সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিন টি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। ফজরের নামাজ পড়ে বারান্দা থেকে একটু হেটে এসে আবারো কিছুক্ষণ ঘুমালাম। এরপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আমার মেয়ে উঠে গিয়েছিল তাই ওকে ফ্রেশ করে দিয়েছিলাম। আমরা সবাই মিলে সকালের নাস্তা খেতে বসলাম। দেখি আজকে নাস্তা ছিল পান্তা ভাত, ডিম ভাজা ,পেঁয়াজ এবং কাঁচামরি।
দেখে ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছিলাম কারণ আমার কাছে রুটি থেকেও পান্তা ভাত খুবই ভালো লাগে। কারণ আমার মনে হয় ভাত খেলে সারাদিন একটা শান্তি লাগে। তাই বেশ মজা করে খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলেছিলাম।
এরপর চা খেয়ে নিলাম । এরপর দোকানে যাওয়া জন্য রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম।
এরপর দোকানে গিয়ে প্রতিদিনের মতো দোকানের কাছে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। দোকানে বেশ ঝামেলা ছিল। তাই একটু বেশিই ব্যস্ত ছিলাম। দোকানের কাজ সেরে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় ৩টা বেজে গিয়েছিল।
এরপর বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
এসে দেখি আমার মেয়ে রাগ করে বসে আছে।ও বলেছিল ওর জন্য বই কিনে আনতে ,আমার মনে ছিলনা।
এরপর কোলে নিয়ে মেয়েকে বুঝিয়ে সাজিয়ে বললাম বিকেলে বাহিরে নিয়ে যাব তারপর একটু মহারানীর রাগ কমলো।
এরপরে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর সবাই মিলে একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরের খাবারে ছিল টমেটো দিয়ে পাবদা মাছ ভুনা, পাবদা মাছের ঝোল ভুনা আমার খুবই পছন্দ। গরম গরম মাছ ভুনা খুবই ভালো লেগেছিল। সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেললাম।
এরপর একটু রেস্ট করতে গেলাম। এবং মেয়ের সাথে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। কিছুক্ষণ পর মেয়েও ঘুম থেকে উঠল, এরপর ওকে ফ্রেশ করে দিল ওর আম্মু। এখন আমরা বাবা মেয়ে কিছুক্ষণ নিচে থেকে ঘুরে আসলাম।
এরপর মেয়েকে একটি কোন আইসক্রিম কিনে দিলাম। মে আইসক্রিম পেয়ে বইয়ের কথা ভুলে গিয়েছে। ও একা একা খাবেনা বাসায় এনে ওর আম্মুর সাথে খাবে। পরে বাসায় চলে এসেছি।
এরপর বাসায় এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষে সবাই মিলে একসাথে সন্ধ্যার নাস্তা খেতে বসলাম। নাস্তা ছিল নারকেল পুলি ।এই পুলি খুব ভালো লাগে আমার।
এরপর সবাই মিলে নাস্তা খেয়ে শেষ করে নিল।
আমি আমার মত করে প্রতিদিনের মতো রেডি হয়ে দোকানে চলে গেলাম। আবার ব্যস্ত হয়ে গেলাম। গিয়ে দোকানের সব কাজকর্ম সেরে নিলাম। এরপর সকল হিসাব-নিকাশ শেষ করে রাত 11 টার সময় বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে হাত হয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর বাসার সবাই মিলে একসাথে ভাত খেতে বসেছি। এরপর সবাই মিলে অনেক গল্প গুজুক করে রাতের খাবার শেষ করলাম।
এরপর শুয়ে শুয়ে কতক্ষণ নিউজ দেখছিলাম। নিউজ দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝিনি। যেহেতু সারা দিন অনেক পরিশ্রম হয়েছিল ,তাই শরীর বেশ ক্লান্ত ছিল। তাই মোবাইল দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।