সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিন টি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
সে প্রতিদিন এর মত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। ফজরের নামাজ পড়ে আর ঘুমায়নি। আমার মেয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিল। তাই ওকে ফ্রেশ করে ওর সাথে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করলাম। বেশ খুশি হয়েছিল, আমার মেয়ে আবার খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু একা একা খেলে না কেউ ওর সাথে খেলতে হবে। তাই মেয়েকে কিছুক্ষণ সময় দিলাম।
খেলাধুলা শেষ করে নাস্তা খেতে গেলাম। দেখলাম আমার ওয়াইফ নাস্তা রেডি করে রেখেছে। সবাই মিলে একসাথে বসে নাস্তা করলাম। সকালের নাস্তায় চা পরোটা ছিল। চা পরোটা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
এরপর সে প্রতিদিনের মতো দোকানে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম। এরপর দোকানে গেলাম। আজকে দোকানে অনেক ঝামেলা ছিল, অনেক কাস্টমার ছিল। তাই অনেক সময় দিতে হয়েছে দোকানে। আসলে শুক্রবারে দোকানে একটু ঝামেলা থাকে। দোকানের কাজটা শেরে 12 টার সময় বাসায় ফিরলাম। যেহেতু শুক্রবার মসজিদে যেতে হবে সে তো একটু তাড়াতাড়ি বাসায় আসলাম।
দোকান থেকে এসে হাত মুখ ধুয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেলাম। যেহেতু বাহিরে অনেক গরম,তাই শরবত খেলে খুব ভালো লাগে।
এরপর গোসল করে জামা কাপড় পড়ে মসজিদ চলে গেলাম। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে বাসায় এলাম। এরপর বসে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। ওদিকে দুপুরের খাবার দাবার সব রেডি হচ্ছিল।
এরপর সবাই মিলে একসাথে বসে দুপুরের খাওয়া খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে মেয়েকেও খাইয়ে দিলাম। মেয়ে আজকে আমার হাতে ভাত খাবে। একবার বলাতে আর না করতে পারলাম না, বসে পড়লাম মেয়েকে খাইয়ে দিতে। প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লাগলো ওকে খাওয়াতে। ছোট মানুষ তো খাবার দাবার এ বেশ জ্বালায়।
এরপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। এবং আমরা কিছুক্ষণ মোবাইলে নাটক দেখলাম। অবসরে নাটক, মুভি দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিছুক্ষণ নাটক দেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।
এরপর 5:20 এ ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে আমার কিছু কাজ ছিল সেগুলো সেরে নিলাম। তারপর সন্ধ্যা হালকা নাস্তা খেয়ে, আবার দোকানে চলে গেলাম।
এরপর দোকানে সব কাজ সেরে রাত ১১টায় বাসায় ফিরলাম। আসার সময় মেয়ের জন্য একটা মামা বিস্কুট নিয়ে আসলাম। ওর আবার বাহিরের জিনিস খুব পছন্দ।কিন্তু আমি বাহিরের খাবার খুব কম খাওয়াই।ছোট বাচ্চা তো না আনলে কান্না কাটি শুরু তাই মাঝে মাঝে কিছু নিয়ে যেতেই হয়।মহা খুশি এটা পেয়ে।
শরীর বেশ টায়ার্ড ছিল। এরপর ফ্রেস হয়ে নামাজ পড়ে নিলাম ।এরপর ভাত খেতে খেতে কিছুক্ষণ নিউজ দেখলাম।তারপর কাজ শেরে শুয়ে পড়লাম।।।