আপনারা সবাই কেমন আছ? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি. আজ 21-09-2023 তারিখের একটি নতুন ডায়েরিগেম পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজ আমি ২১ শে সেপ্টম্বর এর সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সামনে তুলে ধরছি আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ বৃহস্পতিবার ২১শে সেপ্টেম্বর আজ আমার পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার দিন নির্ধারণ করা ছিলো। ১০.২০ মিনিট এর মধ্যে আমাকে অফিসে থাকতে হবে। যথারীতি সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। কারণ পাসপোর্ট অফিসে যেতে ১ ঘন্টার মতো লাগবে। তাই আজ আর নাস্তা তৈরী করার সময় হবেনা। পুরনো ঢাকার খুব প্রচলিত একটি খাবার বাকরখানি খেলাম চা দিয়ে। আমি আর আমার স্বামী যাব। তাই আমরা ৮.৩০ মিনিটের মধ্যে বের হয়ে পড়লাম। সময় মতো যেন পৌছাতে পারি।
ঢাকার পাসপোর্ট অফিস কিছুদিন আগেও আগারগাঁও ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সম্ভবত ৩ টি এলাকায় পাসপোর্ট অফিস আছে। আমি যেহেতু পুরান ঢাকায় থাকি তাই আমাদের পাসপোর্ট অফিস পড়েছে কেরানীগঞ্জ টেগুরিয়া প্রজেক্ট এরিয়াতে। খুবই মনোরম একটি পরিবেশে পাসপোর্ট অফিস। যাইহোক আমরা বের হয়ে প্রথমেই বাইকে পেট্রোল রিফিল করে নিলো যাতে রাস্তায় কোনো অসুবিধা না হয়। আমারা বাবুপুরা ব্রীজ দিয়ে গেলাম। আবহাওয়া খুব সুন্দর ছিলো। আমরা ১০টার আগেই পৌছে গেলাম।
প্রথমেই আমাদের লাইনে দাঁড়িয়ে এন্ট্রি নাম্বার নিতে হলো। আমার সিরিয়াল নাম্বার ছিলো ৯৫। অফিসের ভিতরে যাওয়ার পরে অপেক্ষা করতে হলো ৩০৬ নং রুমে। সেখানে ১ ঘন্টা অপেক্ষার পরে ডাক পড়লো ৩০২ নং রুমে ভেরিফাই করতে। আমাদের জমা দেওয়া ডকুমেন্টস এর সাথে অরিজিনাল কপি মিলিয়ে নিতে। পাসপোর্ট ছবি তোলার জন্য আমাকে একটা টোকেন দিলেন সেই সিরিয়াল নাম্বার ছিলো ১৬৩। এখন বসে অপেক্ষা করতে হবে কখন আমার নাম্বার ঘোষণা করেন। এই কাজটা খুবই ধীর গতিতে হয়েছে। একসময় আমার নাম্বার ঘোষণা করা হলে আমি সেই রুমের ভিতরে গিয়ে বাকি কাজগুলো শেষ করে ছবি তুলে বের হয়ে আসলাম। আমাদের অফিস থেকে বের হতে প্রায় দুপুর ২টা বেজে গিয়েছিল।
আশেপাশের পরিবেশ ছবির মতো সুন্দর। চারপাশে কাশফুল দিয়ে ভরা। ভেবেছিলাম কাজ সেরে বের হয়ে কিছু ছবি তুলবো কিন্তু আকাশের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে আসছিলো। তাই আমরা আর সেখানে দেরী না করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। আসার সময় প্রচন্ড জ্যাম ছিলো রাস্তায়। বাসায় পৌছালাম প্রায় ঘড়িতে তখন ৩.৪৫ মিনিট। বাসায় আসার পথে ডিম পোলাও কিনে নিয়েছিলাম একটা বিরিয়ানি দোকান থেকে। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম। প্রচন্ড মাথাব্যথা নিয়ে সন্ধ্যাটা কাটালাম। ঢাকায় সেইদিন সন্ধ্যার পরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের এখানে ইলাক্ট্রিসিটি চলে গিয়েছিল। আর আমি কখন ঘুমিয়ে পড়ছিলাম।
সারাদিন ঘোরাঘুরি করে খুব ক্লান্ত ছিলাম। এভাবেই আমার দিন শেষ হয়।