সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিন টি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো সেই ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর বাসার সবাই মিলে একসঙ্গে সেহরি খেয়ে নিলাম। সেহেরির সময়টাতে সবার চোখে খুব ঘুম থাকে, তাই সবাই চুপচাপ খেতে নেয়।যাইহোক এরপর ফজরের আজান দিলে নামাজ পড়ে আবারও কিছুক্ষণ ঘুমাতে গেলাম।
এরপর ঘুম থেকে সকাল ৯ঃ০০ টায় উঠে গেলাম, কারণ দোকানে যেতে হবে। এরপর হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে দোকানে চলে গেলাম। প্রতিদিনের মতো আজকেও একই অবস্থা, ভীষণ গরম । যাইহোক সবকিছু অপেক্ষা করে দোকানে চলে গেলাম।
আজকে দোকানে কিছু মালামাল আনতে হতো তাই বেশ ঝামেলা ছিল। খুবই কষ্ট হচ্ছিল,কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই সব মালামাল এনে গুছিয়ে রাখতে পেরেছি। এরপর দোকানে যোহরের আযান দিলে , আমি অজু করে ফ্রেশ হয়ে দোকানে নামাজ পড়ে নিলাম।
দোকানের সকল কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় চারটা বেজে গিয়েছিল। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করে নিলাম। এরপর উঠে গোসল করলাম। গোসল করে কিছুক্ষণ মোবাইলের কাজ সেরে নিলাম। এরপর আযান দিলে উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম।
এরপর মেয়েকে নিয়ে একটু বারান্দায় ঘোরাঘুরি করলাম। আমার মেয়ে বাহিরে যাওয়ার জন্য খুব কান্নাকাটি করছিল কিন্তু শরীরটা বেশ টায়ার্ড ছিল তাই আর ওকে নিয়ে বাহিরে যায়নি।
এরপর আবারও এসে কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর সবাই ইফতারের জন্য ডাকলো। গিয়ে দেখি সবাই ইফতার রেডি করে বসে আছে। এরপর সবাই মিলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম আযানের জন্য। এবং আজান দিলে সবাই ইফতার শুরু করলো। গরমে স্বপ্নের অবস্থা এতটাই খারাপ যে পানি আর শরবত খেয়েই যেন পেট ভরিয়ে ফেলে।
এরপর ইফতার শেষ করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়া শেষ হতে না হতেই মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলো ওকে নিচে নিয়ে মজা কিনে দিতে। কি আর করার কথা না শুনলে অবস্থা খারাপ!! তাই নিচে গিয়ে একটি চকলেট কিনে দিলাম
এরপর বাসায় এসে রেডি হয়ে দোকানে চলে গেলাম। দোকানে গিয়ে আবারও দোকানে কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।দোকানের সকল কাজ শেষ করে,সকল হিসাব নিকাশ শেষ করে ,রাত প্রায় ১০ টায় বাসায় ফিরলাম।
বাসায় এসে হাত মুখ ধুয়ে ওযু করে নিলাম। এরপর আমি নামাজ পড়ে নিলাম। সবাই অপেক্ষা করছে ভাত খাওয়ার জন্য। নামাজ শেষ করে সবাই মিলে একসঙ্গে ভাত খেয়ে নিলাম। খেতে খেতে কতক্ষণ নিউজ দেখছিলাম।
এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ আমার মোবাইলের কাজ ছিল সেগুলো করে নিলাম। এরপর ঘুমাতে চলে গেলাম।মেয়েকে গল্প শোনাতে শোনাতে ঘুম চলে এসেছে খবরই ছিল না।