সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি পোস্ট করব আমার দৈনন্দিন কাজ।
আশা করি যদি আমার কোন ভুল হয় সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো আমি ভোর 5:45 ঘুম থেকে উঠলাম,উঠে ফজরের নামাজ পড়লাম।এরপর একটু বারান্দায় গেলাম। যেহেতু প্রায় শীত পড়ে গেছে, সকালটা একটু বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। মোটামুটি কুয়াশা পড়া শুরু করেছিল। একটু ঠান্ডায় বাহিরের সবুজ প্রকৃতি বেশ ভালোই লাগছিল আমার কাছে। কিছুক্ষণ বারান্দায় হাটাহাটি করে আবার একটু শুয়ে পড়লাম। সকালবেলার এই ঘুম টা বেশ মজার ,এটুকু ঘুম না গেলেই নয় ।মনে হয় যেন সারাটা দিন আর ভালোই কাটে না সকালে একটু না ঘুমালে😉। যাইহোক এরপর আবার শুয়ে পড়লাম কাঁথা গায়ে দিয়ে।
এরপর সকাল ৮:৩০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর গিয়ে টেবিলে বসে পড়লাম নাস্তার জন্য। পাঁচ মিনিটের ভিতরে আমার স্ত্রী আমাকে সকালের নাস্তা দিল।
এরপর আমি নাস্তা করেনিলাম,গরম গরম চা পান করে নিলাম। এবং দোকানে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলাম।
প্রায় নয়টার থেকে আমি দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলাম। সকাল বেলায় আমার দোকানে যেতে কষ্ট লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই যেতে তো হবেই। এরপর দোকানে গিয়ে প্রতিবারের মতো আমি দোকানের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।দোকানে সকাল বেলায় একটু বেশিই চাপ থাকে।।তাই অনেক ব্যস্ত হয়ে যাই।
যাইহোক এরপর দোকানের যাবতীয় কাজ শেষ করে, আমি প্রায় দুইটার সময় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এরপর বাসায় গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করলাম, আছে আমার স্ত্রী আমড়া মাখা এনে দিয়েছে। খুবই ভালো লেগেছিল আমড়া মাখা।
এরপর আমি দুপুরের গোসল করে নিলাম,এবং জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম এরপর সবাই মিলে দুপুরের খাওয়া খেতে বসলাম। বাসার সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল একসাথে বসে খাবার খেতে। সবাই মিলে একসাথে খাবার খেতে খেতে অনেক গল্প করল।
খাবার শেষে একটু রেস্ট এর জন্য বিছানায় গেলাম। এরপর ঘুমিয়ে নিলাম প্রায় এক দেড় ঘন্টার মত। এরপর উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে দেখলাম আমার আম্মু এবং ওয়াইফ লুডু খেলছিল, তাদের সাথে আমিও জয়েন হলাম। বেশ ভালই লাগছিল খেলতে, আসলে অনেকদিন পর এভাবে খেলেছি। ছোটবেলায় কিন্তু এই খেলা অনেক খেলতাম।
যাইহোক এরপর মাগরিবের আযান দিলে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষে মেয়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প গুজব, দুষ্টামি ,খেলা করলাম। এরপর সন্ধ্যা নাস্তা করলাম। নাস্তা শেষে আবারো দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দোকানে গিয়ে আবারো প্রতিবারের মতো ব্যস্ত হয়ে গেলাম দোকানের সকল কাজে।
দোকানে গেলে আর নিশ্বাস নেওয়ার সময় থাকে না এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এরপর দোকানের সকল কাজ শেষ করে হিসাব-নিকাশ শেষ করে আমি আবারও রাত এগারোটায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসার সময় দেখি প্রায় অনেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছে।অনেক অন্ধকার ও চারপাশ ,নিরিবিলি।
সবাই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যায় ,এবং খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। কারণ সকাল হতেই আবার সবার দৈনন্দিন কাজে যেতে হয়।অফিস ,আদালত,ব্যবসা সব মিলিয়ে এখনকার মানুষ খুবই ব্যস্ত বললেই চলে।
যাইহোক আমিও বাকি সবার মত বাসায় ফিরছি। এরপর বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম এবং রাতের খাবার খেতে বসলাম। খেতে খেতে একটু নিউজ দেখলাম।
দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না নির্বাচন নিয়ে যেমন ঝামেলা হচ্ছে, তেমনি হসপিটাল গুলোতে ডেঙ্গু সহ অন্যান্য রোগ এর অবস্থাও খুব খারাপ। যাইহোক এখন নিউজ দেখলে খুব একটা ভালো লাগে না। চারপাশের খবর দেখে খুবই খারাপ লাগে।
খাবার খেয়ে এশার নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষে ঘুমাতে গেলাম, শরীর বেশ ক্লান্ত তাই বেশি মোবাইল না চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।