সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিন টি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
যেহেতু ঈদ গেল কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি, তাই আমার ওয়াইফ ওর বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য খুব রিকোয়েস্ট করছিল। ভেবেছিলাম যাব না, কিন্তু পরে যেতেই হল ওদের মা মেয়ের কান্নাকাটি দেখে । পরে প্লেন করলাম পরদিন সকাল সকাল যাব। অনেক দূরে আমার শ্বশুরবাড়ি প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার পথ-নোয়াখালী।
তাই পরদিন সকাল সকাল উঠে , রেডি হয়ে গেলাম আমার ওয়াইফ এবং আমার মেয়ে রাতে সব গুছিয়ে রেখেছিল হ্যাঁ। আমরা সকাল সকাল উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। আমার মেয়ে তো ভীষণ খুশি নানুবাড়ি যাচ্ছে, ওদের মা মেয়ের খুশি যেন আর ধরছেইনা।
এরপর গেলাম টিকিট কাউন্টারে সেখান থেকে টিকেট কেটে নিলাম। গাড়ি আসতে ২০-৩০ মিনিট লেট হবে তাই আমরা সেখানে অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ পর গাড়ি আসলে আমরা গাড়িতে উঠে পড়ি।
এরপর শুরু দীর্ঘ জার্নি। যদিও খুব একটা ভোর হচ্ছিলাম না গাড়িতে বসে আমরা সবাই বেশ উপভোগ করছিলাম। বাহিরের পরিবেশ বেশি ভালো লাগছিল দেখতে। প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর হোটেল আসলো সেখানে আমরা নেমে ফ্রেশ হয়ে কিছু খাবার দাবার খেয়ে নিলাম। এরপর আবারো যাত্রা পথ শুরু করলাম।রাস্তায় খুব বেশি জ্যাম জট ছিল না। তাই আমরা প্রায় ছয় ঘন্টার ভিতরে বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।
বাসায় পৌঁছে খুব ভালই লাগছিল ।সবাই বেশ খুশি হয়ে গিয়েছে আমার শশুর শাশুড়ি খালি সবাই হইচই শুরু করলে আমাদেরকে দেখে। যেহেতু গ্রামের বাড়ি তাই বেশ খোলামেলা পরিবেশ। আমার মেয়ে খুশিতে একবার এই দিক আরেকবার ওই দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে দৌড়ে বেড়াচ্ছে।
এরপর ফ্রেস হয়ে নিলাম, সবাই মিলে একসাথে বসে বেশ আড্ডা সহকারে দুপুরের খাবার খেলাম। যদিও প্রায় আসরের সময় হয়ে গিয়েছিল আমরা যেতে যেতে। এরপর খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। রেস্ট নিতে নিতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। এরপর উঠে নামাজ পড়ে নিলাম এবং সবাই মিলে একসাথে বসে সন্ধ্যার নাস্তা করলাম।
এরপর কিছুক্ষণ আমার মোবাইলের কাজ করে নিলাম। এবং সবাই মিলে আবারো বসে বসে বেশ খানিকক্ষণ আড্ডা দিলাম। এরপর প্রায় রাত সাড়ে দশটার দিকে সবাই মিলে বসে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। যেহেতু অনেকদিন পর এভাবে ফ্রি হলাম তাই বেশ টায়ার্ড লাগছিল শুধু ঘুমাতে ইচ্ছা করছে। তাই বেশি দেরি না করে খাওয়া-দাওয়া করে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম।