সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিন টি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বন্ধুরা সে প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর যেহেতু আমি এখন মামার বাসায় দোকানের চিন্তা নেই, তাই লম্বা একটু ঘুম দিলাম। এরপর সকাল ৯ টার পর ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর নানু নাস্তা খেতে ডাকলো। এরপর সবাই মিলে বসে নাস্তা খেয়ে নিলাম।
নাস্তা ছিল ইগ নুডুলস। ইগ নুডুলস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এরপর চা খেলাম।
এরপর বের হলাম মামার বাসার আশপাশটা একটু দেখার জন্য। সেখানে চার দিকে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। মামার বাসা থেকে অল্প একটু দূরেই আমার আরেকটা মামার বাসা। সেটা হল আমার আম্মুর খালাতো ভাই। সে মামা আমাদেরকে খুব আদর করে। আমার নিজের মামাদের থেকে কম না।
মামার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম ।এবং মামার অফিসের চারপাশটা ঘুরে ফিরে দেখলাম।বিশাল বড় অফিস।
এরপর মামা আমাদেরকে মামার বাসায় নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে শরবত থেকে শুরু করে হালকা পাতলা কিছু নাস্তা দিল।
মামা দুপুরে থাকার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করেছিল, কিন্তু হাতে সময় ছিল না বলে আমরা থাকি না। এরপর প্রায় 12:45 এ আমরা আবার আমার মামার বাসায় চলে এলাম। সেখানে এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর দুপুরের খাবার খেতে ডাকলো। এবং সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরের খাবারে ছিল হাসির মাংস, দেশিও মাছ, ডিম, পোলাও ,ভর্তা, ভাত ডাল। আমার ছোট মামীর হাতের রান্না অনেক মজা। সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছি।
এরপর এক ঘণ্টার মতো রেস্ট করে, রেডি হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমি আর আমার আম্মু। আসার সময় ট্রেনে করে এসেছি, ট্রেন জার্নি আমার বেশ ভালই লেগেছে। ট্রেনের ভিতরে কোন যানজট থাকে না খোলামেলা। তাই আমার কাছে ট্রেন জার্নি খুব ভালো লাগে।
আমাদের বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। রাতের আকাশটা ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিল। লাইটিং এবং নিরিবিলি একটা জায়গা ছিল।
বাসায় আসার পর আমার মেয়ে তো আমাকে দেখে খুবই খুশি। আমাকে একদিন দেখতে না পেয়ে ও বেশ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। ভীষণ মিস করেছে আমাকে আমিও আমার মেয়েকে ভীষণ মিস করেছি।
যাই হোক এর পরে ফ্রেশ হয়ে। নামাজ পড়ে শুয়ে গিয়েছিলাম। দুদিনের জার্নি শরীর বেশ খারাপ করছিল। তাই আর রাতের খাবারও খাইনি। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
মামার বাসায় সবার সাথে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলাম। খুব ইনজয় করেছিলাম, মনে হচ্ছে সেই ছোটবেলার মতোই নানুর কাছে গিয়েছে।