সবাই কেমন আছেন?? আশা করি সবাই বেশ ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। বন্ধুরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে আমার কাটানো দিন টি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বন্ধুরা প্রতিদিনের মতো সেই ভোররাতে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।এরপর সবাই মিলে সেহেরী খেয়ে নিলাম। এরপর আযান হলে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর আবার শুয়ে পড়লাম ঘুমানোর জন্য। এবং সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠে পড়ি। রাতে খুব বৃষ্টি হয়েছিল ঘুম খুব ভালোই হয়েছে।
এরপর হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে দোকানে চলে গেল। এবং প্রতিদিনের মতো দোকানের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। এরপর দোকানে মোটামুটি ঝামেলা কম থাকায় আমি একটু বাহিরে গেলাম, আমার ওয়াইফের জন্য গিফট কিনতে। কারণ আজকে আমার ওয়াইফের জন্মদিন। তো জন্মদিন উপলক্ষে ওকে একটা গিফট দেওয়া দরকার ,তাই ভাবছিলাম কি দিব!! ভাবতে ভাবতে মনে হলো ওকে একটা গোল্ডেন নোজ রিং দিব।
এরপর চলে গেলাম গোল্ডের দোকানে, সেখানে গিয়ে পছন্দ করে একটি নোজ রিং কিনলাম।
এরপর কেনাকাটা শেষ করে দুপুরে বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর আমার ওয়াইফ কে নোজ রিং টি দিলাম। আমার ওয়াইফ গিফট টি দেখে খুবই খুশি হয়েছিল। ওর খুব পছন্দ হয়েছে এবং বাসার সবাইও খুব পছন্দ করেছে। এরপর আমি জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।
এরপর একটু রেস্ট নিতে গেলাম। সাথে মেয়েকে নিয়ে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এরপর বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর আমার মেয়ে ঘুম থেকে উঠলে,মেয়েকে নিয়ে একটু বাহির থেকে ঘুরে আসলাম।
এরপর বাসায় এসে দেখছি সবাই ইফতার রেডি করে প্রায় বসেই আছে। এবং সবাই বসে বসে গল্প করছে। প্রতিদিনের মত আজকেও ইফতারের সেই আইটেম গুলোই ছিল। বুরিন্দা, ছোলা,খেজুর,সালাদ,তরমুজ,বেগুনি,আলুর চপ,পেঁয়াজু।
স্পেশালী ছিল আমার পছন্দের সবুদানার ফালুদা।
এই ফালুদার টেস্ট একেবারে অসাধারণ ছিল। ঠান্ডা ঠান্ডা খুবই ভালো লেগেছিল।
যাইহোক এরপর সবাই মিলে ইফতারি শেষ করে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ আমার মোবাইলের কাজ করলাম। এরপর মেয়েকেও সন্ধার নাস্তা খাইয়ে দিলাম।আজকে বায়না করেছে বাবার হাতে খাবে।
এরপর কিছুক্ষণ রেস্ট করে রেডি হয়ে দোকানে চলে গেলাম। যদিও সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্তিতে যেতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু কিছু করার নেই যেতে তো হবেই।এরপরে দোকানে গিয়ে দোকানের কাজে মনযোগ দিলাম। এরপর দোকানের সব হিসাব-নিকাশ শেষ করে প্রায় রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম, এরপর নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে সবাই মিলে একসঙ্গে খেতে বসলাম। আজকে বাসায় বিরিয়ানি রান্না হয়েছে। অনেকদিন পর বিরিয়ানি দেখে খুবই ভালো লাগছিল। তাছাড়া বাহিরে ঠান্ডা ঠান্ডা একটা আবহাওয়ায় এ সময় বিরিয়ানি একদম পারফেক্ট। আমার ওয়াইফের জন্মদিন উপলক্ষে বিরিয়ানি আমি রান্না করা হয়েছিল।
যদিও আমরা খুব একটা ঘটা করে জন্মদিন পালন করি না। কিন্তু বাসায় সবাই মিলে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করে সবাই মিলে গিফট দেওয়া বেশ ভালই মজা করি।
যাইহোক অনেকদিন পর বেশ ভালো করে খাওয়া দাওয়া করেছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বারান্দায় হাটাহাটি করলাম। এরপর শুয়ে পড়লাম। শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ নিউজ দেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।