহেব কে লেখক তার আগের জীবনের নীলিমার কথা বলায় মেম সাহেব বলেছিল সুন্দরী মেয়ে দেখলে তোমার মাথা নষ্ট হয় সেটা আমি জানি, আমি তো কালো কুৎসিত মেয়ে আমাকে তোমার ভালো লাগে না
লেখক মেম সাহেব এর কথা শুনে বলেছিল -
প্রহরে শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ
এসংসারে নিত্য খেলায় প্রতিদিনের প্রাণের
মেলায়
বাটে ঘাটে হাজার লোকের হাস্য পরিহাস
মাঝ খানে তার, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ

লেখক একদিন এক রেস্তোরায় বসে দুজনের খাবার অর্ডার করে বসেছিল এমন সময় মেম সাহেব উপস্থিত একটু পরে খাবার চলে আসলো দুজনের খাবার দেখে মেম সাহেব খাবার মুখে দিয়ে কি যেনো চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়েছে লেখক জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে মেম সাহেব জিজ্ঞেস করলো আমি যে আসবো এটা তুমি কিভাবে জানলে
লেখক বলেছিল কিভাবে জানলাম এটা জানিনা তবে স্থির বিশ্বাস ছিল যে আজ আমাদের দেখা হবেই
মেম সাহেব বলেছিল এতো মনের জোর
হ্যা
মেম সাহেব কে লেখক অনেক ভালোবাসতো আর মেম সাহেব ও পাগলের মতো ভালো বাসতো
লেখক অসুস্থ্য হলে মেম সাহেব গিয়ে সেবা করতো
মেম সাহেব বই আমার পড়া অসাধারণ একটা উপন্যাস
দুজনের কথা ,মনের মিল দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি
মেম সাহেব একটা কলেজের প্রফেসর এর চাকরি পায়
লেখক ও বড় রিপোর্টার হয়ে যায়
মেম সাহেব আর লেখক এর বিয়ে ঠিক হয় বাসা থেকে তারপর দুজন মিলে একটা বাসা নেয় আর সেই বাসায় মেম সাহেব এর পছন্দ মত সব ফার্নিচার এনে গুছিয়ে রাখে
মেম সাহেব রকিং চেয়ার এর খুব সখ ছিল তাই লেখক করে বলেছিল ওগো আমাকে একটা রকিং চেয়ার কিনে দেবে আমি শীতের দুপুরে খেয়ে এসে চেয়ারে দোল খেতে খেতে তোমার বই পড়বো
মেম সাহেব এর স্বপ্নের সীমা ছিল না
নিজের হাতে মেম সাহেব তার সংসার গোছালো কিন্তু শেষ আশা টা আর পূরণ হলো না তাদের বিয়ের আগেই মেম সাহেব এক রাজনৈতিক মারামারির গোলাগুলির মধ্যে গুলি খেয়ে মারা যায় মেম সাহেব মেম সাহেব মারা যাওয়ার পর আমি কিছুক্ষন চুপ হয়ে গিয়েছিলাম
বুঝতেই পারলাম না এটা কি হলো, স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম আমার অবস্থা ই এমন হয়েছিল তাহলে লেখক এর কি অবস্থা হতে পারে,

IMG_20230430_230544.jpg

মেম সাহেব এর মৃত্যুর সময় লেখক তার কাছে ছিল না অফিস এর কাজে দেশের বাইরে ছিল
দেশে এসে মেম সাহেব এর মৃত্যুর খবর শুনে তার যেনো পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল লেখক অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল
লেখক তার কালো মেম সাহেব কে ভুলতে পারছে না কারণ মেম সাহেব তার জীবনে প্রতিটা মুহূর্ত ছিল ভালো মন্দে , সুখে দুঃখে সব সময়
লেখকের বাসার প্রতিটা জিনিস মেম সাহেব নিজের হাতে করেছে ঘুচিয়েছে
এগুলো লেখক দোলা বৌদি কে এগুলো লিখে নিজেকে সামলাতে পারলো না তাই এখানেই সমাপ্ত করেছিল
উপন্যাস টা অসাধারন পুরা পুরি গুছিয়ে লিখতে পারিনি
ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
আমি আবার আসবো অন্য কোনো কথা নিয়ে নতুন কোনো গল্প নিয়ে সেই পর্যন্ত আল্লাহ আপনাদের সবাইকে ভালো রাখুন সুস্থ্য রাখুন
আল্লাহ হাফেজ

DeviceName
AndroidRealme c11
Camera13MP camera
LocationBangladesh 🇧🇩
Short by@rabeya1
H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment