দা ডাইরি গেম সিজন ৩
তারিখ: ২৩ মে, ২০২৩
প্রতিদিনের মতো একই সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম । আমার মেকানিক্স ইনকোর্স পরীক্ষা ছিলো সেগুলো কিছুক্ষণ ম্যাথ রিভিশন করে কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলাম । আজকে পরীক্ষাটি ৪০ মার্কসের এবং সময়সীমা ১.৫ ঘন্টা । পরীক্ষা শুরুর সময় ১০ টা থাকলে আমি ২০ মিনিট আগে ক্লাসরুমে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো ।
পরীক্ষা শেষে ডিপার্টমেন্ট থেকে বের হয়ে খেয়াল করলাম কলেজে স্টুডেন্টের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যদিনের চেয়ে অনেক কম । পরে জানতে পারলাম যে আজকে ইন্টারমিডিয়েটদের ক্লাস সাসপেন্ড ছিলো যার ফলে কলেজ অনেক ফাঁকা লাগছিলো যা সচরাচর দেখা যায় না । আমাদের ক্যাম্পাসটি ততোটা বড় নয় তবে ক্যাম্পাসে চারপাশে বিভিন্ন গাছ এবং অল্প কিছু সংখ্যক খালি জায়গা রয়েছে যেখানে সবাই তাদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গল্প-গুজব করে ।
কলেজের গেটের বাইরে বিভিন্ন টেম্পোরারি খাবারের দোকান প্রায়শই দেখা যায় যেখানে ফুচকা ,চটপটি আইসক্রিম ইত্যাদি স্টল সবচেয়ে বেশি । কলেজ গেটের পাশে আমার এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম তখন জনপ্রিয় ফুচকা ওয়ালা মামার স্টলের দিকে খেয়াল করলাম । সকল ডিপার্টমেন্টের ক্লাস চলাকালীনউনার স্টলে অনেক ভিড় থাকে বিশেষ করে মেয়ে স্টুডেন্টদের । তবে আজকে ম্যাক্সিমাম ক্লাস সাসপেন্ড থাকায় উনার স্টলটি অনেক ফাকা ছিলো ।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়াতে তেমন ভালোভাবে নাস্তা করা হয়নি । দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর আমার কিছুটা খিদেও লেগেছিল । তাই কলেজের পার্শ্ববর্তী একটি ঝাল বিতানে গিয়েছিলাম হালকা নাস্তা করার জন্য । শুধুমাত্র ক্যাম্পাসে আসলেই এই ধরনের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া হয় এমনি অন্য সময়ে খাওয়া হয় না । আমার জন্য সিঙ্গার এবং সমুসা অর্ডার করেছিলাম সাথে টমেটো সস ছিলো । খাবারের দাম নিয়েছিলো ২৫ টাকা ।
বাড়িতে ফিরে এসে যখন রেস্ট নিচ্ছিলাম তখন রুমে জানালা দিয়ে প্রবল বাতাসের আওয়াজ শুনা যাচ্ছিলো । আমারও আর বুঝতে বাকি রইল না যে কিছুক্ষণ পরেই ভারী বৃষ্টি হবে । আমি ছাদে চলে গেলাম বৃষ্টির আগ মুহূর্তের ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে । এ গরমের মৌসুমে এমন দমকা হাওয়া যখন গায়ে লাগলে তখন অনেক প্রশান্তি অনুভব হয় । আকাশ ধীরে ধীরে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসছিল এবং আশপাশের গাছগুলো দমকা হওয়ার হেলে পড়ছিল ।
বিকেলবেলা নাস্তা করার সময় খেয়াল করলাম টেবিলে কেক এর বক্স যেটি গতকালকে আমার নানু বাসা থেকে পাঠিয়েছিল । কেকগুলো খুবই নরমাল এবং এগুলো খায়নি এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে । বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ধরনের কেকগুলো মেহমানদের দিতে বেশিরভাগ দেখা যায় । এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হলেও এতে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে তাই আমি সবসময় লিমিটের মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করি ।
এই ছিল আমার আজকের দিনের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিস গুলো । স্টিমিটের বন্ধুদের সাথে ডায়েরি শেয়ার করতে পেরে আমি ধন্য । সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর একটি দিন দেওয়ার জন্য । দেখা হবে পরবর্তী ডাইয়ি গেইমে।